Murshidabad: থামছেই না ভাঙন! এগিয়ে আসছে গঙ্গা, আতঙ্কে সামশেরগঞ্জবাসী
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা ভাঙন এক জ্বলন্ত সমস্যা। বর্ষা কিংবা খরা ভাঙন ত্রাসে তটস্থ হয়ে থাকেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। সেই আতঙ্ক তাড়া করেই ফের ভাঙনের গ্রাসে সামশেরগঞ্জ।
#মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা ভাঙন এক জ্বলন্ত সমস্যা। বর্ষা কিংবা খরা ভাঙন ত্রাসে তটস্থ হয়ে থাকেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। সেই আতঙ্ক তাড়া করেই ফের ভাঙনের গ্রাসে সামশেরগঞ্জ। একটু একটু করে আবারও এগিয়ে আসছে গঙ্গা। সম্প্রতি লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে সামশেরগঞ্জে। আর বৃষ্টির কারণে গঙ্গার পাড় ভাঙতে ভাঙতে নদী এবার চোখ রাঙাচ্ছে ওই এলাকার কবরস্থানকে। এই মূহুর্তে লালপুর এজমা কমিটির কবরস্থান ভাঙনের কবলে। দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। যেকোনো সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে গঙ্গাবক্ষে। তবুও ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের। কোনোরকমে জোড়া তালি দিয়ে চলছে ভাঙন ঠেকানো। এলাকার সকলের দাবি, গঙ্গার পাড় বাঁধানো হোক স্থায়ীভাবে।
মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা সহ ভাঙনের কবলে সামশেরগঞ্জের ধানগড়া, শিবপুর, হরানন্দপুর, ধুসুরিপাড়া কামালপুর চাচন্ড, লালপুর সাতঘরিয়া দীর্ঘড়ি সহ আরো বেশ কয়েক গ্রাম। এর আগেও নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে কয়েকশো বাড়ি। এবারও বেশ কিছু বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়। ভিটে মাটি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। দুর্গাপুজোর আগেই নদী ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে কয়েকশো বাড়ি ঘর। এখনও পুনর্বাসন না পাওয়ায় খোলা আকাশের নীচেই তাদের আশ্রয়। এরই মধ্যে দু'দিন আগে ভাঙনের আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চাচন্ডের একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র স্কুল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সোলার লাইট চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ল এক দুষ্কৃতী
একটু একটু করে আবারও এগিয়ে আসছে গঙ্গা। সম্প্রতি লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জে। আর বৃষ্টির কারণে ধুলিয়ান পৌরসভার ১৬,১৭,১৮ নং ওয়ার্ড সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতি মধ্যেই দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। এজমা কমিটির কবরস্থানের একদিকের দেওয়াল ঝুলে পড়েছে গঙ্গার উপরে। বসতি এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ির একদম পাশ দিয়ে বইছে গঙ্গা। যে কোনো সময় নদীতে তলিয়ে যেতে পারে বাড়ি গুলি, বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। ভাঙন বিধ্বস্তদের হাহাকার সত্ত্বেও প্রশাসন নির্বিকার। আশ্রয় হারিয়ে তাঁদের দাবি, বালির বস্তা ফেলে জোড়াতালি দিয়ে নয়। ভাঙন রুখতে গঙ্গার পাড় বাধানো হোক বোল্ডার আর লোহার তাড় দিয়ে স্থায়ীভাবে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধান চাষের ক্ষতি সামাল দিতে মাঠে নামল কৃষি দফতর
ভাঙন বিধ্বস্ত ডলি বিবি বলেন, আমাদের মাথার উপর ছাদ নেই। সরকারের থেকে কোনো সাহায্য পাইনি। আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। আরো কত বাড়ি ঘর ডুবে যাবে তার ঠিক নেই। স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু সেখ বলেন, বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব না। বোল্ডার দিয়ে গঙ্গার পার বাধানোর ব্যবস্থা করা হোক। বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা বলেন, গোটা এলাকা পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে বলেক আশা করছি।
advertisement
Koushik Adhikary
view commentsLocation :
First Published :
September 03, 2022 12:50 PM IST