Independence Day 2022|| সিপাহী বিদ্রোহের স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও উজ্জ্বল বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়্যার ময়দান
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Berhampore Barrack Square Maidan: মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেই প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের সুচনা হয়েছিল। ১৮৫৭ সালে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে যে সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়ার ছিল সেই মহাবিদ্রোহের সূতিকাগার।
#বহরমপুরঃ 'স্বপ্ন হেথা টুটেছিল মহাস্বপ্ন আাঁকি'........এই শব্দ বন্ধ গুলোই যথেষ্ট মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহরের ফুসফুস বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান সম্পর্কে বলার জন্য। ১৭৫৭ র পলাশীর যুদ্ধে সিরাজের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী দু'শো বছরের জন্য নিকষ অন্ধকার নেমে এসেছিল ভারতের ভাগ্যাকাশে।
কীভাবে বণিকের মানদণ্ড দেখা দিয়েছিল রাজদণ্ড রূপে, কীভাবে একটা আস্ত উপমহাদেশ পর্যবসিত হয়েছিল ব্রিটিশ উপনিবেশে, সে ইতিহাস তো সকলেই জানেন কিন্তু জানেন কি এই ময়দান থেকেই একটা সময়ে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের শুরু হয়েছিল! শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ অর্থাৎ সিপাহী বিদ্রোহ! স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে হরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। একদা বাংলা বিহার উড়িষ্যার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্পদশালী রাজধানী মুর্শিদাবাদকে তাদের রাজত্বের কেন্দ্র বিন্দু করতে ভয় পেয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। রাজধানী সরে গিয়েছিল কলকাতায়। পলাশীর যুদ্ধের কয়েক দশক পরে অর্থাৎ ১৭৮৬ সালের ২৫ এপ্রিল স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল মুর্শিদাবাদ।
advertisement
আরও পড়ুন: ২ বছর পর নবাবের শহরে মহরমের প্রস্তুতি, খোলা হল ইমামবাড়ার দরজা, প্রবেশ অবাধ
ইতিহাসবিদদের কথায়, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেই প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। ১৮৫৭ সালে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে যে সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়ার ছিল সেই মহাবিদ্রোহের সূতিকাগার। ১৮৫৭ সালের ২৬ জানুয়ারি, বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার থেকেই বিদ্রোহের অগ্নিস্ফূলিঙ্গ প্রথমে ব্যারাকপুর, তারপর ধীরে ধীরে গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল ১৫০ বছরের পুরনো রেল লাইন! হাওড়ায় কাণ্ড দেখলে চমকে যাবেন
এনফিল্ড রাইফেলের টোটা-সহ ইংরেজদের অন্যায় শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বহরমপুর সেনা ছাউনির কিছু সেনার বিদ্রোহে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যারাকপুর সেনা ছাউনির সিপাহী মঙ্গল পান্ডে ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। লড়াইয়ের মাঠে কয়েকজন ইংরেজ সৈন্যকে হত্যা করে শেষে নিজের রিভলভার থেকে নিজের বুকে গুলি করেন তিনি। লুটিয়ে পড়েছিল তাঁর দেহ। সেনা বাহিনীর বিদ্রোহে ভীত ইংরেজরা ভারতীয়দের সবক শেখাতে মঙ্গল পাণ্ডের আহত শরীরকে তুলে নিয়ে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়।
advertisement
বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ারে আজও আছে মঙ্গল পান্ডের মুর্তি। পলাশীর যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার সংলগ্ন চারশো বিঘা জমি লিজ নেয় ইংরেজরা। সিরাজ পরবর্তী সময়ে ইংরেজদের তৈরি ক্রীড়নক নবাবদের ওপর লক্ষ্য রাখতে ব্যারাক স্কোয়ার মাঠের ১২০ বিঘা জমির ওপর তৈরি করা হয় ক্যান্টনমেন্ট। যার নিদর্শন চারিদিকে আজও আছে। বর্গাকার এই ময়দানের চারদিকে রয়েছে চারটি কামান। ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বুকে নিয়ে আজও স্বমহিমায় উজ্জ্বল বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান।
advertisement
কৌশিক অধিকারী
view commentsLocation :
First Published :
August 06, 2022 8:25 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Independence Day 2022|| সিপাহী বিদ্রোহের স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও উজ্জ্বল বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়্যার ময়দান
