গ্রামের মানুষকে স্বাবলম্বী করতে চাইছে দুর্গাপুরের বেসরকারি সংস্থা
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলির স্বপ্নপূরণ করতেও পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন তারা।
#দুর্গাপুর: পতিত জমিতে পরিপূরক আয়ের দিশা দেখাচ্ছে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থা। শুধুমাত্র দিশা দেখানো বললে ভুল হবে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলির স্বপ্নপূরণ করতেও পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন তারা। পতিত জমিতে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে আয় করার পন্থা শেখানো হচ্ছে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন তারা।
বেসরকারি সংস্থাটি যে জায়গায় নিজেদের এই প্রজেক্টে কাজ করছেন, তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় গ্রামের ১০০ টি পরিবার। তাদের হাতে প্রতিদিন মজুরিও তুলে দেওয়া হচ্ছে। সংস্থাটি চাইছে, এই কাজে যুক্ত হয়ে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরা মানুষজন নতুন সুযোগ তৈরি করে নিক। তাহলে আর্থিকভাবে তাদের উন্নতি যেমন হবে, ঠিক তেমনভাবেই পরিবেশ রক্ষা হবে। খুলবে নতুন নতুন আয়ের দিশা।
advertisement
প্রসঙ্গত, বেসরকারি সংস্থাটি ১৬ বছর আগে কাঁকসার কাঁটাবেড়িয়ায় ৩৬ একর জমি কিনেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সেখানে নতুন প্লান্ট তৈরি করার। কিন্তু বিদ্যুতের সমস্যার জন্য সেই কারখানা তৈরি হয়ে ওঠেনি। তাই দীর্ঘদিন ধরেই পড়ে ছিল জমিটি। তারপরই ওই পতিতজমিতে পরিপূরক আয়ের দিশা খুঁজে নেয় সংস্থাটি। ব্যাঙ্গালোর থেকে একটি প্রশিক্ষিত দলকে নিয়ে এসে, ওই জায়গায় তৈরি করা হয় বিভিন্ন গ্রীনহাউস। সেখানে বিভিন্ন রকম ফুলের চাষ করে লাভের মুখ দেখছে সংস্থাটি। উৎপাদিত প্রোডাক্টগুলি বিক্রি করা হচ্ছে রাজ্যের বাইরের বাজারেও। সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এই চাষাবাদের কাজ চলছে।
advertisement
advertisement
নিজেদের পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামবাসীদেরও আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে সংস্থাটি। এই গ্রীনহাউসে প্রোডাক্ট তৈরি করার জন্য, ব্যাঙ্গালোরের দলটির সাহায্যে ১০০ জন গ্রামবাসীকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে ওই গ্রীনহাউস জোনে কাজ করছেন সেই সমস্ত মানুষজন এবং তাদের পরিবার। সব মিলিয়ে এই প্রোজেক্টের সঙ্গে বর্তমানে ১০০ টি পরিবার যুক্ত রয়েছে। যাদের প্রতিদিন ২৪০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়। ফলে সংস্থাটির পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় গ্রামের মানুষজনেরও।
advertisement
তবে সংস্থাটি বর্তমানে এই কাজের সঙ্গে আরও মানুষকে যুক্ত করতে চাইছেন। তারা চাইছেন, এই গ্রীনহাউজ প্রোডাক্ট তৈরি করতে কোন মানুষ যদি আগ্রহী থাকেন বা বিকল্প দিশা খুঁজে নিতে চান, তাহলে তাদেরকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে সংস্থাটি। গ্রীন হাউসে উৎপাদিত পণ্যগুলিও এই সংস্থাটি কিনে নেবে। এই আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনও লভ্যাংশ সংস্থাটি নিজেদের জন্য রাখবে না বলেও দাবি করেছে। ফলে গ্রামের মানুষকে নতুন আয়ের দিশা দেখাতে বেসরকারি সংস্থার এই উদ্যোগ, যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ইতিমধ্যে অনেক আগ্রহী মানুষ সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সংস্থাটির সহযোগিতায় তারাও গ্রীনহাউস তৈরি করে সেই প্রোডাক্ট থেকে বিকল্প আয়ের দিশা খুঁজে নিতে চাইছেন তারাও।
advertisement
Nayan Ghosh
view commentsLocation :
First Published :
August 24, 2021 8:56 PM IST
