Mamata Banerjee: ভাঙা চাল থেকে জ্বালানি ! পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় নতুন ঘোষণা মমতার

Last Updated:

Mamata Banerjee: বায়ো ফুয়েল তৈরি করতে প্রয়োজন ভাঙা চাল। যা থেকে থেকে তৈরি হয় ইথানল। ফলে এই দুই বর্ধমানের কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে বায়োফুয়েল।

#পানাগড়: পানাগড় শিল্প তালুকে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে এসে, মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বায়ো ফুয়েলের ব্যাপারে সওয়াল করেছেন। রাজ্যে বায়ো ফুয়েল তৈরি করতে দেড় হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙা চাল থেকে তৈরি করা হবে ইথানল। তারপর তা প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হবে বায়ো ফুয়েল। যার ফলে কমবে জ্বালানি তেলের দাম। পাশাপাশি সরকার কৃষক থেকে সরাসরি ভাঙা চাল কিনে নেবে। ফলে কৃষকদেরও আয় বাড়বে। তৈরি হবে প্রচুর কর্মসংস্থান।
যদিও এই বিষয়ে মাস দুয়েক আগেই নিউজ ১৮ লোকালে প্রকাশিত হয়েছিল একটি প্রতিবেদন। সেখানে এক পরিবেশবিদ এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোমোবাইল বিভাগের এক বিশেষজ্ঞ এই প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারা জানিয়েছিলেন, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা রাজ্যের শস্য ভান্ডার বলে পরিচিত। বায়ো ফুয়েল (Biofuel)  তৈরি করতে প্রয়োজন ভাঙা চাল। যা থেকে থেকে তৈরি হয় ইথানল। ফলে এই দুই বর্ধমানের কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে বায়োফুয়েল। জেলায় এখনও যে সংখ্যক জমি পতিত অবস্থায় রয়েছে, সেই জায়গাগুলিতেও বায়োফুয়েল তৈরির প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাষ করার বিধান দিয়েছিলেন তারা। শিল্পতালুকে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চেও এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
বায়োফুয়েল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)   বলেছেন, রাজ্যে বায়ো ফুয়েল তৈরির শিল্প গড়ে তোলা হবে। এর জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বায়ো ফিউল তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম অর্ধেক কমে যাবে। বায়ো ফুয়েল তৈরি করতে ইথানলের প্রয়োজন। যা তৈরি হয় ভাঙা চাল থেকে। তাই কৃষকদের থেকে সরাসরি ভাঙা চাল কিনে নেবে সরকার। তারপর তা বায়োফুয়েল শিল্পে ব্যবহার করা হবে। এর ফলে জায়গায় জায়গায় বায়োফুয়েল তৈরির কারখানা গড়ে তোলা যাবে। প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ঠিক তেমনভাবে কৃষকরাও লাভের মুখ দেখতে পাবেন।
advertisement
advertisement
পরিবেশবিদরা বলছেন, ইথানল থেকে যে বায়োফুয়েল (Biofuel) তৈরি করা হয়, তা যথেষ্ট পরিবেশবান্ধব। ফলে বায়োফুয়েল পরিবেশের রক্ষা করবে। এই বায়োফুয়েল মূলত ব্যবহার করা হয় পণ্য পরিবহনের গাড়িগুলিতে। ফলে জ্বালানি তেলের দাম যদি হয়, সেক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনের খরচ অনেক কমে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই দাম কমবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজারেও।
তাদের মত ,রাজ্যে এখনও যে পরিমান জায়গা খালি পড়ে রয়েছে, সেই জায়গায় চাষ করে প্রচুর পরিমাণ বায়োফুয়েল তৈরি করে, জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তারা আরও বলেছেন, পশ্চিমী দেশগুলি বায়োফুয়েল তৈরীর ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। বায়োফুয়েল তৈরীর ক্ষেত্রে দুই বর্ধমানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। যদি রাজ্য বায়োফুয়েল উৎপাদন করতে পারে এবং উৎপাদনের মাত্রা বাড়াতে পারে, তাহলে রাজ্যের পাশাপাশি দুই বর্ধমানের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। বদলে যাবে কৃষকদের ভাগ্য। তাদের আয় অনেকটা বাড়বে। পাশাপাশি প্রচুর বেকার ছেলে মেয়েদের চাকরি হবে। যদিও ১০০ শতাংশ বায়োফুয়েল ব্যবহার করতে হলে বিএস৪ এর নিচের মডেলের গাড়ি চালানো যাবে না বায়োফুয়েল তৈরীর প্রসঙ্গে সরকারি মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) । স্বাভাবিক ভাবেই আশা করা যাচ্ছে, রাজ্যে বায়ু ফুয়েল উৎপাদন শুরু হলে, রাজ্যের অর্থনীতির ছবি বদলে যাবে। বেকারত্বের জ্বালা মিটবে অনেক যুবক যুবতীর। ঠিক তেমনভাবেই অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে দুই বর্ধমান জেলা।
advertisement
Nayan Ghosh
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Mamata Banerjee: ভাঙা চাল থেকে জ্বালানি ! পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় নতুন ঘোষণা মমতার
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement