বৃদ্ধাশ্রমের দুয়ারে পৌঁছে গেল সরকার, হাজির প্রকল্পের ডালি নিয়ে

Last Updated:

সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর কুন্ডুর উদ্যোগে, বৃদ্ধাশ্রম প্রাঙ্গণে পৌঁছলো দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সব শ্রেণীর মানুষের কাছে পৌছে দিতে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বহু মানুষ। তৃণমূল সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, আবার শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। রাজ্য সরকারের আঠারোটি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। জেলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গায় করে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেওয়া হচ্ছে মানুষের হাতে। এই তালিকা এতদিন বাদছিলেন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা। তবে তারাও যাতে আর বঞ্চিত না হন, সেজন্য বৃদ্ধাশ্রমের দুয়ারে পৌঁছে গেল সরকার। আসানসোল পুরবোর্ডের মেম্বার তথা এক সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর কুন্ডুর উদ্যোগে, বৃদ্ধাশ্রম প্রাঙ্গণে পৌঁছলো দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প।
আসানসোল মূল শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে, দামোদরের তীরে রয়েছে ঢাকেশ্বরি বৃদ্ধাশ্রম। সেখানে বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বসবাস। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান তারাও। প্রয়োজনের তালিকায় রয়েছে, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। কিন্তু বেশিরভাগ আবাসিকেরই নেই আধার কার্ড। তাছাড়া, দুয়ারে সরকার শিবিরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করার ক্ষমতাও তাদের নেই। এই কথা ভেবেই ঢাকেশ্বরী বৃদ্ধাশ্রম প্রাঙ্গণে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল।
advertisement
ক্যাম্পের প্রথম দিনে প্রাথমিকভাবে যাদের আধার কার্ড রয়েছে, তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দিতে ফর্ম ফিলাপ করার কাজ শুরু হয়েছে। যে সমস্ত আবাসিকদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসে অল্প ভুল ছিল, সেগুলি ঠিক করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে যাদের আধার কার্ড নেই, তাদের এখনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধার খাতায় নাম তোলা যায়নি। প্রাথমিকভাবে, তাদের আধার কার্ড করানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। যাদের আধার কার্ডের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া চলছে, তাদের আধার কার্ড তৈরি হয়ে গেলে, সরকারি প্রকল্পগুলিতে নাম তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
advertisement
বৃদ্ধাশ্রমের এক আবাসিক বলেছেন, তারা বৃদ্ধাশ্রমেই থাকেন। কিন্তু তাদের প্রতিদিন বিভিন্ন ওষুধের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন সময় শরীর অসুস্থ থাকে। এই পুরো খরচ চালাতে হয় তাদের পরিবারকে। এই সময় তারা যদি সরকারি প্রকল্প থেকে সামান্য অর্থসহায়তা পান, তাহলে তাদের জীবনযাপন করতে অনেক সুবিধা হবে।
এই ব্যাপারে আর এক আবাসিক বলেছেন, তারা সরকারি প্রকল্পগুলির নাম শুনেছেন। কিন্তু দুয়ারে সরকার শিবিরে লাইনে দাঁড়িয়ে নাম লেখানো ক্ষমতা নেই তাদের। সেকারণেই এতদিন তারা বঞ্চিত হচ্ছিলেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে। তবে পুরবোর্ডের সদস্য তথা সমাজকর্মীর এই উদ্যোগে তারা ভীষণ খুশি। বৃদ্ধাশ্রমের প্রাঙ্গণে দুয়ারে সরকার হাজির হওয়ায়, আগামীদিনে অর্থসংকট কিছুটা কমবে বলেই তারা আশা করছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম উঠলে, স্বাস্থ্য নিয়েও কিছুটা চিন্তা কমবে তাদের।
advertisement
এই ব্যাপারে সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর কুন্ডু বলেছেন, সরকারি প্রকল্প থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন বহুমানুষ। তবে রিমোর্ট এলাকায় যারা থাকেন, তারা অনেক সময় এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা লাইনে দাঁড়িয়ে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই তিনি আসানসোল পুরসভার সহায়তায়, বৃদ্ধাশ্রম প্রাঙ্গণে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এই শিবির থেকে অনেক আবাসিক সুযোগ পাবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে যারা সুযোগ নিতে পারছেন না, তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করার ব্যবস্থা করা হবে।
advertisement
এই ব্যাপারে চন্দ্রশেখর বাবু আরও বলেছেন, আগামী দিনে আসানসোল পুরসভার ভবঘুরে সেন্টারগুলিতেও দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি এই সমস্ত বৃদ্ধাশ্রমের দুয়ারে পৌঁছে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
বৃদ্ধাশ্রমের দুয়ারে পৌঁছে গেল সরকার, হাজির প্রকল্পের ডালি নিয়ে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement