সরকারের দুই দপ্তরের ঝামেলার মধ্যে পড়ে ভোগান্তি সাধারণ মানুষের
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
নিকাশি খালে ভেঙে পড়া গাছ কাটা নিয়ে সেচ ও বন দপ্তরে বিবাদ
সৈকত শী, পূর্ব মেদিনীপুর: বন সৃজন প্রকল্পে লাগানো গাছ খালের জলে ভেঙে পড়েছে। ভাঙা গাছ কেটে খাল পরিষ্কার নিয়ে সরকারের দুই দপ্তরের মধ্যে শুরু হয়েছে বিবাদ। সেচ ও বনদপ্তরের পারস্পারিক বিবাদে ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন খালে জমে থাকা কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। আর সেই কাজ করতে গিয়েই খালের মধ্যে পড়ে থাকা বন সৃজন প্রকল্পের ভাঙা গাছ কাটবে কোন দপ্তর তা নিয়ে সেচ ও বনদপ্তর এর মধ্যে শুরু হয়েছে পরস্পরের উপর দোষারোপের পালা। এর মাঝে পড়ে সমস্যায় সাধারণ মানুষেরা।
সম্প্রতি ঘূর্ণবাত ও নিম্নচাপ এর বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি ব্লক। জেলাজুড়ে জলবন্দি মানুষের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে প্রতিটি প্রান্তে। জল নিকাশি নিয়ে দুই ব্লকের মধ্যে হয়েছে বিবাদও। সম্প্রতি জেলাশাসকের নির্দেশে একশো দিনের কাজের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন খাল ও নাসা খালগুলি পরিষ্কারের কাজ চলছে। এই খাল পরিষ্কার করতে গিয়েই খালের মধ্যে ভেঙে পড়া বনসৃজন প্রকল্পের গাছ কাটা নিয়ে সেচ ও বনদপ্তরের চাপানউতোর। যার জেরে কাজ বন্ধ হয়ে খালের স্রোত আটকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বনসৃজনের লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন সেচ খাল ও নিকাশি খালের পাড়ে গাছ লাগায় বন দপ্তর।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি ব্লকে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগেও একশো দিনের কাজের আওতায় খালের পাড়ে লাগানো হয় গাছ। মূলত ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, ঝাউ এই সমস্ত গাছ লাগানো হয় খালের পাড়ে। বন দপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসন গাছগুলি লাগালেও খাল পাড়ের অংশ সেচ দপ্তরের আওতায় থাকায় বনসৃজনের সময় সেচ দপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। গতবছর আম্ফান এবং চলতি বছরের ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে দেনান, দেহাটি, সোয়াদিখি ও টোপা ড্রেনেজ খালের ওপর ভেঙে পড়েছে বন সৃজন প্রকল্পের লাগানো অসংখ্য গাছ। ভেঙে পড়া গাছে কচুরিপানা ও আবর্জনা আটকে খালগুলি স্রোতহীন হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযােগ।
advertisement
advertisement
সেপ্টেম্বর মাসের শেষে সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিতে জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলের তলায় প্রতিটি ব্লক। ঘর ছাড়া অসংখ্য মানুষ। জল নিকাশের দাবিতে জেলাজুড়ে প্রতিদিনই চলছে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। মানুষের অভিযোগ নিকাশি বিপর্যস্ত হওয়ার ফলে এই জল যন্ত্রণা। অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন হয় পাশকুড়া ও কোলাঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন একশাে দিনের কাজের মাধ্যমে সমস্ত খালে জমে থাকা কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে। সেইমতাে শুরু হয়েছে খাল সাফাইয়ের কাজ। কিন্তু খালের জলে পড়ে থাকা গাছ কাটা হয়নি বলে অভিযােগ। গাছ কাটার দায় কার তা নিয়ে সেচ ও বন দফতরের মধ্যে চাপানউতাের শুরু হয়েছে।
advertisement
নিকাশি খাল ও সেচ খালের ওপর ভেঙে পড়া গাছ কাটা নিয়ে সরকারের দুই দপ্তরের মধ্যে শুরু হয়েছে বিবাদ। সেচ ও বন দপ্তরের মধ্যেই এই বিবাদের মাঝে পড়ে ভোগান্তির মুখে পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের বিস্তৃর্ণ এলাকার জলমগ্ন মানুষেরা।
people are suffering due to Altercation of two government departments
view commentsLocation :
First Published :
October 01, 2021 11:47 PM IST