দিঘা : হোটেলমালিকের অপমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দিঘায় ৷ নিহতের নাম সুব্রত সরকার ৷ বয়স ৬২ বছর ৷ তিনি নিউ দিঘার ‘সুমন হোটেল’-এর কর্ণধার ছিলেন ৷ শনিবার সকালে হোটেলেই তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷অতিমারি এবং প্রায় লকডাউন পরিস্থিতিতে দিঘা কার্যত পর্যটকশূন্য ৷ তাই হোটেলের বাকি কর্মী রাতে বাড়ি ফিরে যান ৷ মালিক সুব্রত একাই রাতে থাকতেন হোটেলে ৷ শনিবার সকালে দীর্ঘ ক্ষণ তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় অন্যান্য কর্মীর ৷ অনেক বার ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না মেলায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সুব্রতর নিথর দেহ উদ্ধার করে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ছিল ৷ গলায় দড়ি পেঁচানোর দাগও স্পষ্ট ৷ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷হাওড়ার শিবপুরে সুব্রতর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁর রহস্যমৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্ধে পুলিশ ৷ ঘরের জানালার কাচ ভাঙা থাকায় পুলিশের অনুমান সেখান দিয়েই দুষ্কৃতী বা দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল ৷ লন্ডভন্ড ঘরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন স্পষ্ট ৷ কিছু লুঠ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি ৷ পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই এই প্রতিহিংসা কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে খুনে কারণ বোঝা যাবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে ৷এর আগে হোটেলে পর্যটকদের আত্মহত্যা দেখেছে এই সৈকতশহর ৷ কিন্তু হোটেলেই তার মালিককে খুন, এই ধরনের অপরাধ কার্যত বিরল এই সৈকতশহরে ৷ এই ঘটনায় আতঙ্কিত সুমন হোটেলের বাকি কর্মচারীরা ৷ আতঙ্ক ও ভীতি ছড়িয়েছে স্থানীয় অন্য হোটেলেও ৷
ডাকাতি করতে এসে খুন করা হয়েছে নাকি খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই জানালার কাচ ভেঙে হোটেলে বলপূর্বক প্রবেশ, সবদিক খতিয়ে দেখছে দিঘা থানার পুলিশ ৷ তদন্তরীদের প্রাথমিক ধারণা, খুনই হয়েছেন হোটেল মালিক। পুরনো শত্রুতা এবং পুর্ব পরিচিত কারওর এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। এদিকে, খবর পেয়ে নিহত হোটেল মালিকের পরিবার পরিজনরা দিঘায় এসে পৌছেছেন। থানায় লিখিত ভাবে খুনের অভিযোগই দায়ের করছেন তাঁরা।