শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হল যুবককে, অভিযোগ মোড়লের বিরুদ্ধে
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
মানসিক ভাবে অসুস্থ, দাবি করে এক যুবককে শিকল বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল আউশগ্রামের বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের সোমাইপুর গ্রামে।
#বর্ধমান: মানসিক ভাবে অসুস্থ, দাবি করে এক যুবককে শিকল বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল আউশগ্রামের বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের সোমাইপুর গ্রামে। প্রায় দিন পনেরো ধরে শিকল বাঁধা অবস্থাতেই রয়েছেন বছর সাইত্রিশের ওই আদিবাসী যুবক। যদিও ষড়যন্ত্র করে বেঁধে রাখার দাবি করছেন যুবক।অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, সোমাইপুর গ্রামের লাইকেনি আদিবাসীপাড়ার ওই যুবক রেলের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন। ছুটিতে বাড়ি ফিরে সে চাষের কাজ করে।
কার্যত লকডাউন রাজ্যে। যার জেরে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে ওই যুবকের। ফলে বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে যুবকের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তি হয়। বিষয়টি যায় পাড়ার মোড়ল মঙলা হেমব্রমের কাছে। সেখানে যুবকের সঙ্গে বচসা বাঁধে মোড়লের লোক জনের।
advertisement
advertisement
পরিবারের অভিযোগ, এর পরই মোড়ল জানিয়ে দেন, যুবকের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে বাড়িতে আটকে রাখা দরকার। বাইরে বেরোলে, মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন মোড়ল। তাঁদের দাবি, মোড়লের ' চাপেই ' ওই সময় থেকে ওই যুবককে হাতে-পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হয়। শুধু শৌচগারে যাওয়ার সময়ে শিকল খোলা হয়। পাশাপশি শিকলে বাঁধা যুবকের দাবি, চাষের কাজ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বচসা হয়েছিল। কাউকে মারধর করিনি। শুধু-শুধু আটকে রাখা হয়েছে। শিকলে হাত-পা কেটে যাচ্ছে।
advertisement
তবে অভিযুক্ত মোড়ল মঙলা হেমব্রমের দাবি, তাঁরা পরিবারটিকে ওই যুবকের চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে বলেননি। শিকল দিয়ে কেন বেঁধে রাখা হয়েছে তার জানা নেই।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রূপা বাগদির বক্তব্য, সমাজের চাপে পড়ে পরিবার ওই যুবককে বেঁধে রেখেছে শুনেছি।অন্যদিকে জেলা পরিষদের একপ্রতিনিধিতথা তৃণমূল নেতা দেবা টুডু বলেন, এ ভাবে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ঠিক নয়। খোঁজ নিয়ে দেখছি গোটা বিষয়টা। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
advertisement
Malobika Biswas
view commentsLocation :
First Published :
June 16, 2021 10:23 PM IST