চিন্তায় দিশেহারা শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক মহল
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
কোথাও বকেয়া রয়েছে বেতন, কোথাও আবার কাজ খাওয়ানোর আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে কর্মসংস্থানের অন্যতম ঠিকানা পশ্চিম বর্ধমান জেলা
পশ্চিম বর্ধমান: একসময় সারা বাংলার অন্যতম কর্মসংস্থানের ঠিকানা ছিল পশ্চিম বর্ধমান। শিল্পাঞ্চলে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ অতীতে অনেকটাই ছিল। বর্তমানে সেই সুযোগ কার্যত তলানীতে নেমে এসেছে তারমধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়েছে কার্যত লকডাউন। শিল্পাঞ্চল এর বিভিন্ন কারখানায় দেখা দিচ্ছে সমস্যা। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোটখাটো, মাঝারি কারখানায় দেখা যাচ্ছে শ্রমিক বিক্ষোভ। কোথাও বকেয়া রয়েছে বেতন, কোথাও আবার কাজ খাওয়ানোর আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে কর্মসংস্থানের অন্যতম ঠিকানা পশ্চিম বর্ধমান জেলা শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল হচ্ছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা।
করোনাকালে বিভিন্ন সময় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতবর্ষের ইস্পাত নগরীকে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় বিভিন্ন ইস্যুতে শ্রমিক বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। বিজেপি বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলি বিভিন্ন ইস্যুতে পথে নামছেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে তাদের দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে। কখনো আবার অভিযোগ উঠছে, তাদের প্রাপ্য মজুরির থেকে অনেক কম টাকা তারা পাচ্ছেন। তা ছাড়াও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে বিভিন্ন সময় পথে নামছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
advertisement
অন্যদিকে শিল্পাঞ্চলে অন্যতম কর্মসংস্থানের ভরসা পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত কারখানাগুলি। সম্প্রতি ভারত গ্যাসের বটলিং প্লান্ট এর সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। পিএফ, ইএসআই সহ বিভিন্ন দাবিতে তারা আওয়াজ তুলেছেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তাদের প্রধান অভিযোগ, যে পরিমাণ মজুরি তাদের পাওয়ার কথা, তারা পাচ্ছেন মজুরির অর্ধেক। কন্ট্রাক্টর পরিবর্তন হওয়ার পর থেকেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। তাই ন্যায্য মজুরি সহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
advertisement
advertisement
অন্যদিকে কুলটির একটি বেসরকারি কারখানায় গত দুমাস ধরে শ্রমিকদের নিয়ে সমস্যা চলছিল। অভিযোগ, চলতি সপ্তাহে কারখানার অস্থায়ী শ্রমিকদের কর্মচ্যুত করা হয়েছে। তারা কাজ ফিরে পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
এছাড়াও দূর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ দেনার দায়ে ভুগছে কারখানার অন্যতম লাভজনক শাখা কোকওভেন প্লান্টের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ডিপিএলে স্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। পাশাপাশি কারখানায় কাজের সুযোগ কমেছে অস্থায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে। যদিও ডিপিএলের পুনরুজ্জীবনের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করেছে।
advertisement
দুর্গাপুরের বিভিন্ন বড় বড় সরকারি-বেসরকারি কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেগুলি কবে চালু হবে তারও কোনও সদুত্তর নেই। সব মিলিয়ে কার্যত লোকডাউনে কর্মহারা হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে শ্রমিকমহল।
Location :
First Published :
June 30, 2021 9:07 PM IST