পুজোর বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন মৃৎশিল্পীরা

Last Updated:

পুরনো রীতি মেনে এদিন দেবী প্রতিমার কাঠামোয় মাটি পড়ল। দুর্গাপুরের বিভিন্ন মৃৎশিল্পীদের দোকানে হল লক্ষ্মী গণেশের পুজো। শুরু হল দুর্?

নেটাগরিকরা ইতিমধ্যেই দেবী দুর্গার আগমনের দিন গোনা শুরু করে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে দুর্গা পুজোর কাউন্টডাউন। রথযাত্রার দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো সেই দিন গোনা। পুরনো রীতি মেনে এদিন দেবী প্রতিমার কাঠামোয় মাটি পড়ল। দুর্গাপুরের বিভিন্ন মৃৎশিল্পীদের দোকানে হল লক্ষ্মী গণেশের পুজো। শুরু হল দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ।
দুর্গাপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশটির মতো প্রতিমা তৈরীর কারখানা রয়েছে। সব জায়গায় মৃৎশিল্পীরা রথযাত্রার দিনটিকে সাড়ম্বরে পালন করেন। এদিন তারা তাদের দোকানের লক্ষ্মী গণেশের পুজো করেন। পাশাপাশি শুরু করেন প্রতিমা তৈরীর কাজ। যদিও আগে থেকেই বেশ কিছু প্রতিমা তৈরি করে রাখেন, তবে রীতি অনুযায়ী রথ যাত্রার দিনে মাটি দেওয়া হয় প্রতিমার কাঠামোয়। তারপরে পুরোদমে শুরু হয় প্রতিমা তৈরীর প্রস্তুতি। চলতি বছরেও এই ছবির অন্যথা হয়নি।
advertisement
দুর্গাপুর একটি প্রতিমা তৈরীর কারখানায় দেখা গিয়েছে, শিল্পীরা জোরকদমে কাজ শুরু করছেন। কোথাও চলছে খড় দিয়ে কাঠামো তৈরির কাজ, আবার কোন কোন জায়গায় কাঠামোর মধ্যে মাটি দেওয়ার কাজ চলছে। করোনার ধাক্কায় দুর্গাপুজো কতটা সারম্বরে পালিত হবে, তা এখনও প্রশ্নচিহ্নের মুখে। তবে পুজো যে হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত শিল্পীরা। ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন তারা। প্রত্যেকটি কারখানায় গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টি করে প্রতিমা বানানো হচ্ছে। যেগুলি দুর্গাপুর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে পুজোর জন্য।
advertisement
advertisement
এ ব্যাপারে এক মৃৎশিল্পী বলেছেন, প্রতিমার অর্ডার আসতে শুরু করেছে। সবে মাত্র তিনি চার-পাঁচটি অর্ডার পেয়েছেন। তবে তারা চলতি বছরে ৪০ টির মত অর্ডার তিনি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। যে কারণে ওই মৃৎশিল্পীর কারখানায় ইতিমধ্যেই দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে জোরকদমে। তা ছাড়াও ওই কারখানায় মনসা, বিশ্বকর্মা, গণেশ প্রতিমা তৈরি হতেও দেখা গিয়েছে।
advertisement
যদিও মৃৎশিল্পী আক্ষেপ, করোনার ধাক্কায় অনেক পুজো কর্তারায় তাদের বাজেটে কাটছাঁট করেছেন। ফলে খুব নামিদামি প্রতিমা তৈরি করতে পারবেন না। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধির জন্য প্রতিমা তৈরীর ক্ষেত্রে যে সমস্ত সামগ্রি প্রয়োজন, সেই সবের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই অর্থে বাড়েনি প্রতিমার দাম। ফলে তাদের লাভের অংশ অনেকটা কমে গিয়েছে। কারখানায় অন্যান্য যে সমস্ত কারিগররা রয়েছেন, তাদেরও পুরনো বেতন দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। তাই সরকারি সাহায্যের জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন তারা।
advertisement
তবে করোনার মরশুম-মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও, রথযাত্রার দিন কাঠামোয় মাটি দিয়ে, পুজোর বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন মৃৎশিল্পীরা।
Nayan Ghosh
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
পুজোর বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন মৃৎশিল্পীরা
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement