বছরের পর বছর ধরে ধুঁকছে বীরভূমের একমাত্র কটন মিল, নতুন উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
Last Updated:
মাধব দাস, বীরভূম : পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে মোট তিনটি সরকারি কটন মিল। এই তিনটি কটন মিলের মধ্যে দুটি রয়েছে রায়গঞ্জ এবং কল্যাণীতে। আর একটি কটন মিল রয়েছে বীরভূমে। তবে এই সরকারী তিনটি কটন মিলের মধ্যে ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ এবং কল্যাণীর কটন মিল দুটির উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে, তৃতীয় কটন মিল হিসেবে ধুঁকছে বীরভূমেরটিও। আর এই বছরের পর বছর ধরে ধুঁকতে থাকা বীরভূমের কটন মিলকে বাঁচানোর জন্য উদ্যোগ নিতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে। এই উদ্যোগের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই আশার আলো দেখছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বীরভূমে একমাত্র সরকারি কটন মিলটি অবস্থিত খয়রাশোল ব্লকের পাঁচড়া গ্রামে। ময়ূরাক্ষী কটন মিল লিমিটেড নামের এই সরকারী কটন মিলকে বাঁচানোর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট দপ্তরের ৩ প্রতিনিধি পর্যবেক্ষণ করেছেন, পাশাপাশি একাধিকবার পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিদের সাথে বীরভূম জেলা প্রশাসনের একটি বৈঠকও হয়েছে।
advertisement
রাজ্যের নির্দিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সাথে বীরভূম জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পর বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, \"রাজ্য সরকার জেলার একমাত্র সরকারি কটন মিল থেকে পুনরায় পূর্বের মত উজ্জীবিত করতে চায়। যে কারণে আমাদের দফায় দফায় বৈঠক চলছে। আগামী দিনে কিভাবে এই কটন মিল থেকে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং এই মিল থেকে উৎপাদিত সামগ্রীর কিভাবে গুণগত মান বৃদ্ধি করা যায় সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে।\"
advertisement
advertisement
জানা গিয়েছে, এক সময় এই কটন মিল থেকে উন্নত মানের সুতো তৈরি হতো। যেসকল সুতোর বিপুল চাহিদা ছিল দূর-দূরান্তে। মিলে কাজ করতেন দুই শতাধিক দক্ষ শ্রমিক। কিন্তু সেসব বর্তমানে অতীত। তবে রাজ্য সরকারের তরফে নতুন করে এই মিলটিকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে তাতে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন এই কর্মরত শ্রমিকেরা।
advertisement
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, পাঁচড়া এবং বীরভূমের একমাত্র এই কটন মিলের পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। সেই সময়ই এই কটন মিলটি পথ চলা শুরু করে প্রাইভেট লিমিটেড হিসাবে। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে এই কটন মিল অধিগ্রহণ করে বামফ্রন্ট সরকার। অধিগ্রহণের পর কটন মিলের নাম ময়ূরাক্ষী কটন মিল লিমিটেড। তবে সরকারি অধিগ্রহণের মাত্র কয়েক বছর পরেই ২০০১ সাল থেকে এই শিল্প এবং মিলের অবস্থা করুণ হতে শুরু করে। ধুকে ধুকে চলতে থাকা এই মিল ২০১৭ সালে পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে তার পরেও মিলটিকে বন্ধ না করে হাতেগোনা কয়েকজন কর্মীদের নিয়ে এখনো অবধি চালানো হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে নতুনভাবে এই মিল পুনর্জীবিত হওয়ার আশায় দিন গুনছেন কর্মচারীরা।
view commentsLocation :
First Published :
June 17, 2021 9:09 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
বছরের পর বছর ধরে ধুঁকছে বীরভূমের একমাত্র কটন মিল, নতুন উদ্যোগ রাজ্য সরকারের