এক বছর আগে গালওয়ানে শহিদ হন বীরভূমের রাজেশ ওরাং, কেমন আছে তাঁর পরিবার
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
গত বছর ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের আগ্রাসনকে রুখে দেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় সেনারা।
#বীরভূম : গত বছর ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের আগ্রাসনকে রুখে দেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় সেনারা। সমস্ত রকম প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে চিন সেনাদের আটকে নিজেদের বীরত্ব দেখাতে দেখা গিয়েছিল ভারতের বীর জওয়ানদের। তবে এই দু'পক্ষের লড়াইয়ে ভারতের ২০ জন বীর জওয়ান শহীদ হন। যাদের মধ্যে একজন বীরভূমের মহঃ বাজার ব্লকের বেলগড়িয়া গ্রামের রাজেশ ওরাং।
রাজেশ ওরাং শহীদ হয়েছিলেন ঘটনার পর দিন ১৬ জুন। তারপর তার পার্থিব শরীরগ্রামে আসে ১৯ জুন। গ্রামেই এই শহীদ সেনা জওয়ানকে গান স্যালুটের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাধিস্থ করা হয়। প্রশাসন থেকে আমজনতা সকলেই এই শহীদ জওয়ানের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তার পরিবারকে। আর এরপর দেখতে দেখতে রাজেশের শহীদ হওয়া বছর ঘুরলো। কিন্তুকেমন আছেন রাজেশ ওরাং-এর পরিবারের সদস্যরা এখন।
advertisement
প্রশাসনিকভাবে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজেশ ওরাং-এর বোন শকুন্তলা ওরাং সরকারি চাকরি পেয়েছেন। পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক সরকারি সাহায্য পৌঁছে গেছে তাদের বাড়িতে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রামে সরকারি ভাবে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর অবশ্যরাজেশের শহীদ মূর্তি প্রতিস্থাপন হলো তার শহীদ দিবসের পরদিন। তবে তা সত্ত্বেও এখনো বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
advertisement
advertisement
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আলোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা সেভাবে চোখে পড়েনি। গ্রামের স্কুলটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়েছিল। যে স্কুলটি শহীদ রাজেশ ওরাং-এর নামে নামাঙ্কিত করে পুনরায় খোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা এখনো হয়নি। প্রতিশ্রুতি মত গ্রামে একটি পানীয় জলের জন্য সাবমারসিবলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা একমাস পরেই খারাপ হয়ে যায়। তারপর এখনো তা ঠিক হয়নি।
advertisement
শকুন্তলা ওরাং জানিয়েছেন, "বছরের কোন না কোন সময় দাদা বাড়ি আসতো। এখন আর আসে না। খুব খারাপ লাগে। তবে দাদা দেশের জন্য যা করেছে তার জন্য আমরা গর্বিত। আমি সবসময় চেষ্টা করছি বাবা মাকে নিয়ে দাদা যে সকল স্বপ্ন দেখেছিল সেই স্বপ্ন পূরণ করার।"
রাজেশ ওরাং-এর দাদা বিপুল ওরাং জানিয়েছেন, "ভাইয়ের জন্য মন খারাপ করলেও তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। আগামী দিন যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, এই ভাবেই যেন আর কাউকে শহীদ না হতে হয় তার জন্য আগাম প্রস্তুতি রাখতে হবে সরকারকে। আর যোগ্য জবাব তো দিতেই হবে নিশ্চিতভাবে তাদের যারা আমাদের দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।"
advertisement
মাধব দাস
view commentsLocation :
First Published :
June 16, 2021 10:33 PM IST