এবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করে জালিয়াতির অভিযোগ উঠলো বাঁকুড়ার দুটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের উপভোক্তাদের ভুয়ো চিকিৎসা করিয়ে সরকারি অর্থ জালিয়াতি করার।
সেরকমই উপভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জালিয়াতি চক্রের এক এজেন্টকে গ্রেপ্তার করল গোয়ালতোড় থানার পুলিশ।জালিয়াতি চক্রে যুক্ত বাকিদের ধরতে তদন্ত শুরু করল গোয়ালতোড় থানার পুলিশ।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গোয়ালতোড় থানার অন্তগর্ত মানিকদীপা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু রুইদাস ঐ এলাকারই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুস্থ্য উপভোক্তাদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাঁকুড়ার সোনামুখী এলাকার দুটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করত। এরপর চিকিৎসার নামে তাদের দশ দিন রেখে পুনরায় বাড়িতে পৌঁছে দিত, তার বিনিময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড উপভোক্তাদের ১০ হাজার টাকা দিত পিন্টু রুইদাস।এছাড়াও এলাকারই কিছু অসুস্থ বয়স্ক মানুষদের চিকিৎসা করানোর নামে বাঁকুড়ার সেই দুই নার্সিংহোমে ভর্তি করত পিন্টু। অভিযোগ, কোন রকম চিকিৎসা না করেই তাদের কয়েকদিন ভর্তি রেখে ছেড়ে দেওয়া হতো। পিন্টু রুইদাসের এই কর্মকান্ডের কথা জানতে পেরে পিন্টুকে ঘিরে ধরে এলাকারই মানুষ।পিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এলাকাবাসী জানতে পারে বাঁকুড়ার দুই নার্সিংহোমের এই জালিয়াতিতে সে এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড খতিয়ে দেখে এলাকার মানুষ জানতে পারে, চিকিৎসা বাবদ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড উপভোক্তাদের কারো ১ লক্ষ ২৫ হাজার, কারো ৯০ হাজার তো আবার কারো দেড় লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
এ সমস্ত বিষয় জানার পরেই পিন্টু রুইদাসকে এলাকার মানুষ গোয়ালতোড় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি পিন্টু রুইদাস সমেত বাঁকুড়ার দুই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড উপভোক্তারা।ইতিমধ্যেই জালিয়াতির অভিযোগে পিন্টু রুইদাসকে গ্রেপ্তার করে গড়বেতা আদালতে পেশ করলে আদালত ছয়দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।অন্যদিকে এ বিষয়ে এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে প্রমাণ হলে অবশ্যই দোষী ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা শাস্তি পাবে।