গর্ভকালীন অবস্থায় কী খাবেন! পুষ্টির জন্য এই খাবারগুলো খুবই কার্যকরী 

Last Updated:

এই সময়কালে শরীরটি অনেকগুলি শারীরিক এবং হরমোনজনিত ওঠানামার মধ্য দিয়ে যায় এবং তাই বর্ধিত চাহিদাগুলি আরও ভালভাবে পরিচালনা করার জন্য সঠিক খাবারের প্রয়োজন।

#কলকাতা: গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে একটি কথা খুব শোনা যায় ''দু'জনের জন্য খাওয়া"। গর্ভাবস্থা, যদিও একজন মহিলার জীবনের সবচেয়ে সুখী পর্যায়গুলির মধ্যে একটি, এটি এক গুচ্ছ মানসিক, শারীরবৃত্তিয় চাপ প্রয়োগ করতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের তাই তাদের জীবনের এই পর্যায়ে নিজেদের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
যত্ন, খাদ্য এবং পুষ্টি বিষয়ে, গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেতে হবে তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। গর্ভবতী মহিলাদের নিজেদের এবং তাদের শিশুদের উভয়ের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে উভয়ের জন্যই জন্য খেতে হবে।এই সময়কালে শরীরটি অনেকগুলি শারীরিক এবং হরমোনজনিত ওঠানামার মধ্য দিয়ে যায় এবং তাই বর্ধিত চাহিদাগুলি আরও ভালভাবে পরিচালনা করার জন্য সঠিক খাবারের প্রয়োজন।
advertisement
একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম ডায়েট অনুযায়ী খাওয়া মা এবং শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে।  মায়ের খাওয়া খাদ্য হ'ল শিশুর পুষ্টির প্রধান উত্স ,সেইজন্যই মায়ের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
*পুষ্টি বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজন কিছু প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস । ভিটামিন এবং খনিজ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ওমেগা ৩ এর মতো উপাদানগুলি সঠিক পরিমাণে মাকে গর্ভাবস্থায় বর্ধিত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে। মুরগীর মাংস ,মাছ , টাটকা ফল, সবজি  এবং চর্বিযুক্ত প্রোটিন খাবারগুলি এইসময় খাওয়া উচিত ,যা পুষ্টি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
advertisement
*প্রোটিন: শিশুর দেহে টিস্যু এবং অঙ্গগুলির যথাযথ বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য, প্রোটিনজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি । প্রোটিন দেহে রক্ত সরবরাহ বাড়ায়, ভ্রূণকে নিয়মিত রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে ।  কিছু স্বাস্থ্যকর প্রোটিন খাবারের মধ্যে রয়েছে  মুরগীর মাংস , সালমন, বাদাম, মাখন, পনির এবং মটরশুটি  ইত্যাদি ।
advertisement
*ক্যালসিয়াম: এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে , দেখার হাড়গুলি মজবুত করতে এবং শরীরের তরল জাতীয় অর্থাৎ রক্ত,জল ইত্যাদি ঠিকঠাক সরবরাহে  ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। গর্ভবস্থায় এই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া মা-শিশু দুজনের জন্যই অপরিহার্য। দুধ, দই, পনির, সবুজ পাতাযুক্ত শাকসব্জী,মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার যেমন সালমন, চিংড়ি এবং ক্যাটফিশ ভাল পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে পারে। এছাড়াও অনেক খাবারে ক্যালসিয়াম মজুত আছে।
advertisement
*ফোলেট: এই ফোলেটকে অনেকে আবার ফোলিক অ্যাসিড নামেও চেনে। শিশুদেহের বিকাশে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিশুর মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড সঠিক গঠনের জন্য এর ভূমিকা আছে। এই ফোলেট বা ফোলিক অ্যাসিড বাদাম, শুকনো মটরশুটি এবং মুসুর ডাল , ডিম, বাদাম এবং মাখন জাতীয় খাবারে পাওয়া যায়। তাই গর্ভবস্থায় এই জাতীয় খাবারগুলি খেতে হয়।
advertisement
*আয়রন: গর্ভকালীন অবস্থায় এই জাতীয় খাদ্য শরীরের জন্য কার্যকরী। আয়রন রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মা এবং শিশুর উভয়কেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহায়তা করে । সবুজ পাতাযুক্ত শাকসব্জী, সাইট্রাস ফল, হাঁস-মুরগির ডিম এই জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমানে আয়রন মেলে।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
গর্ভকালীন অবস্থায় কী খাবেন! পুষ্টির জন্য এই খাবারগুলো খুবই কার্যকরী 
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement