দিনে দিনে বেড়েই চলেছে সমুদ্রদূষণ। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সমুদ্রে বসবাসকারী প্রাণী ও জলজ গাছপালার উপরে। মানুষের ফেলে দেওয়া বর্জ্য থেকে যেমন নদী ও সমুদ্রের জল দূষিত হয়, তেমনই জামাকাপড় কাচার পর, কাপড়ধোয়া জল গিয়ে মেশে নদীতে। আর নদীর জল গিয়ে মেশে সমুদ্রে। কাপড় কাচার সময়ে সেখান থেকে উঠে আসে মাইক্রোফাইবার যা সমুদ্রকে দূষিত করে।
এই মাইক্রোফাইবারের আয়ু এত দীর্ঘ হয় যে এগুলো সহজে ধ্বংস হতে চায় না। সমুদ্রের জলে মিশে গেলে এগুলোকে খাবার মনে করে খেয়ে নেয় মাছ ও অন্য প্রাণীরা। সেই জন্য একটি পরিবেশ সংস্থা দাবি তুলেছে যে এই কারণেই ওয়াশিং মেশিনে ফিল্টার লাগিয়ে দিতে হবে যাতে মাইক্রোফাইবার সেখানেই আটকে যায়। মেরিন কনজারভেশন সোসাইটি সম্প্রতি স্টপ ওসিয়ান থ্রেডস নামের একটি ক্যাম্পেন শুরু করেছে। এই সংগঠন ইংলন্ড সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে যাতে ২০২৪ সালের মধ্যে সমস্ত ওয়াশিং মেশিনে ফিল্টার বসিয়ে দেওয়া হয়।
যদি নদী বা সমুদ্রে যাওয়ার আগেই ওয়াশিং মেশিন থেকেই সমস্ত মাইক্রোফাইবার সংগ্রহ করে নেওয়া যায়, তা হলে প্রথম থেকেই দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। মাইক্রোফাইবার নিয়ে সমস্যার মূল কারণ হল এই যে পলিয়েস্টার আর নাইলন দিয়ে তৈরি কাপড় বায়োডিগ্রেডেবল নয়। রঙিন হওয়ার দরুন এগুলো জলে মিশলে মাছেরা তা চট করে খেয়ে ফেলে। এ রকম বহু ঘটনা দেখা গিয়েছে যেখানে অতি মাত্রায় মাইক্রোফাইবার খেয়ে ফেলায় মাছের মৃত্যুও হয়েছে।
পৃথিবীতে যে পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে ১৫ শতাংশ দিয়ে এই মাইক্রোফাইবার তৈরি হয়। যার বেশিরভাগটাই জামাকাপড় তৈরির কাজে লাগে। সমস্যার বিষয়- মাইক্রোফাইবার এত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয় যে খালি চোখে দেখাও যায় না। আকারে ক্ষুদ্র হলেও এরা জলে মিশে যাওয়ার পর কয়েক হাজার বছর একই অবস্থায় থেকে যায়।জনগণের কাছ থেকে অবশ্য এই বিষয়ে সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। আপাতত সব চেয়ে আশার কথা এটাই। তাঁরা জানিয়েছেন যে যদি ফিল্টারযুক্ত ওয়াশিং মেশিন কিনতে হলে তাঁদের বাড়তি টাকা দিতে হয়, তা হলেও তাঁরা রাজি আছেন!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ocean, Pollution, Washing Machine