আপনার টিনএজার সন্তানের পছন্দমতো ঘর সাজাতে চান ? এই ৫টি জিনিস মাথায় রাখুন

Last Updated:

আপনার সন্তানের ঘর সাজানোটা ছোটোখাটো ব্যাপার বলে একদমই ভাববেন না। আজকের দিনে বাজারে বিভিন্ন রং এবং ঘর সাজাবার জিনিষের বিকল্প এত বেশি রয়েছে যে আপনি সহজেই তা কাজে লাগাতে পারেন। room design for teenagers

আপনার কিশোর বাচ্চাদের জন্যই ঘর সাজানোটা মুখের কথা না। আপনার সন্তানের ঘর সাজানোটা ছোটোখাটো ব্যাপার বলে একদমই ভাববেন না। আজকের দিনে বাজারে বিভিন্ন রং এবং ঘর সাজাবার জিনিষের বিকল্প এত বেশি রয়েছে যে আপনি সহজেই তা কাজে লাগাতে পারেন। আপনি নিশ্চয় চাইবেন যে তাদের রুম এমনভাবে ডেকোরেট করা হোক যা তাদের কাছে রুচিশীল এবং পছন্দসই হবে। রং এবং শিল্প দুইয়ে মিলে এক অভূতপূর্ব ইন্টেরিয়র লুক দিন তাদের রুমের। তবে এটা ঠিকই যে পুরো বাড়ির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আপনাকে ডেকোরেট করতে হবে যা তাদের প্যাশন , তাদের ইচ্ছাকে তুলে ধরতে পারে। আজকের দিনে বাজারে বিভিন্ন রং এবং ঘর সাজাবার জিনিষের বিকল্প এত বেশি রয়েছে যে আপনি সহজেই তা কাজে লাগাতে পারেন। ঘর ডিজাইন করা বা সাজাবার ব্যাপারটা সবদিক দিয়ে দেখতে গেলে কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জিও বটে।
ঘর রং করার সময় কিংবা ডিজাইন করার সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ধরণের প্রশ্ন মনে জাগে, যেমন কোন রঙটি বেছে নেবেন ? বা বিছানাটি কি খুব বেশি ছোট ? সেজন্য আপনার কিশোরদের ঘর সাজাবার আগেই কিছু জিনিষ জেনে রাখা ভালো। এমনই কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল।
দেয়ালের ডিজাইন :
advertisement
advertisement
আপনার কিশোরের জন্য বেডরুম রং করার সময় এমন একটা টোন ব্যবহার করুন যা আপনার সন্তানকে মেজাজকে ভালো রাখবে। এক্ষেত্রে আপনি প্যাস্টেল রং ব্যবহার করতে পারেন যা ঘরের প্রাণবন্ততা কে ফুটিয়ে তোলে এবং একটা সুন্দর , সুষম এবং আধুনিক অনুভূতি দেয়। এছাড়াও বাচ্চার ঘরের দেয়ালকে উজ্জ্বল করতে কাস্টম প্রিন্টেড ওয়াল, গ্রাফিতি ওয়াল ,নিয়নে লেখা আপনার ফেভারিট ওয়ার্ডস ,লাইটিং মার্কি সাইন এসব কাজে লাগাতে পারেন। নিজেদের পার্সোনালাইজড পেইন্টিং তাদের গল্পগুলোকে জীবন্ত করে তোলে। ঘরের দেওয়ালে আপনি ওয়ালপেপারও ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার কিশোরের ঘরের সৌন্দর্যকে দ্বিগুন করে তুলতে সাহায্য করবে। তাছাড়া নীল রঙের গাড়ি এবং ড্রামের পেইন্টিং তরুণ কিশোরদের কাছে খুবই পছন্দের।
advertisement
স্টোরেজ :
টিনএজারদের জন্য একটা স্টোরেজ প্লেস থাকা খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ তাদের কারো বই পড়ার শখ , কারো খেলার শখ এবং অনেকের আবার নিজেদের হবি নিয়ে মেতে থাকার ইচ্ছে থাকে। তাই স্থায়িত্বকে মাথায় রেখে একটি বুকশেল্ফ রাখতে পারেন যা আপনার সন্তানদের ভালো বই পড়তে অনুপ্রেরণা দেবে।
শোওয়ার ঘরে পর্যাপ্ত স্থান :
বেডরুমের সঙ্গে কিশোরদের সম্পর্কটা খুবই ঘনিষ্ঠ। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্প গুজব, পড়াশুনা করা, ক্রিয়েটিভ কাজ করা সবই প্রায় বেডরুম ভিত্তিক। তাই তাদের শখ এবং পছন্দের ওপর ভিত্তি করে ঘরের ডিজাইনের থিম নির্ধারণ করুন। এছাড়াও তাদের বন্ধুদের আরাম করার জন্য বিছানার ফুটবোর্ডের বিপরীতে একটি ছোট বসার জায়গা রাখুন , ঘরের কোণে একটি গালিচা এবং কিছু প্লাশ বালিশ রাখুন যাতে তারা ফ্রি হয়ে সেই জায়গায় একটু বিশ্রাম নিতে পারে।
advertisement
পড়াশুনার জায়গা:
ঘরে একটু পড়াশুনার করার জায়গা রাখুন যেখানে আপনার কিশোর সন্তান শান্ত পরিবেশে পড়াশুনার একটি রুটিন মেনে চলতে পারে। এইসময়েই টিনএজারদের পড়ার চাপ বাড়ে এবং হোম ওয়ার্কের ভিড় জমা হয়। তাই ঘরের অভ্যন্তরীন নকশা এমন হওয়া উচিত যা তাদের নিয়মিত সেইসব কাজগুলো করতে অনুপ্রেরণা দেয়।
দেয়ালের উল্টোদিকে একটি ভাল টাস্ক লাইট এবং বই, পেন্সিল এবং নোট সাজানোর জন্য একটা সরু ডেস্ক বা শেলফ রাখুন। ডেস্কের নিচে একটা ছোট স্টুল রাখা যেতে পারে যা পড়াশুনা হয়ে গেলে তলায় ঢুকিয়ে রাখা যায়। ওয়াল মাউন্টেড স্টোরেজগুলোও এক্ষেত্রে খোলা ডকুমেন্টস , পড়াশুনার নোটপত্র রাখার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
advertisement
লাইটিং :
আপনার কিশোরের শোওয়ার ঘরের জন্য বিভিন্ন ধরণের লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু তাদের মুড সারাদিনে অনেকভাবে চেঞ্জ হয় ,তাই সেটা মাথায় রেখেই আপনাকে তাদের ঘরের লাইটিং করার কথা ভাবতে হবে। বিছানার পাশে পড়াশুনা করার জন্য কিংবা স্কুলের কাজ করার জন্য উজ্জ্বল টাস্ক লাইটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও শান্ত ব্যাক লাইট যেমন ফেয়ারি লাইটস বা ওয়ার্ম টেবিল ল্যাম্প কিশোরের ঘরকে একটি আরামদায়ক স্থান বানাতে সাহায্য করে।
advertisement
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
আপনার টিনএজার সন্তানের পছন্দমতো ঘর সাজাতে চান ? এই ৫টি জিনিস মাথায় রাখুন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement