শীতে আপনার সন্তানের ইমিউনিটি মজবুত রাখতে এই ৫টি পেরেন্টিং টিপস মেনে চলুন

Last Updated:

Parenting tips in winter : কোভিড-১৯ এর পরে মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি বাড়াবার একটা প্রবণতা তৈরি হয়ে গেছে।

শীতকাল এসে গেছে। এই সময় বিভিন্ন রোগের প্রকোপে মানুষ নাজেহাল হয়ে ওঠে। শীতে সর্দি , কাশি, ভাইরাল ইনফেকশন ,গলা ব্যথা ,জ্বর এসব শিশুদের মধ্যে খুবই কমন । তাই আগে থেকেই এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার যাতে তাদের ইমিউনিটি মজবুত হয়। কারণ ইমিউনিটি শক্তিশালী হলে তা আমাদের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। নবজাতকদের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা আলাদা। শিশুর জন্মের পর থেকে প্রথম কয়েক বছর তাদের শরীরে ইমিউনিটি ধীরে ধীরে তৈরি হয়। তাই বিশেষ করে এই শীতের সময় তাদের অনেক যত্নের প্রয়োজন হয়।
কোভিড-১৯ এর পরে মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি বাড়াবার একটা প্রবণতা তৈরি হয়ে গেছে। তাই শিশুদের রোগ জ্বালা বা অসুস্থতার হাত থেকে বাঁচাতে তাদের কিছু ভালো এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যেস শেখান।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ইমিউনিটি বাড়াবার  কিছু টিপস -
advertisement
গরম জল খাওয়ান  :
শিশুদের মধ্যে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল বের করে খাওয়ার একটা প্রবণতা আছে।  তাদের কাছে এটা মজার জিনিস হলেও শীতের সময় এটা কিন্তু আপনাকে শিশুর ক্ষেত্রে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আগেই সাবধান হয়ে যাওয়া ভালো।  শীতকালে ঠান্ডা জল খেলে তা শিশুদের মধ্যে রেসপিরেটরি ইনফেকশন কিংবা ইনফ্লামেটরি সমস্যা নিয়ে আসতে পারে , এমনকি সর্দি কাশিও হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন  উষ্ণ গরম জল বা জল ফুটিয়ে অল্প ঠান্ডা হলে তা আপনার শিশুকে খাওয়াতে।  এছাড়াও জিরা বা অন্য কোন হার্বস জলে ফুটিয়ে তা শিশুকে খাওয়ালে তাতে শিশুর ইমিউনিটি বাড়বে।
advertisement
অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক এড়িয়ে চলুন :
ছোটোখাটো অসুখ, সর্দি কাশি, ঠান্ডা লাগা অথবা হালকা ফ্লুর উপসর্গ থাকলে যতটা সম্ভব এন্টিবায়োটিক এড়িয়ে চলুন। বাড়িতেই এমন অনেক কিছু পাবেন যা প্রয়োগ করলে তারা সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। বরং একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন যিনি আপনার শিশুর সঠিক চিকিৎসা করে সঠিক ওষুধ দেবেন।  অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার শিশুর মাইক্রোবিয়াল ফ্লোরা এবং ইমিউনিটির ক্ষতি করতে পারে।
advertisement
বাইরে খেলতে দিন :
শীতকাল বলে তাদের বাড়ির মধ্যে আটকে না রেখে বরং বাইরে খেলতে পাঠান। এটাত তাদের মন মেজাজ , মানসিক স্বাস্থ্য সবই ভালো থাকে। প্রাকৃতিক পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে সূর্যের আলোয় তাদের বাড়তে দিন সেটা তাদের শরীরের পক্ষে খুব ভালোভাবে কাজ করে এমনকি তাদের ইমিউনিটিকেও বাড়ায়।
ঘুম  ঠিক রাখা  :
প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রেই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ন কারণ সুস্থ শরীরের জন্য একটি শিশুর কমপক্ষে ৯ ঘন্টা সম্পূর্ণ ঘুম হওয়া উচিত। সেটা না হলে তা তাদের শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। শিশুদের সারাদিনের ঘুমের সাইকেলতা ঠিক ঠিক সেটা তাদের মধ্যে ইমিউনিটি এবং লাইফস্টাইল দুটোকেই উন্নত করে।
advertisement
হাত ধোয়া :
শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগ এই হাত না ধোয়ার কারণেই হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ ইনফেকশন এই স্পর্শ থেকে ছড়ায়। জল নিয়ে খেলা করতে বাচ্চারা ভালোবাসে ঠিকই, তবে হাঁচি কাশির পর তাদের অবশ্যই ভালো হাত ধোয়া শেখানো উচিত। এমনকি হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতিও তাদের শিখিয়ে দেবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চললে এই সমস্ত ইনফেকশন থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
advertisement
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
শীতে আপনার সন্তানের ইমিউনিটি মজবুত রাখতে এই ৫টি পেরেন্টিং টিপস মেনে চলুন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement