Tarapith Temple: তীব্র গরমে এক বিশেষ কারণে গভীর উদ্বিগ্ন তারাপীঠ মন্দির কর্তৃপক্ষ

Last Updated:

Tarapith Temple:দ্বারকা নদীর তীরে আরতি শুরুর মধ্য দিয়ে তারাপীঠের পর্যটনে নতুন পালক সংযোজিত হয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল এই সন্ধ্যা আরতি দেখতে তারাপীঠ আরও পর্যটকদের ঢল নামবে।

+
মা

মা তারা

সৌভিক রায়, বীরভূম: বীরভূমের মধ্যে অন্যান্য যে সমস্ত দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার মন্দির। আর সেই কারণেই তারাপীঠ মন্দিরকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।হরিদ্বার এবং বারাণসীর আদলে দ্বারকা নদের পাড়ে শুরু হয়েছিল সন্ধ্যা আরতি। কিন্তু ক্রমশ কমছে দ্বারকার জল। নদীতে জল প্রায়ই নেই বললেই চলে।ফলে কার্যত চিন্তায় পড়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি।দ্বারকা নদীর তীরে আরতি শুরুর মধ্য দিয়ে তারাপীঠের পর্যটনে নতুন পালক সংযোজিত হয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল এই সন্ধ্যা আরতি দেখতে তারাপীঠ আরও পর্যটকদের ঢল নামবে।কিন্তু অভিযোগ, নদে জল না থাকলে সন্ধ্যা আরতির আকর্ষণ অনেকটাই মলিন হয়ে যাচ্ছে।মন্দির ছাড়া তারাপীঠে বেড়ানোর তেমন কোনও জায়গা না থাকায় হোটেলবন্দি হয়েই থাকতে হয় পুণ্যার্থীদের।এই নিয়ে মানুষের আক্ষেপ ছিল।
সেই আক্ষেপ এবং চাহিদা মেটাতে বছর পাঁচেক আগে টিআরডি-এর পক্ষ থেকে প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বারকার পশ্চিম পাড়ে প্রায় হাফ কিমি দৈর্ঘ্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে।নদীর পাড় উঁচু করে গড়ে উঠছে পার্ক।টাইলস দিয়ে রাস্তা করে সেখানে নিরিবিলিতে বসার জায়গা করা হয়েছে।মনে হবে একেবারে দ্বারকা নদের উপরে রয়েছেন।সেখান থেকে মন্দির, শ্মশান ছাড়াও চারিদিকের সৌন্দর্য চাক্ষুষ করা যায়।পার্কটিকে আলোকজ্জ্বল করতে বসানো হয় এলইডি বাতিস্তম্ভ। চারপাশে পাতাবাহার ও রংবেরঙের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
advertisement
দ্বারকার পাড়ের এই সৌন্দর্য এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।বাংলার ১৪৩১ সালে ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যার দিন থেকে প্রশাসনের উদ্যোগে বারাণসীর মতোই দ্বারকা নদের সাজানো পাড়ে শুরু করা হয় আরতি।যা পর্যটকদের কাছে তারাপীঠের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে ৩৬৫ দিন গঙ্গা আরতি হয়ে থাকে। অনেকটা সেই ভাবেই সন্ধ্যায় দ্বারকা নদের তীরে মন্ত্রোচ্চারণ করে আরতি করা হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : গুণের ভান্ডারেই লুকিয়ে বিষাক্ত ক্ষতি!তুমুল জনপ্রিয় এই পানীয় গলায় ঢাললেই কুরে কুরে শেষ কিডনি! বিপজ্জনক ব্লাড প্রেশার
উত্তরবাহিনী দ্বারকার পাড়ে আরতির পাশাপাশি মন্দির, মহাশ্মশান, তীর্থভূমিতে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে। কিন্তু ক্রমশ দ্বারকা নদের জল কমে আসছে। স্বভাবতই আরতি নিয়ে চিন্তায় মন্দির কমিটি।গত বছর ১৫ ডিসেম্বর তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ এর অফিসে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠকে সেই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন তাঁরা। দ্বারকা নদে যাতে সারা বছর জল ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলার জন্য মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলোচনা করেন জেলাশাসক বিধান রায়। তবে সেই বৈঠকের পর কয়েক মাস কেটে গেলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Tarapith Temple: তীব্র গরমে এক বিশেষ কারণে গভীর উদ্বিগ্ন তারাপীঠ মন্দির কর্তৃপক্ষ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement