#কলকাতা: হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন সমান নয়, তেমনই প্রত্যেকটা মানুষও সমান হয় না৷ আর তাদের ভাবনা-চিন্তা, মতামত- এই সব কিছুই একে অন্যের থেকে আলাদা হতেই পারে৷ কিন্তু এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যারা সকলের মন জুগিয়ে চলতে ভালোবাসে৷ ফলে মতের মিল না হলেও তারা সেটা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করতে পারে না৷ আসলে অন্যের হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলানো অথবা না-তে না মেলানোটাই তাদের স্বভাব হয়ে দাঁড়ায়৷ কিন্তু নিজের মত বা চাওয়া-পাওয়াকে দমিয়ে রেখে কি কোনও মানুষ ভালো থাকতে পারে? একেবারেই না৷ কিন্তু কী কী লক্ষণ দেখলে বোঝা যাবে যে, আমরা মানুষের মন জুগিয়ে চলতে ভালোবাসি? জেনে নেওয়া যাক এবারের শারদীয়া উৎসবে; অন্যায়াসুরকে দমন করে এগিয়ে যাওয়া যাক আলোর বৃত্তে!
সর্বদা সহমত:
যাঁরা অন্যের মন জুগিয়ে চলতে পছন্দ করেন, তাঁরা সব সময় অন্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন৷ আসলে সে ক্ষেত্রে যেটা হয়, সেটা হল- কারও সঙ্গে আমাদের মতের অমিল হতেই পারে৷ কিন্তু সেটা প্রকাশ না-করে আমরা সহমত পোষণের ভান করে যেতে থাকি৷ কারণ তখন আমাদের মনে হতে থাকে যে, অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে সহমত পোষণ না-করলে আমরা তাঁদের চোখে খারাপ হয়ে যেতে পারি৷
বারবার ‘সরি’ বলা:
লক্ষ্য করতে হবে যে, আমরা কি একটু বেশিই ‘সরি’ বলছি? আর বার বার কারও কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি! তা হলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে৷ আসলে এটা একটা বড় ধরনের সমস্যা৷ কারণ আমাদের এই আচরণই বুঝিয়ে দেবে যে, আমরা নিজেদের বিষয়েই যথেষ্ট সন্দিহান৷
অন্যের ভালো থাকার দায়িত্ব:
আবার এটাও নজর রাখতে হবে যে, আমাদের আশপাশে থাকা মানুষজনকে কি আমরা সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করছি? তা হলে বুঝে নিতে হবে যে, আমাদের মতো মানুষেরা সকলের মন জুগিয়ে চলতে পছন্দ করে৷ আসলে আমাদের বোঝা উচিত, আমরা সব সময় সবার মন জুগিয়ে চলতে পারব না৷
সব কাজের ভার:
সকলের চোখে ভালো হতে গিয়ে অনেকেই সব কাজের দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নেন৷ আর এখানেই তাঁরা প্রধান ভুলটা করে বসেন৷ কারণ ভুললে চলবে না যে, আমরা প্রত্যেকেই রক্তমাংসের মানুষ৷ অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে গেলে তা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়৷ যার ফলে মনে প্রচণ্ড চাপ পড়ে৷
সকলের কাছ থেকে প্রশংসা:
আমরা যখন কারও জন্য কিছু করি, তখন সেই মানুষটির থেকে আমরা প্রশংসা শুনতে চাই৷ অন্যের কাছ থেকে নিজের কাজের স্বীকৃতি আদায় করাই হয় তো আমাদের কাছে বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে৷
বাকবিতণ্ডা থেকে শতহস্ত দূরে:
হয় তো কোথাও কোনও বাকবিতণ্ডা চলছে৷ এমন পরিস্থিতি তৈরি হলেই আমরা কি শত যোজন দূরে চলে যাচ্ছি? এমনকি চোখের সামনে কাউকে অন্যায় করতে দেখলেও তার কোনও প্রতিবাদ করতে পারছি না? তা হলে বুঝতে হবে যে, আমরা লোকের চোখে খারাপ হতে চাই না বলেই কোনও রকম প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটতে চাইছি না৷ কারণ মনে রাখতে হবে, আমরা প্রত্যেকেই এক-এক জন আলাদা আলাদা মানুষ এবং তাই আমাদের মতামতও ভিন্ন হতে পারে৷ আর অন্যায় চাক্ষুষ করলে তো তার প্রতিবাদ করাই উচিত!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Personality Traits