#অস্ট্রেলিয়া: বাস্তুতন্ত্রে সব প্রাণীরই একটা অমোঘ ভূমিকা থাকে। প্রয়োজন ছাড়া এই পৃথিবীতে একটি প্রাণও জন্ম নেয় না। নেপথ্যের কারণ হিসেবে আস্তিকরা জোড়হাত হবেন ঈশ্বরের সামনে, অন্য দল তুলে ধরবেন প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার কথা। কিন্তু সম্প্রতি সমুদ্রতলের যে প্রাণীটির ছবি প্রকাশ্যে এল তা এক খাতে মিলিয়ে দিয়েছে প্রকৃতি এবং ঈশ্বরকে। সাংখ্য দর্শন যাকে পুরুষ বলে অভিহিত করে থাকে।
দেখা যাচ্ছে যে প্রকৃতির বিচিত্র ইচ্ছায় পুরুষের শরীরের যৌন অঙ্গের মতো এক রকমের প্রাণী জন্ম নিয়েছে সমুদ্রতলে। তবে, তা সম্প্রতি নয়। সম্প্রতি শুধু সেই সামুদ্রিক প্রাণীর এমন নিখুঁত একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে মাত্র। যা আমাদের সঙ্গে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করে নিয়েছেন জোসি জোন্স। বছর আটচল্লিশের এই মহিলা একজন ফ্রি ডাইভার। অর্থাৎ সমুদ্রতলে যখন খুশি ডুবসাঁতার দিয়ে বেড়ানোই তার পেশা এবং নেশা। বিগত ১০ বছর ধরে এই কাজ অস্ট্রেলিয়ার উপকূলবর্তী নানা সমুদ্রতলে বিচরণের মাধ্যমে করে আসছেন জোন্স। কিন্তু পেনিস ফিশের দেখা যে এই প্রথম পেলেন, সেটা উল্লেখ করতে ভোলেননি তাঁর Instagram পোস্টে। তাঁর দাবি- হয় তো এই প্রাণী এসে ঠেকেছে অবলুপ্তির মুখে!
View this post on Instagram
একেবারে সরাসরি পেনিস বা পুরুষাঙ্গ হিসেবে নামকরণ একটু অস্বস্তির বইকি! কিন্তু এই মাছের দেহের আকার যে পুরুষের যৌন অঙ্গের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়, তা নিজের পোস্ট করা একগুচ্ছ ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন জোন্স। কোথাও খুব একটা প্রভেদ নেই বললেই চলে! সেই জন্যই আপাতত সমুদ্রতলের এই আশ্চর্যদর্শন প্রাণী এই নামে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা নানা রসিকতা করে চলেছেন এর দেখা পেয়ে, অনেকে আবার শুধুই বিস্ময় প্রকাশ করছেন! জোন্স নিজেও রসিকতা করে বলেছেন যে প্রাণীটি যদি জানত তাকে নিয়ে কেন আগ্রহ বাড়ছে, তাহলে সে নিজেও অস্থির হয়ে পড়ত!
অবশ্য, মাছ বলে ডাকা হলেও আদতে এই প্রাণী পড়ে সমুদ্রতলের পোকাদের গোত্রে। এরা সমুদ্রতলের নিচে ৯০ প্রায় ৩০০ ফুট গভীর কাদাজলে বাস করে। এদের বিজ্ঞানসম্মত নাম রাখা হয়েছে ফাইলাম প্রায়াপুলিডা। এই শ্রেণীর সব প্রাণীর সঙ্গেই পুরুষাঙ্গের আকারের সাদৃশ্য আছে। তবে ভিক্টোরিয়ার রাই ফ্রন্ট বিচের নিকটবর্তী সমুদ্রতলে সমুদ্র যে প্রাণীটির দেখা পেয়েছেন জোন্স, তার সঙ্গে সাদৃশ্যটি বড় বেশি বিস্ময়কর! বলা হয়, গ্রিক পুরাণের দেবতা প্রায়াপোজের নামে এই সামুদ্রিক প্রাণীর গোত্রের নাম রাখা হয়েছে। কেন না, এই দেবতাটির অধীনেই থাকে পুরুষের প্রজনন শক্তি!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।