#কলকাতা: সমাজে এমন অগণিত কুসংস্কার (Superstition) রয়েছে যা আমাদের বেশ কিছু কাজ করতে বা না করতে বাধ্য করে। এর মধ্যে অন্যতম হল সূর্যাস্তের পরে নখ না কাটা। আমরা বোধহয় অনেকেই জানি না যে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর নখ কাটতে বারণ করা হয় কেন? এর নেপথ্যে আদৌ কোনও যুক্তি রয়েছে কি (Nail Cutting Superstition)?
বেশিরভাগ ভারতীয় পরিবারে এবং বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রাচীন দেশে এই সংস্কার চালু রয়েছে। এই ধরনের পুরনো কিছু অভ্যাস আমাদের অনেকের কাছে উদ্ভট বা অযৌক্তিক মনে হতে পারে। অনেক মানুষই এগুলিকে নিছক কল্পনা বলে উড়িয়ে দেন। আবার অনেকে এ ধরণের প্রাচীন বিশ্বাসকে অনুসরণ করেন এবং কঠোরভাবে সেই নিয়ম মেনে চলেন। কিন্তু তার কারণ কী (Superstition)?
আরও পড়ুন-রাজ্যের এই জেলায় আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস ! জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
সূর্যাস্তের পর নখ কাটতে নিষেধ করার মূল কারণ কিন্তু হল নেহাতই শারীরিক সুরক্ষা, এর সঙ্গে দুর্ভাগ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। আগেরকার দিনের মানুষ ঘরে আলো সরবরাহ করতে সাধারণত লণ্ঠন বা তেলের বাতি ব্যবহার করত। অতএব, দিনের স্বাভাবিক আলো ছাড়া রাতে সে ভাবে কোনও সূক্ষ্ম কাজ করার অভ্যাস ছিল না। ফলে রাতের নিভু-নিভু আলোতে নখ কাটতে গেলে যে কোনও সময় হাত-পায়ের আঙুল কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত।
এখানেই শেষ নয়। সে সময় নখ কাটার জন্য নানা ধরনের হাতিয়ার, যেমন ধারালো কাটারি বা ছুরি ইত্যাদি ব্যবহার করা হত, এগুলো অন্ধকারে সঙ্গত কারণেই আঘাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। দিনের আলোতে এগুলো ব্যবহার করা যতটা সহজ ছিল, রাতে হয়ে দাঁড়াত ততটাই বিপদজনক।
আরও পড়ুন-ছেলের সঙ্গে ঝামেলার পর ট্রেন লাইনে শুয়ে পড়লেন মহিলা ! দেখুন তারপর কী ঘটল
তা ছাড়া যে নখগুলো ত্বকের বাইরে বিস্তৃত থাকে, সেগুলো সাধারণত আমাদের মৃত কোষ। সুতরাং, আলোর অভাবে, হাতের আঙুল এবং পায়ের আঙুল থেকে কাটা এই অস্বাস্থ্যকর মৃত ত্বকের কোষগুলো খাবারে গিয়ে পড়লে দেখা যাবে না, কাপড়ে আটকে থাকতে পারে এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
তাই প্রবীণরা সূর্য অস্ত যাওয়ার পর নখ কাটতে বারণ করেন। এর সঙ্গে কুসংস্কারের কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু সঠিক কারণ না জেনে দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ম মেনে চলার জন্য আজ তা কুসংস্কারে পরিণত হয়েছে।
Tags: Superstition