#কলকাতা: করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারপর থেকেই দেশজুড়েই মাস্ক কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কেউ N95 মাস্ক কিনছেন। কেউ আবার সার্জিক্যাল মাস্কেই কাজ চালাচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি করোনা মোকাবিলায় ঠিক কতটা উপযোগী ফেস মাস্ক?
N95 এবং সার্জিকাল মাস্ক-এর জোগান তুলনায় কম আর সেই সব মাস্ক স্বাস্থ্যকর্মীদের দরকার, সাধারণ নাগরিকের নয়। আম জনতার জন্য নিতান্ত কাপড়ের মাস্কই যথেষ্ট।
করোনার হাত থেকে বাঁচতে কি মাস্ক পরা উচিত? ঠিক কোন পরিস্থিতিতে মাস্ক পরবেন? কী ধরনের মাস্ক পরলে ঠেকানো যাবে ভাইরাসের সংক্রমণ? বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়ে মাস্ক নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। হু বলছে, সুস্থ ব্যক্তির সবসময়ে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়ে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়েছে ৷ বাড়ির তৈরি কাপড় দিয়ে মাস্ক বানালেও তা কার্যকর হবে ৷ বাড়িতে তৈরি ফেসকভার যেভাবে কাজ করবে সেটা হল যদি কেউ সংক্রমিত থাকেন তাহলে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি কথা হলে এই মাস্ক বাঁচায় ৷ বিশেষত যে জায়গায় ভিড় রয়েছে অর্থাৎ বাজার সেখানে এই মাস্ক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ৷ যখন গাড়িতে সফর করছেন অর্থাৎ যেখানে কোনওভাবেই সোশ্যাল ডিসটেন্সিং সম্ভব নয় সেখানেও মাস্কের ব্যবহার কাজ দেবে ৷
মাস্কের সুবিধা কী ? মাস্কে নাক মুখ ঢেকে রাখলে ভাইরাসের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। হাতে তৈরি মাস্ক প্রফেশনাল মাস্কের মত কার্যকর না হলেও কোনও মাস্ক না পরার চেয়ে এ মাস্ক পরা ভাল। সুতির কাপড়ের তৈরি সাধারণ মাস্ক বড় পার্টিকল প্রতিরোধ করতে পারে এবং তা বারবার ধুয়ে ব্যবহার করাও যায়। বাড়িতে তৈরি দ্বিস্তরীয় মাস্ক সার্জিক্যাল মাস্কের মতই নভেল করোনাভাইরাসের চেয়েও ক্ষুদ্রতর কণাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ম্যানুয়ালে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: #MakeYourOwnMask, Coronavirus, COVID-19, Face covers, Homemade, Mask