#কলকাতা: ব্যক্তিবিশেষে কোভিড থেকে সেরে উঠতে একেক রকম সময় লাগে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ কয়েক মাস, এমনকী বছরও থাকতে পারে। সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ফুসফুস, হার্ট এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে যা থেকে দীর্ঘকালীন স্বাস্থ্যের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পাশাপাশি, লং কোভিড লক্ষণ শুধু যাঁদের প্রাথমিকভাবে গুরুতর সংক্রমণ হয়েছিল তাঁদের মধ্যেই হবে এমনটা নয়। কারণ কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর মৃদু উপসর্গ থাকলেও লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা দেখা গিয়েছে। আর লং কোভিডের অনেকগুলি উপসর্গের মধ্যে একটি সাধারণ উপসর্গ হল পোস্টুরাল টাকাইকার্ডিয়া সিনড্রোম।
আরও পড়ুন: তীব্র গলাব্যথায় ভুগছেন? এটাই কিন্তু ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে খারাপ লক্ষণ
পোস্টুরাল টাকাইকার্ডিয়া সিনড্রোম কী?
পোস্টুরাল টাকাইকার্ডিয়া সিনড্রোম (Postural orthostatic tachycardia syndrome), সংক্ষেপে পিওটিএস (PoTS) হল লং কোভিডের একটি সাধারণ লক্ষণ। এক্ষেত্রে শুধু দাঁড়ালেও হৃদস্পন্দন দ্রুত হতে পারে। বসা বা শুয়ে থাকা থেকে উঠে দাঁড়ালে হৃদস্পন্দনের প্রতি মিনিটে কমপক্ষে ৩০ বিট গতি হতে পারে। তবে এটি দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক হয় না। একই সঙ্গে বসা থেকে দাঁড়ানোর ১০ মিনিট পরেও মাথা ঘুরতে পারে। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তিরা অনেক সময় দেহের ভারসাম্য রাখতে পারেন না বলে এটি তাঁদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়। সেক্ষেত্রে কারও দেহভঙ্গিতে পরিবর্তনের জন্য শরীরের অটোনমিক স্নায়ুতন্ত্র রক্তচাপের মাত্রা এবং হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পিওটিএস হয়।
পিওটিএস এবং কোভিড-১৯:
পিওটিএস বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে সার্স-কোভ-২-এর মতো ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ায় অনেক সময়ে পিওটিএস হয়। করোনাভাইরাস থেকে পিওটিএস হতে পারে এবং কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পরে পিওটিএসের উপসর্গ থাকে। এই উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে দ্রুত হৃদস্পন্দন, ব্রেন ফগ, হালকা মাথাব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি এবং ক্লান্তি।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার সঙ্গে বদলে কেন ও কীভাবে বদলে যায় আমাদের মন, জানাচ্ছেন গবেষকরা
কাদের পিওটিএস হতে পারে?
কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত যে কারও পিওটিএস হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মৃদু কিংবা গুরুতর লক্ষণ দেখা যায়। তবে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা কোভিড পরবর্তী পিওটিএস হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে কোভিড-এর পূর্বের ইতিহাস, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড়ানি।
সুস্থ থাকতে কী করতে হবে?
কোনও লক্ষণ বুঝতে পারলেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। হালকা মাথা বা মাথা ঘোরা অনুভব করলেই বসে বা শুয়ে পড়া উচিত। তার পর সুস্থ বোধ করলে ধীরে ধীরে সাবধানে শরীরকে সামঞ্জস্য দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দিয়ে উঠে বসতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা রোগীকে প্রচুর পরিমাণে জল এবং লবণ খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
অন্যান্য লং কোভিড লক্ষণ:
পোস্টুরাল টাকাইকার্ডিয়া সিনড্রোম ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি লং কোভিড উপসর্গ দেখা যেতে পারে। যেমন শ্বাসকষ্ট, কাশি, জয়েন্টে ব্যথা, বুকে ব্যথা, পেশি ব্যথা, মাথাব্যথা, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং জ্বর। তাই লং কোভিড উপসর্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং উপযুক্ত বিশ্রাম নেওয়াও জরুরি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Long Covid