নতুন বছরে বদলে ফেলুন রান্নাঘরের আনাচ কানাচ! এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেছেন তো?

Last Updated:

অনেক সময়ই মনের মতো করে রান্নাঘর পরিপাটি করে রাখা সম্ভব হয় না। তবে এই নতুন বছরে কয়েকটি দিকে নজর রাখলেই কিন্তু সেটা করে ফেলা সম্ভব।

কী ভাবে ভোলবদল রান্নাঘরের?
কী ভাবে ভোলবদল রান্নাঘরের?
কলকাতা : বাড়ির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল রান্নাঘর। অথচ, সব সময়ই এই রান্নাঘরের প্রতি একটা উপেক্ষা থেকে গিয়েছে। একটা সময় তেল-কালি মাখা ওই ঘরে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কাটাতেন মা, কাকিমারা। কিন্তু দিন বদলেছে। ব্যস্ত ছোট্ট সংসারে এখন রান্নার সময় যেমন কম, তেমনই পরিসর কমতে কমতে এখন ডাইনিং-ড্রয়িংয়ের পাশে একফালি জায়গায় এসে ঠেকেছে রান্নাঘর। স্বাভাবিক ভাবেই তাকে হতে হয়েছে স্মার্ট। একেবারে খোলা রান্নাঘরের কিছু উপকারিতাও অবশ্য রয়েছে। যিনি রান্না করছেন তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও কিছুটা সময় কাটিয়ে ফেলতে পারে রান্না করতে করতেই। তবে এক্ষেত্রে রান্নার জায়গাটি আরও পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখার প্রয়োজন। না হলে সম্পূর্ণ অন্দরসজ্জাটিই একেবারে ভেস্তে যেতে পারে।
কিন্তু অনেক সময়ই মনের মতো করে রান্নাঘর পরিপাটি করে রাখা সম্ভব হয় না। তবে এই নতুন বছরে কয়েকটি দিকে নজর রাখলেই কিন্তু সেটা করে ফেলা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক কীভাবে!
ড্রয়ার সাজানো—
আধুনিক রান্নাঘরে সকলেই ড্রয়ার ব্যবহার করেন। তাতে যেমন হাতা, খুন্তি, চামচ, ছাঁকনি রাখা হয়, আবার রাখা হয় মশলাপাতিও। কোথাও মশলার প্যাকেটে উদ্বৃত্ত মশলা মুড়িয়ে রেখে দেওয়া হয়। ফলে অনেক সময় ঠিক জিনিসটা ঠিক সময় খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির সহজ উপায় হল ড্রয়ারে কয়েকটা পার্টিশন করে নেওয়া। এই ধরনের পার্টিশন অনলাইন স্টোরে কিনতে পাওয়া যায়। ম্যাসনাইট বোর্ড কিনে নিজের মাপ মতো নিজেও বানিয়ে নেওয়া যায়। তাতে সমস্ত জিনিস নিজের নিজের জায়গায় থাকতে পারে।
advertisement
advertisement
তাকের বিন্যাস—
তাকে সাজিয়ে রাখা জিনিসগুলি খুঁজে পেতেও আমাদের অনেক সময় অসুবিধা হয়। সে সব ক্ষেত্রে খুব ভাল ভাবে আগে ভাবনাচিন্তা করে রান্নার সামগ্রী সাজিয়ে রাখলে ভাল হবে। অনেকটা গ্রন্থাগারের মতো। আগে থেকে তাক ঠিক করে এক একটি জিনিস সাজাতে হবে। কোনও তাকে পর পর রাখা থাক চাল, ডাল, আটা, চিনি। অন্য তাকে থাক মশলার গুঁড়ো, গোটা মশলা। তেলের জন্য বরাদ্দ হোক পৃথক তাক।
advertisement
এবার দেখে নেওয়া যাক রান্নাঘরের জায়গা খুব কম হলে কী করা যেতে পারে।
প্রথমেই এমন পরিকল্পনা করতে হবে যাতে কোনও জায়গা বাদ না পড়ে। সে জন্য খুব ছোট ছোট অংশকেও ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। রান্নার টেবিল যতটা সম্ভব ফাঁকা রাখাই ভাল। তাতে রান্নার সময় অসুবিধা কম হবে।
কোনায় তাক—
আজকাল নানা ধরনের সুদৃশ্য ছোট তাক কিনতে পাওয়া যায়। নানা উপায়ে তা দেওয়ালে লাগিয়েও নেওয়া যায়। এমন তাক রান্না ঘরের কোনায় লাগিয়ে নিলে প্রয়োজনীয় নানা জিনিস রাখা যায়। আবার তার সঙ্গে দু’একটি শো-পিস বা ছোট গাছ সাজিয়ে ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তোলা যায়।
advertisement
ওয়াল হুক—
কম জায়গার ক্ষেত্রে রান্নাঘরের দেওয়ালে হুক লাগিয়েও সুব্যবস্থা করে নেওযা যেতে পারে। এতে চায়ের কাপ, হাতা, সসপ্যান, চপিং বোর্ড ইত্যাদি টাঙিয়ে রাখাটা একধরনের ফ্যাশন। তবে হ্যাঁ, সব কিছু পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন হওয়া খুবই প্রয়োজন।
advertisement
তাকের সদ্ব্যবহার—
অনেক সময়ই রান্নাঘরে একই মাপের তাক থাকে। তাতে একটি অংশে যেমন বড় কোনও বোতল বা জার রাখা যায়, অন্য অংশে ছোট কিছু রাখলে মাথার উপর ফাঁকা পড়ে থাকে, অনেকটা জায়গা নষ্ট হয়। সেখানে আলাদা করে একটা তাক করে নেওয়া যেতে পারে। এমন ধরনের শেল্ফ ডিভাইডারও আজকাল কিনতে পাওয়া যায় অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে।
advertisement
স্মার্ট সাজসজ্জায় প্রয়োজন পূরণ—
রান্নাঘরে শুধু প্রয়োজনের জিনিস রাখলেও চলবে না, কারণ সেটি একেবারে খোলামেলা। আবার অতিরিক্ত সজ্জাসামগ্রী রাখলে স্থানসঙ্কুলান নিয়ে সমস্যা। তাই এমন কিছু জিনিস রাখা যেতে পারে যা, দু’রকম কাজই করতে পারে।
ফ্রিজের পাশে একটি চকবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা এখন খুবই আধুনিক। এতে রোজের দরকারি কোনও কথা লিখে রাখা যেতে পারে, যেমন বাজারের ফর্দ। মনে রাখার সুবিধা।
advertisement
আবার মোটিভেশনাল কোনও বাণীও লিখে রাখা যেতে পারে। তাতে মন ভাল থাকে। কোনও ওষুধ খাবার থাকলে তার সময়ও লিখে মনে রাখা যায়।
একই ভাবে ব্যবহার করা যায় ফ্রিজ ম্যাগনেটও। ফ্রিজ ম্যাগনেটের সঙ্গে স্টিকি নোট রাখা যায়। মোটিভেশনাল কোটও রাখা যায়। আবার আজকাল ছোট ছোট পটে ম্যাগনেট লাগানো থাকে, যাতে একটা ছোট মানিপ্ল্যান্ট অনায়াসে রাখা যায়।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
নতুন বছরে বদলে ফেলুন রান্নাঘরের আনাচ কানাচ! এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেছেন তো?
Next Article
advertisement
Birbhum News: তিন বছরের প্রেম, বিয়ে করলেন নমিতা-সুস্মিতা! ভিড় উপচে পড়ল দুবরাজপুরের শিব মন্দিরে
তিন বছরের প্রেম, বিয়ে করলেন নমিতা-সুস্মিতা! ভিড় উপচে পড়ল দুবরাজপুরের শিব মন্দিরে
  • সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছিল পরিচয়, তারপর গড়ে ওঠে গভীর প্রেম। সেই সম্পর্কের বাঁধন এবার রূপ নিল বিবাহে। বীরভূমের দুবরাজপুরে শিব মন্দিরে সাতপাক ঘুরে নয়, সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে পরস্পরের জীবনসঙ্গী হলেন দুই মহিলা৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement