ফিটনেস ফ্রিক করিনার প্রিয় এই আসনগুলো, উপকারিতা জানলে আপনিও মিস করবেন না!

কিন্তু ঠিক কোন কোন যোগাসন করে থাকেন পতৌদি পরিবারের এই বধূ? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

সহজ সরল একটি আসন। শুধু তাই নয়, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই খানিকটা ওয়ার্ম-আপ করে নেওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ এই। তাই করিনাও ভীষণ পছন্দ করেন সেতুবন্ধাসন করে দিন শুরু করতে। এতে পিঠ, কোমর, জঙ্ঘা, উরুর পেশিগুলি শক্তিশালী হয়। তাৎক্ষণিক ক্লান্তি কেটে যায়, কারণ বুক, ঘাড় ও মেরুদণ্ড প্রসারিত হয়। মানসিক উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা কেটে যায়।

এটি মূলত এক ধরনের প্লাঙ্ক। করিনার গর্ভাবস্থায় এই আসনরত ছবি এর আগেই ভাইরাল হয়েছে। এতে শরীরের পেশিগুলি নমনীয় হয়, মেরদণ্ড শক্তিশালী করে তোলে। গোটা শরীরে ভাল রক্তসঞ্চালন হয়, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। সঠিক বয়স থেকে অনুশীলন করলে উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে। পিঠের ব্যথা, মানসিক অস্বস্তি দূর হয়। পেটের মেদ কমে তা পেশিবহুল করে তুলতে সাহায্য করে।

এক সময় মুনি-ঋষিরা একপায়ে দাঁড়িয়ে সিদ্ধি লাভের জন্য তপস্যা করতেন। যোগাসনে সিদ্ধিলাভ সম্ভব সামান্য একাগ্রতা থাকলেই। করিনার যে কোনও ছবি সে কথা বলে দিতে পারে। এক পায়ের উপর সারা দেহের ভর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাই এই আসনের মূল। তাই এই আসন নিয়মিত অভ্যাসে সারা দেহে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে সুবিধা হয়। এতে একাগ্রতা বৃদ্ধি করাও সম্ভব। পা, কোমর, জঙ্ঘা, নিতম্বের পেশিও উন্নত হয়। পেলভিক অঞ্চলও শক্তিশালী হয়।

শক্তি এবং নমনীয়তা বজায় রাখার জন্য করিনার পছন্দ এই নটরাজাসন। এতে শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখাও সম্ভব হয়। একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। মানসিক উদ্বেগ কমিয়ে মন শান্ত রাখে। সঙ্গে বুক, উরু, গোড়ালির পেশি শক্তিশালী হয়।

করিনার আর একটি পছন্দের আসন হল উর্ধ্বমুখ শ্বনাসন। হাতের উপর ভর দিয়ে শরীরের সম্মুখ ভাগ উত্থিত হওয়ার ফলে এই আসন ফুসফুস, যকৃত, প্যাংক্রিয়াসকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। একই সঙ্গে পেটের মেদ ঝরে যায়। সুগঠিত হয় বুকের পেশি।

একদা জিরো ফিগারের অধিকারিণী করিনার বিশেষত্বই হল তাঁর চিকন কটিদেশ। এই কাপুর-নন্দিনীর মতো নিখুঁত সরু কোমর পেতে চাইলে অবশ্যই উষ্ট্রাসন করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে এই আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, পেটের মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। উষ্ট্রাসন চুলের বৃদ্ধিকেও প্রভাবিত করতে পারে।

সুগঠিত কোমরের জন্য সর্বাসন খুবই উপকারী। করিনা প্রায় প্রতিদিনই এই আসন অভ্যাস করেন। এতে পা ও কোমরের পেশির ক্লান্তিও দূর হয়।

এটি একটু জটিল আসন। বেশ ভাল রকম অভ্যাস না থাকলে করা সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে করতে পারলে ভাল ফল মিলতে পারে। করিনা এই আসন করে থাকেন নিজের শক্তি বৃদ্ধি করতে। এই আসন অবশ্যম্ভাবী ভাবে ওজন কম করতে সাহায্য করে। পা ও গোড়ালির পেশি শক্তিশালী করে। স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতি ঘটিয়ে শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে থাকে। শারীরিক ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। লক্ষ্য স্থির করে মনোসংযোগে সাহায্য করে।

ফিটনেস ফ্রিক করিনার সুগঠিত শরীরের অন্যতম রহস্য এই আসন। ছোট ছেলে জেহ-র সঙ্গে করিনার একটি ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। সেখানে করিনা এই আসনটিই অভ্যাস করছিলেন। অধোমুখ শ্বনাসন অভ্যাস করলে চুলের নানা সমস্যা দূর হতে পারে। যাঁদের টাকের সমস্যা রয়েছে বা অতিরিক্ত চুল পড়ছে তাঁরা এই আসন অভ্যাস করলে ভাল ফল পেতে পারেন। এটি মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে পারে। পুরো শরীরে অক্সিজেন চলাচল বৃদ্ধি পায়, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যা থাকলেও তা নিরাময় সম্ভব। অনিদ্রা রোগে আক্রান্তদের জন্যও এই আসন খুবই উপকারী।