Inspiration: শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, লক্ষ্মীদা’ ভরসা! রামরাজাতলা স্টেশনে যাত্রীদের জীবন রক্ষায় ডাববিক্রেতা

Last Updated:

Inspiration:রামরাজাতলা রেল স্টেশনের অভিশপ্ত একটা দিন। যে দিন এক সঙ্গে ২৪ জন মানুষের ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকেই লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন লক্ষ্মীবাবু।

+
প্রায়

প্রায় চল্লিশ বছর ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছে লক্ষী 

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা লক্ষ্মীদা ভরসা! প্রতিনিয়ত ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করছেন লক্ষ্মীদা’। রামরাজাতলা রেল স্টেশনের লক্ষ্মী দা’ খুব পরিচিত একটা নাম। রামরাজাতলা স্টেশনের ক্রসিং-এ রাস্তার উপর ডাব বিক্রি করেন তিনি। পর পর ৪ টি লাইন। ট্রেন এলেই খরিদ্দার ফেলে কখনও খালি হাতে আবার কখনও লাঠি হাতে ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে মানুষকে গাইড করতে দেখা যায় লক্ষ্মীদাকে। এভাবেই প্রায় ৩৫ বছর মানুষের প্রাণ রক্ষা করছেন লক্ষ্মী বাবু। একজন ডাব বিক্রেতার এমন দায়িত্ব পালন, এর পিছনে রয়েছে ভয়ঙ্কর একটা কাহিনী। রামরাজাতলা রেল স্টেশনের অভিশপ্ত একটা দিন। যে দিন এক সঙ্গে ২৪ জন মানুষের ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকেই লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন লক্ষ্মীবাবু।
১৯৯১ সালে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। একসঙ্গে প্রায় ২৪ জন মানুষ গ্যালোপিং ট্রেনে কাটা পড়েন। সেই ঘটনা ভীষণভাবে মনে দাগ কেটেছে। তারপর থেকে আর কোনও একজন ব্যক্তি যাতে, তাঁর চোখের সামনে কাটা না পড়ে সর্বদা সতর্ক থাকেন লক্ষ্মী। রোজ রামরাজাতলা স্টেশনে ক্রসিং-এ পাহারা দেন তিনি। ক্রসিংয়ে লক্ষ্মীবাবু দাঁড়িয়ে থাকা মানেই যাত্রীদের ভরসা। নিশ্চিন্তে লাইন পারাপার করতে পারেন মানুষ। শুধু তাই নয়, আপ ডাউনে কখন কোন ট্রেন আসবে-সেই নিয়ে নানা তথ্য যাত্রীরা জানতে পারেন লক্ষ্মীর কাছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর এভাবেই দিনের পর দিন মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে একজন ডাবওয়ালা। ২০১১ সালে হঠাৎ এক রেল আধিকারিক স্বয়ং হাজির হন তাঁর কাছে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নগদ ৫০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : উত্তরাধিকার সূত্রে পাবেন বিশাল সম্পত্তি-অর্থ-গয়না! চাকরিতে উন্নতির জোয়ার! অক্ষয় তৃতীয়ায় টাকার সাগরে ভাসবেন এই ৫ রাশির জাতক জাতিকারা
প্রতিদিন ভোর পাঁচটার ট্রেন ধরে উলুবেড়িয়া থেকে রামরাজাতলা হাজির হন লক্ষ্মীবাবু। আবার দুপুর ১-১.৩০-র ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরেন ৫৯ বছর বয়সি লক্ষ্মীবাবু। এ প্রসঙ্গে লক্ষ্মীবাবু জানান, ১৯৮৬ সাল থেকে রামরাজাতলায় ডাব বিক্রি শুরু করেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর পর ১৯৯১ সালে মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনা। তার পর থেকে সাধারণ মানুষ যাতে কোনও ভাবে দুর্ঘটনার কবলে না পড়েন, মানুষকে সাবধান করে চলেছেন।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Inspiration: শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, লক্ষ্মীদা’ ভরসা! রামরাজাতলা স্টেশনে যাত্রীদের জীবন রক্ষায় ডাববিক্রেতা
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement