উত্তর ভারতে জারি তীব্র তাপপ্রবাহ... কতটা তাপ সহ্য করতে পারে মানবদেহ? 'ঠিক'টা না জানলে হতে পারে 'চরম বিপদ'

Last Updated:

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন যে, হাইড্রেশন বজায় থাকলে এবং দেহের কুলিং সিস্টেম কার্যকর থাকলে আমাদের দেহ বাহ্যিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্র সহ্য করে নিতে পারে।

News18
News18
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষা প্রবেশ করলেও স্বস্তি নেই উত্তর ভারতে। সূর্যের প্রবল খরতাপে জ্বলছে গোটা উত্তর ভারত। রাজস্থানের এক শহরে তো তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। এমনিতে গ্রীষ্মের মরশুমে সেখানে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করে ৪০ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তবে কোনও এলাকার তাপমাত্রা যদি ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উর্ধ্বে চলে যায়, তাহলে সেখানকার বাসিন্দাদের গুরুতর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এই পরিস্থিতিতে সূর্যের প্রবল তাপদাহ সহ্য করতে পারে না দেহ। ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য শরীর সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা করা প্রয়োজন।
মানবদেহ কতটা তাপ সহ্য করতে পারে?
যদিও উচ্চ তাপমাত্রা সরাসরি মৃত্যুর কারণ নয়, তবুও এটি শরীরের মূল তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার উর্ধ্বে নিয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দেহের কুলিং মেকানিজম ব্যর্থ হয়। যার জেরে হিট স্ট্রোক পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত ঘনিয়ে আসতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন যে, হাইড্রেশন বজায় থাকলে এবং দেহের কুলিং সিস্টেম কার্যকর থাকলে আমাদের দেহ বাহ্যিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্র সহ্য করে নিতে পারে। মানবদেহ ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভাল কাজ করতে পারে। যদিও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছলে তা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে বিপদ বয়ে আনে।
advertisement
প্রত্যেক বছর চরম গ্রীষ্মে হিট স্ট্রোকের জেরে প্রচুর প্রাণহানি হয়ে থাকে। গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে যে, ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাহ্যিক তাপমাত্রার কারণে নিরাপদ অভ্যন্তরীণ অবস্থা বজায় রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। যখন মূল দেহের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে যায়, তখন মূল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে। মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
advertisement
আর্দ্রতা বা হিউমিডিটি কি পরিস্থিতি আরও শোচনীয় করে তুলতে পারে?
অতিরিক্ত আর্দ্রতা পরিস্থিতি আরও শোচনীয় করে তুলতে পারে। ঘামের মাধ্যমে দেহকে ঠান্ডা করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় এটি। যদিও শুধুমাত্র বাহ্যিক তাপের কারণে মৃত্যু হয় না, এটা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। কারণ অনেক সময় অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায়।
অতিরিক্ত তাপ থেকে শরীরকে রক্ষা করার উপায় কী?
অতিরিক্ত তাপ থেকে শরীরকে রক্ষা করার মূল চাবিকাঠি হল হাইড্রেশন। সারা দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। তেষ্টা না পেলেও জল পান করা জরুরি। মিষ্টি চিনিযুক্ত খাবার, ক্যাফিনযুক্ত পানীয় অথবা অ্যালকোহলিক পানীয় দেহকে জলশূন্য করে দেয়। এই সময় হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরা আবশ্যক। কড়া রোদে বাইরে না যাওয়াই ভাল। বেরোনোর প্রয়োজন হলেও ছাতা কিংবা বড় টুপি ব্যবহার করতে হবে। আর ঘরে থাকলে পাখা, কুলার কিংবা এসি ব্যবহার করা জরুরি। বাইরের তাপ যাতে ঘরে না আসতে পারে, তার জন্য জানলায় পর্দা টেনে রাখতে হবে। দেহের তাপমাত্রা কমাতে ভিজে কাপড় ঘাড়ে, কবজিতে অথবা কপালে রাখতে হবে। পাওয়ার অফ হলে ঠান্ডা জলের স্পঞ্জ বাথ স্বস্তি দিতে পারে।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইলের (Lifestyle News in Bengali)সব খবরের আপডেট পান নিউজ 18 বাংলাতে ৷ যেখানে থাকছে হেলথ টিপস, বিউটি টিপস এবং ফ্যাশন টিপসও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইনগুলি অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
উত্তর ভারতে জারি তীব্র তাপপ্রবাহ... কতটা তাপ সহ্য করতে পারে মানবদেহ? 'ঠিক'টা না জানলে হতে পারে 'চরম বিপদ'
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement