Heart Care: হৃদয়ের খেয়াল রাখতে, খেয়াল রাখুন হৃদস্পন্দনে! ইলেকট্রোফিজিওলজি সম্পর্কে জরুরি কথা জানুন
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Heart Care | What is Electrophysiology: এই প্রসঙ্গে কথা বলছেন সিকে বিড়লা হসপিটালসের বিএম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টারের কার্ডিওলজি বিভাগের কার্ডিওলজি এবং ইলেকট্রোফিজিওলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. রাকেশ সরকার।
কলকাতা: মানুষের দেহের হৃদস্পন্দনকে একটা ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের ফল বলা যেতে পারে। যা সারা শরীরে অনবরত রক্ত পাম্প করতে সাহায্য করে। এই বৈদ্যুতিক সিগন্যালগুলি একটি সাধারণ পথের মাধ্যমে চলাচল করে। যার জেরে পুনরাবৃত্তীয় ভাবে হৃদস্পন্দন হতে থাকে। এক জন মানুষের হার্ট সাধারণত নিয়মিত এবং কার্যকর ভাবে স্পন্দিত হয়।
আজকালকার দিনে বেশির ভাগ কার্ডিওভাস্কুলার রোগের চিকিৎসা করেন কার্ডিওলজিস্টরা। আবার কয়েকটি নির্দিষ্ট অবস্থাও রয়েছে। যেখানে ইলেকট্রোফিজিওলজির ক্ষেত্রে কার্ডিওভাস্কুলার সাবস্পেশালিস্টের দক্ষতা জরুরি হয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে কথা বলছেন সিকে বিড়লা হসপিটালসের বিএম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টারের কার্ডিওলজি বিভাগের কার্ডিওলজি এবং ইলেকট্রোফিজিওলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. রাকেশ সরকার।
এক জন মানুষের হৃদস্পন্দন কেন অনিয়মিত হচ্ছে কিংবা প্রত্যাশিত চ্যানেলের মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল কেন চলাচল করছে না, তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে ইলেকট্রোফিজিওলজি। ইলেকট্রোফিজিওলজিস্ট আসলে এক জন কার্ডিওলজিস্ট। অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন অথবা অ্যারিদমিয়ার মতো সমস্যা নির্ণয় এবং চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে তাঁদের স্পেশালিটি থাকে। তাঁরা রোগীর হার্টের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের দিকে লক্ষ্য রাখেন। আসলে এই সিস্টেম দেহকোষের মাধ্যমে ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল পাঠিয়ে হৃদস্পন্দন এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, হার্ট কন্ডাকশন সংক্রান্ত বিষয়গুলি ইলেকট্রোফিজিওলজির মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। এমনকী তার চিকিৎসাও করা সম্ভব।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: মেয়েদের কথায় কথায় মুড পরিবর্তন কি আসলে ন্যাকামি? কেন হয় এমন জানেন?
হিউম্যান ইন্ট্রাকার্ডিয়াক ইলেকট্রোগ্রামের প্রথম রেকর্ড পাওয়া যায় সেই ষাটের দশকে। সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছিল কার্ডিয়াক ইলেকট্রোফিজিওলজির আধুনিক যুগ। রোগ নির্ণয়ের প্রথম ধাপগুলিতে ইনভেসিভ ইলেকট্রোফিজিওলজিকাল ইনভেস্টিগেশনের ভূমিকা ছিল খুবই সীমিত। ষাট অথবা সত্তরের দশকে কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র ইনভেসিভ ট্রিটমেন্ট হল হার্ট সার্জারি। তবে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়াক ইলেকট্রোফিজিওলজির যুগ শুরু হয় আশির দশকে। সেই সঙ্গে পেসমেকার ও ডিফাইব্রিলেটরের মতো কার্ডিয়াক রিদম ম্যানেজমেন্ট ডিভাইসের আবিষ্কার ক্লিনিক্যাল কার্ডিয়াক ইলেকট্রোফিজিওলজি ভিন্ন মেডিক্যাল স্পেশালাইজেশন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: যখন-তখন ওজন মাপছেন? ভুল করছেন, জানুন দিনের কোন সময় সঠিক ওজন বলে
মারাত্মক অ্যারিদমিয়া এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ অ্যারিদমিয়ার মধ্যে ফারাক করতে সক্ষম কার্ডিয়াক ইলেকট্রোফিজিওলজি। হৃদযন্ত্রের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম নিয়ে বিশদে গবেষণা করাও সম্ভব। রোগীর দেহে যদি অতিরিক্ত ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল তৈরি হয়, তা অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের জন্য দায়ী হতে পারে। এটা খুঁজে করতে পারেন চিকিৎসকরা। হার্টে ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা হচ্ছে কি না, তা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায়। তাই অ্যাব্লেশন প্রক্রিয়ায় করার আগে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয় রোগীদের।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
June 07, 2023 2:17 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Heart Care: হৃদয়ের খেয়াল রাখতে, খেয়াল রাখুন হৃদস্পন্দনে! ইলেকট্রোফিজিওলজি সম্পর্কে জরুরি কথা জানুন