Eye Care Easy Tips: দীপাবলি-ছটের আতসবাজি থেকে চোখে সমস্যা, গুরুতর আঘাত, ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সঙ্গে রাখুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

Last Updated:

Eye Care Easy Tips: দিশা চক্ষু হাসপাতালের পরামর্শদাতা সার্জন ডা. সোহম বসাক বলছেন, দিশা চক্ষু হাসপাতালের বিভিন্ন শাখায় ২০টিরও বেশি অস্ত্রোপচারের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই ২১ বছরের বেশি বয়সী প্রজন্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 

চোখের সমস‍্যা
চোখের সমস‍্যা
কলকাতাঃ সাম্প্রতিক দীপাবলি এবং ছট পূজা উদযাপন আনন্দের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু উৎসব শেষ হওয়ার পর, বিশেষ করে দীপাবলির পরে, চোখের ঝুঁকি এবং গুরুতর চোখের আঘাতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই উৎসবেই আতসবাজি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, কখনও তা বিস্ফোরিত হয়ে গিয়ে, কখনও বা অন্য প্রভাবে চোখের সমস্যা ডেকে এনেছে। এই প্রসঙ্গে দিশা চক্ষু হাসপাতালের পরামর্শদাতা সার্জন ডা. সোহম বসাক বলছেন, দিশা চক্ষু হাসপাতালের বিভিন্ন শাখায় ২০টিরও বেশি অস্ত্রোপচারের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই ২১ বছরের বেশি বয়সী প্রজন্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
Dr. Soham Basak, Consultant Surgeon at Disha Eye Hospitals
Dr. Soham Basak, Consultant Surgeon at Disha Eye Hospitals
advertisement
তিনি আরও বলেন, “তারা আমাদের যে গুরুতর অবস্থার কথা জানিয়েছেন তা হল উভয় চোখে তীব্র অস্বস্তি, লালভাব, ফোলাভাব এবং জল, দৃষ্টিশক্তিতে ঝাপসা ভাব, প্রদাহ, রক্তপাত, চোখের গোলা ফেটে যাওয়া এবং সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারানো। কার্বাইড বন্দুকের ব্যবহার বিশেষভাবে বিপজ্জনক, যার ফলে চোখে গুরুতর আঘাতের সৃষ্টি হয়েছে।”
advertisement
দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণরূপে হ্রাসের ঘটনা প্রায় ১০%, যেখানে ৫০% হল সর্বনিম্ন বা কোনও ক্ষতি না হওয়া। ৪০% রোগীর দৃষ্টিশক্তি মাঝারিভাবে হ্রাস পেয়েছে। যাঁরা তীব্র পোড়ার আঘাতে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাঁদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার সময় দেখা গিয়েছে যে এই ক্ষতির প্রধান কারণগুলি মূলত চোখের গোলা ফেটে যাওয়া এবং টিস্যু ধ্বংস যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেও আর মেরামত হবে না।
advertisement
যাঁরা মাঝারি দৃষ্টিশক্তি হারানোর রিপোর্ট করেছেন, তাঁদের এই লক্ষণগুলি দেখা গিয়েছে-
– চোখে রক্তপাত
– কর্নিয়ার অস্বচ্ছতা
– আঘাতজনিত ছানি বা গ্লুকোমা বা স্নায়ুর আঘাত
দুটো কেস স্টাডি দেখলে বাংলার রোগীদের মধ্যে বর্তমান চোখের আঘাতের প্রকৃতি আরও ভালভাবে বোঝা যাবে।
কেস ১ –
১৩ বছর বয়সী এক ছেলে বাজার থেকে একটি কার্বাইড বোমা কিনেছিল। দুর্ভাগ্যবশত এটি তার মুখের কাছে বিস্ফোরিত হয়েছিল। এর ফলে মুখের ত্বক এবং চোখের পাতার ত্বক পুড়ে গিয়েছিল। কর্নিয়া তাপ এবং রাসায়নিক আঘাতের কারণে অস্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে। চোখের সাদা আবরণ (কনজাংটিভা) এবং লিম্বাল কোষের ক্ষতিও হয়েছে (এই কোষগুলি চোখকে স্বচ্ছ রাখে এবং পৃষ্ঠের মসৃণতা বজায় রাখে)। এছাড়াও কনজাংটিভা কাঁচা হয়ে যাওয়ার কারণে এটি চোখের পাতার (সিম্বলফেরন) সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে মিশে গিয়েছে। হ্যালো পৃষ্ঠের নিরাময়ে সাহায্য করার জন্য অ্যামনিওটিক মেমব্রেন সার্জারি করা হয়েছে এবং ক্যালসিয়াম জমা অপসারণের জন্য এডটা চেলেশন করা হয়েছে।
advertisement
আরোগ্য আশা করা গেলেও কর্নিয়ায় কিছু দাগ থেকে যাবে। এটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ফিরে পাবে না। তাই দৃষ্টি ঘষাকাচের মধ্য দিয়ে দেখার মতো হবে। পরবর্তীতে চোখের পাতার অস্ত্রোপচার বা লিম্বাল স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে কারণ এই রাসায়নিকগুলির প্রভাব দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে।
কেস ২ –
advertisement
১০ বছর বয়সী এক ছেলে ইউটিউব DIY ভিডিও দেখে নিজেই একটি কার্বাইড বোমা তৈরি করেছে। কৃষিকাজের প্রয়োজনে তার বাড়িতে কার্বাইড ছিল।
মুখের কাছে বাড়িতে তৈরি যন্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়ে একই রকম আঘাত পেয়েছিল কিন্তু ভাগ্যক্রমে কম গুরুতর। অনুরূপ অ্যামনিওটিক মেমব্রেন গ্রাফ্ট সার্জারি করা হয়েছিল এবং তার ভাল আরোগ্য আশা করা হচ্ছে। যদিও কর্নিয়ায় স্থায়ী দাগ থাকবে, তবে কেন্দ্রীয় অংশটি এড়ানো যাবে, তাই দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব কম পড়বে।
advertisement
উল্লিখিত মামলাগুলো হরিণঘাটা এবং হারোয়া থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে।
হাসপাতাল তাই নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং যে কোনও উৎসব উদযাপনের সময় চোখের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে, বিশেষ করে যেখানে আতসবাজির ব্যাপক ব্যবহার জড়িত।
ডা. বসাক কয়েকটি সহজ সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছেন যা এই ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে,
advertisement
– প্রতিরক্ষামূলক চশমা পরা।
– আতসবাজি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।
– আক্রান্ত হলে চোখ না ঘষা বা ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করা, তাতে লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি হবে।
– যদি কোনও স্প্লিন্টার (অথবা গরম এবং জ্বলন্ত কিছু) চোখে পড়ে, তাহলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
– কাচের বোতল, টিন, বাক্স, অথবা মাটির পাত্র এবং প্যান দিয়ে পটকা ঢেকে রাখা উচিত হবে না, এতে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Eye Care Easy Tips: দীপাবলি-ছটের আতসবাজি থেকে চোখে সমস্যা, গুরুতর আঘাত, ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সঙ্গে রাখুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
Next Article
advertisement
SIR Update: কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি SIR-এ নাম কাটা যাবে? জবাব দিল কমিশ
কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি নাম কাটা যাবে? জেনে নিন
  • এসআইআর নিয়ে আশ্বস্ত করল নির্বাচন কমিশন৷

  • কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও?

  • নাম কাটা যাওয়ার ভয় দূর করলেন রাজ্যের সিইও৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement