শীতকালে অনেকেই ইলেকট্রিক ব্ল্যাঙ্কেট ব্যবহার করেন, কিন্তু এগুলো কি নিরাপদ

Last Updated:

এই ব্ল্যাঙ্কেটগুলিতে ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রিকাল হিটিং ওয়ারস থাকে যা কম্বলকে গরম রাখার জন্য তার মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ বহন করে। চরম শৈত্য প্রবাহ থেকে বাঁচতে এবং আপনার বিছানাকে উষ্ণ রাখতে এগুলি অতুলনীয়। are electric blankets safe to use

শীত এখন তুঙ্গে। বিশেষ করে উত্তরভারতের বেশ কিছু রাজ্য শৈত্য প্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকে , বাইরের কনকনে ঠান্ডায় মানুষের অবস্থা শোচনীয়। অসুস্থ এবং বয়স্ক লোকেদের ক্ষেত্রে শীতের প্রকোপ সহ্য করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ঠান্ডার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে মানুষ সব ধরণের প্রচেষ্টা করতে থাকে। ঘরকে উষ্ণ এবং আরামদায়ক রাখতে হিটার , শরীরকে গরম রাখতে থার্মাল পোশাক, মোজা এবং গ্লাভস ব্যবহার করে থাকে। এমনকি ঠান্ডার সঙ্গে মোকাবিলায় বৈদ্যুতিক কম্বল ব্যবহার করে থাকে যা এই হাড়হিম করা শীতের রাতে শান্তির ঘুম প্রদান করে।
আসুন জেনে নেওয়া এই বৈদ্যুতিক কম্বল আসলে কি ?
গুরুগ্রামের পারস হাসপাতালের HOD ,ইন্টারনাল মেডিসিন ডাক্তার আর আর দত্তের কথায় বৈদ্যুতিক কম্বলগুলো বিল্ট ইন তারের মাধ্যমে তাপ সরবরাহ করার সময় হিটারের চেয়ে কম শক্তি ব্যবহার করে। শুতে যাওয়ার আগে মাত্র ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য একবার চালিয়ে নিতে হয়। এটা আপনার বিছানার চাদরের পিছনে গরম বাতাস আটকে রাখে এবং সারারাত আপনাকে গরম অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা বেসিক সেফটি সেটিংস এবং তাপমাত্রাকে কম বেশি করার সুবিধা রয়েছে।
advertisement
ঠিকমত ব্যবহার করতে পারলে এগুলো খবুই অর্রামদায়ক এবং দরকারী।
advertisement
সহজভাষায় এই ব্ল্যাঙ্কেটগুলিতে ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রিকাল হিটিং ওয়ারস থাকে যা কম্বলকে গরম রাখার জন্য তার মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ বহন করে। এগুলি বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে যেমন কম্বল, ওভার কম্বল, থ্রোস এবং ডুয়েট ।
এগুলি থেকে আমরা কিভাবে উপকার পায় ?
ফোর্টিস হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের পরামর্শদাতা ডাঃ অনন্ত পদ্মনাভ বলেছেন-
advertisement
এই ধরণের ব্ল্যাঙ্কেটগুলি চরম ঠান্ডায় আপনাকে উষ্ণ এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
রাতে ভালো ঘুম নিশ্চিত করে।
বাড়িতে গরম রাখার অন্যান্য জিনিসের ব্যবহার হ্রাস করে।
গরম কম্বল আপনার মেজাজ ভালো রাখে।
এগুলি শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে পারে ,তার ফলে ছোটোখাটো ব্যাথা কম করতে এবং ক্র্যাম্পগুলিকে সহজ করতে সহায়তা করে।
ইলেক্ট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেটগুলি কি নিরাপদ ?
বিশেষজ্ঞদের মতে এগুলি যদি নতুন হয় তাহলে এর দ্বারা পুড়ে যাওয়ার বা আগুন লাগার সম্ভবনা কম থাকে।
advertisement
তবে এগুলো যদি একটু বেশি পুরোনো কিংবা ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই ধরণের কম্বলগুলো মানুষকে পুড়িয়ে দিতে পারে।
তবে ডাক্তার দত্ত বলেছেন যে আধুনিক ইলেক্ট্রিকাল ব্ল্যাঙ্কেটগুলিতে রিওস্ট্যাট কন্ট্রোলের মতো সেফটি ফিচার আছে যা পুড়ে যাওয়া বা আগুন ধরে যাওয়ার ঝুঁকিকে হ্রাস করে।
গুরগাঁওয়ের ম্যাক্স হসপিটালের ইন্টারনাল মেডিসিনের সিনিয়র ডিরেক্টর এবং HOD ডাঃ রাজীব ডাং বলেছেন ,বৈদ্যুতিক কম্বল কেনার আগে তাদের গুণমান পরীক্ষা করার প্রয়োজন এবং অবশ্যই কোন ভালো কোম্পানির কাছ থেকে এই ধরণের কম্বল কেনা উচিত।
advertisement
ডক্টর দত্তের মতে, একটি চলমান বৈদ্যুতিক কম্বলের নীচে ঘুমিয়ে থাকার অর্থ আপনি একটি তীব্র ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের (EMF) নীচে ঘুমাচ্ছেন যা মূলত আপনার শরীর থেকে বেশি দূরত্বে নেয় এবং যা আপনার জন্য ভয়ঙ্কর সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যকে মূল্য দেন, তাহলে চলমান বৈদ্যুতিক কম্বলের নিচে না ঘুমানোই ভালো।
advertisement
এখন জেনে নেওয়া যাক কি করা উচিত এবং কি করা উচিত না -
ব্যবহার না করার সময় আপনার কম্বল বন্ধ করুন ।
একসাথে হিটিং প্যাড এবং বৈদ্যুতিক কম্বল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
আপনার কম্বলটি আলোর সুইচ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোন বৈদ্যুতিক আউটলেটে প্লাগ করবেন না কারণ এটা আনইন্টেনশনাল এক্টিভেশন ঘটাতে পারে।
advertisement
বৈদ্যুতিক কম্বল কখনো ধোবেন না ।
ইলেক্ট্রিক ব্ল্যাঙ্কেট কখনো ড্রাই ক্লিন করাবেন না।
টাইমার যদি না থাকে তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার কম্বলটি বন্ধ করুন।
বৈদ্যুতিক কম্বলের উপরে কখনই বসবেন না বা শুয়ে থাকবেন না।
বৈদ্যুতিক কম্বলের প্রান্ত গদির নিচে আটকে রাখবেন না।
বৈদ্যুতিক কম্বলের উপরের অংশটি কুশন, কম্বল, বই, খেলনা বা অন্যান্য জিনিষ দিয়ে ঢেকে রাখবেন না।
গরম জলের বোতল এবং বৈদ্যুতিক কম্বল একসঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
বৈদ্যুতিক কম্বল ভিজে থাকলে কখনই প্লাগ ইন বা চালু করবেন না।
ব্যবহার করা বৈদ্যুতিক কম্বল কিনবেন না।
তাই ইলেক্ট্রিকাল ব্ল্যাঙ্কেট ব্যবহার করুন কিন্তু সঙ্গে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
শীতকালে অনেকেই ইলেকট্রিক ব্ল্যাঙ্কেট ব্যবহার করেন, কিন্তু এগুলো কি নিরাপদ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement