Health Tips: এক চুমুকেই ভ্যানিশ, সুগারের যম 'এটি'...! মোমের মতো গলবে মেদ, গলগলিয়ে বেরবে পেটের নোংরা ময়লা

মনকিরাতের মতে, কালো জিরে জল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কারণ এর মধ্যে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে। সেই সঙ্গে এটি হজমক্রিয়াও উন্নত করে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য জলের মধ্যে ১ চা-চামচ কালো জিরে রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে উঠে ঈষদুষ্ণ করে তা পান করতে হবে।

সকালে খালি পেটে মেথির জল পান করলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে, পেট ফোলা কমে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এর জন্য সারা রাত জলে ১ চা-চামচ মেথি দানা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে উঠে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ করে তা পান করতে হবে।

মনকিরাত জানান, ৩০ মিনিটের জন্য কিংবা আগের দিন রাতে জলে ১ চা-চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এটি ফাইবারে ভরপুর। দেহের হাইড্রেশন বাড়ায়। আর অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে।

মনকিরাতের পরামর্শ, সকালে ফিগ ওয়াটার পান করলে পরিপাকক্রিয়া ভাল হয়। পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে বলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল হয়। এর জন্য সারা রাত জলে একটি ফিগ বা ডুমুর ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। সকালে সেই জল পান করে নিতে হবে। পারলে সেই ডুমুরটিও খেয়ে নিতে হবে।

ত্বকের স্বাস্থ্য এবং জেল্লা বাড়াতে জাফরান জলের জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে এই পানীয় মাসিক চক্রের জন্যও উপকারী। এর জন্য সারা রাত জলে জাফরান বা কেশরের ২-৩টি স্ট্র্যান্ড ভিজিয়ে রাখতে হবে। সেই জল সকালে উঠে পান করতে হবে।

ধনে বীজ ভেজানো জল অনেকটা ডিটক্স পানীয়ের মতো কাজ করে। মনকিরাতের বক্তব্য, এটি দেহকে ঠান্ডা রাখে। হরমোনজনিত ভারসাম্য বজায় রাখে। এর জন্য সারা রাত জলে ১ চা-চামচ ধনে বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে উঠে ধীরে ধীরে তা চুমুক দিয়ে পান করতে হবে।

মনকিরাতের পরামর্শ, সারা রাত জলে এক চা-চামচ করে মৌরি এবং জিরে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে তা পান করতে হবে। প্রদাহ কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার। পেটের সমস্যাতেও আরাম দেয় এটি। ভিজিয়ে রাখার পরিবর্তে এই বীজগুলি ফোটানোও যেতে পারে।

তবে মনকিরাত জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই পানীয়গুলি একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। যাঁদের ফুড অ্যালার্জি রয়েছে অথবা কিছু উপকরণের প্রতি যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের এই পানীয় সেবনের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আবার যাঁরা আইবিএস, আইবিডি এবং আলসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন, তাঁদেরও এগুলি এড়িয়ে চলাই উচিত। কারণ এই পানীয় তাঁদের পক্ষে হজম করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এখানেই শেষ নয়, গর্ভবতী মহিলা অথবা স্তন্যদানকারী মহিলাদের মেথি সেবন করা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ কিছু ভেষজ বা হার্বের ইনসুলিন অথবা থাইরয়েড ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ফলে যাঁরা এই ওষুধ খান, তাঁদের জন্য এগুলি বিপদ ডেকে আনতে পারে।