Success Story: নখের উপর ৪৫ দেশের জাতীয় পতাকা! বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর অনন্য নজির

Last Updated:

Success Story: সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা ও কাজের জেরে অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন পূর্ব বর্ধমানের এই পড়ুয়া।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের পড়ুয়া এই ছাত্রীর নাম শ্রেয়া চক্রবর্তী। শ্রেয়া পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের বাসিন্দা।

+
শ্রেয়া

শ্রেয়া ও তার বাবা মা 

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের পাতায়। কিন্তু ঠিক কী করেছেন এই পড়ুয়া? নিজের প্রতিভা আর সৃজনশীলতার জোরে, এই পড়ুয়া জায়গা পেলেন ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে। সন্তানের সাফল্যে আপ্লুত মা বাবা-সহ গোটা পরিবার। সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা ও কাজের জেরে অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন পূর্ব বর্ধমানের এই পড়ুয়া।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের পড়ুয়া এই ছাত্রীর নাম শ্রেয়া চক্রবর্তী। শ্রেয়া পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের বাসিন্দা। স্নাতকোত্তরের এই পড়ুয়া হাতের নখের ওপর এশিয়া মহাদেশের ৪৫ টি দেশের পতাকার ছবি এঁকেছেন। আর তাঁর এই কাজের জেরেই মিলেছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড- এর সম্মাননা। শৈল্পিক এই কাজের মাধ্যমে সকলের নজর কেড়েছেন শ্রেয়া।
এই প্রসঙ্গে শ্রেয়া জানিয়েছেন, তিনি ৫ বছর বয়স থেকে আঁকা শিখছেন।প্রথমে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। পরবর্তীতে পরিবারের সঙ্গে কাটোয়া শহরে এসে বসবাস শুরু করেন। তারপর আরও ভাল ভাবে নতুন নতুন ছবি আঁকতে এবং শিখতে শুরু করেন। হঠাৎ একদিন তাঁর মনে হয় যে তিনি নেলপলিশ খুব একটা পরেন না। আঙ্গুলের নখও বেশ বড়। তখন নখের মধ্যে কিছু ছবি আঁকবেন বলে ঠিক করে। তবে তাঁর মধ্যে ছোট থেকেই নিজের দেশের নাম উজ্জ্বল করার একটা ইচ্ছা ছিল। সেই কারণে তিনি নিজের দেশের ছবি নখের মধ্যে এঁকে ছবি আঁকা শুরু করেন। একই ভাবে মোট ৪৫ টি দেশের ছবিও আঁকেন নখের মধ্যে। বর্তমানে তাঁরা কাটোয়া শহরের বাসিন্দা হলেও তার গ্রামের বাড়ি কাটোয়া ১ ব্লকের মোস্তফাপুর গ্রামে।
advertisement
তাঁর ছবি আঁকার হাতেখড়ি হয়, কাটোয়া ১ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামের প্রতাপ চন্দ্র বৈরাগ্য নামের এক প্রশিক্ষকের কাছে। পরবর্তীতে, কাটোয়া শহরে এসে নীহার ব্রহ্মচারী নামের আর একজনের কাছে ছবি আঁকা শেখেন তিনি । বরাবরই ভিন্ন কিছু করার চিন্তাভাবনা ছিল তাঁর মাথায়। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই, নখের মধ্যে এই কাজ করেছেন। মেয়ের অনন্য এই কাজে খুশি শ্রেয়ার বাবা মাও।
advertisement
advertisement
নিজের মেয়ের এই কাজ প্রসঙ্গে, শ্রেয়ার বাবা পেশায় স্কুল শিক্ষক অমর চক্রবর্তী জানান,ছোটবেলায় যা পাননি এখন সেই সাফল্য তাঁর মেয়ে পাচ্ছেন। এটা তাঁর কাছে খুবই আনন্দের। তিনি বলেন তাঁর মেয়ে নখের মধ্যে ছবি এঁকে সাফল্য পেয়েছেন এটা তাঁরা প্রথমে জানতেন না। তবে পরবর্তীতে জানার পরে তিনি খুবই খুশি হয়েছেন বলে জানান।
advertisement
আরও পড়ুন : সন্তানের মঙ্গলকামনায় নীলষষ্ঠী ব্রত করেন? এভাবে পুজো করলে সন্তানের কল্যাণ ও শুভ হবে
স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা, ছবি আঁকার পাশাপাশি, মন ভাল রাখতে বিভিন্ন রকমের হাতের কাজ ও সঙ্গীতচর্চাও করেন শ্রেয়া। নিজের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে আরও বড় জায়গায় পৌঁছতে চান শ্রেয়া। আগামীতে মেয়ের সফলতা , প্রতিভা আরও বৃদ্ধি পাক, চাইছেন তাঁর বাবা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Success Story: নখের উপর ৪৫ দেশের জাতীয় পতাকা! বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর অনন্য নজির
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement