টেকনোলজির ফাঁক-ফোকরে জব্দ শিক্ষক থেকে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ, আট বছরের নাবালিকা ঘোল খাওয়াল সকলকে!

Last Updated:

টেকনোলজির ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে স্কুলের শিক্ষক থেকে Zoom App কর্তৃপক্ষ, সকলকে বোকা বানাল আট বছরের নাবালিকা। বোকা বনে গেল তার বাবা-মা'ও।

করোনার আগের সময় আর এখনের সময়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। পরিবর্তন এসেছে লাইফস্টাইলে, অভ্যেসে, হাঁটাচলায় বা অন্যান্য অ্যাক্টিভিটিতে। পরিবর্তন এসেছে স্কুল-কলেজের পড়াশোনায়, পঠন-পাঠনের ধাঁচে। আগে স্কুল কেটে বের হতে গেলে কত ঝক্কিই না পোহাতে হত! ইউনিফর্ম পালটানো, কে দেখে নিচ্ছে এই ভয়, আরও কত কী! তার উপরে যদি গার্লস স্কুল হয়, তাহলে স্কুল পালানোর কোনও সুযোগই নেই। একবার স্কুলের গেটে ঢুকে গেলে বেরোনো অসম্ভব। কিন্তু এখন নিউ নর্মালে সেই ব্যাপারটা আর নেই। স্কুল পালাতে গেলে আজ আর সেই ভয় পেতে হয় না। টেকনোলজির ফাঁক-ফোকর জানলেই কেল্লাফতে।
আর এভাবেই টেকনোলজির ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে স্কুলের শিক্ষক থেকে Zoom App কর্তৃপক্ষ, সকলকে বোকা বানাল আট বছরের নাবালিকা। বোকা বনে গেল তার বাবা-মা'ও।
সম্প্রতি এক ব্যক্তি ট্যুইট করে জানান তাঁর আট বছরের ভাইজির এই কীর্তি। তিনি অবশ্য ওই নাবালিকাকে বকা বা মারধরের পরিবর্তে তার বুদ্ধির প্রশংসাই জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, IT ক্ষেত্রে এই মেয়ের ভবিষ্যত আছে।
advertisement
advertisement
স্থানীয় বেশ কিছু রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। হঠাৎই ক্লাস করতে করতে ওই আট বছরের খুদে জানায়, সে আর ক্লাস করতে পারছে না। কারণ লগ ইন হচ্ছে না। ক্লাস চলছে না। তার মা শিক্ষককে ফোন করে জানান সমস্যার কথা এবং সেদিনের মতো অব্যাহতি পায় মেয়েটি ক্লাস করার হাত থেকে। শিক্ষকও বোঝেন এটা হতেই পারে।
advertisement
সে দিন এ ভাবে চলে গেলে পরের দিন আবার ক্লাসের সময় আসে। সে আবারও কিছুক্ষণ পরে জানায়, তার ক্লাস চলছে না। এ বার এ ভাবে তো অনেকেই বলে, তাই শিক্ষক তার মা'কে বিষয়টি দেখতে বলেন। তার মা দেখেন যে, যতবারই সে পাসওয়ার্ড দেওয়ার চেষ্টা করছে, ততবারই ইনকারেক্ট পাসওয়ার্ড বলছে। বিষয়টি শিক্ষককে জানানোর পর তিনি একটি নতুন ক্লাসরুম তৈরি করেন। অন্যান্য বাচ্চারা আবার নতুন ক্লাসরুমে নতুন পাসওয়ার্ড ও ক্যালেন্ডার দিয়ে লগ ইন করে।
advertisement
কিন্তু এ বারও বিষয়টি সমাধান হয় না। বাচ্চাটি আবারও জানায়, তার একই সমস্যা হচ্ছে ও পাসওয়ার্ড ভুল দেখাচ্ছে। এ বার তার মা ও শিক্ষক দু'জনেই ব্যর্থ হলে, স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া হয়। কথা বলা হয়, Zoom App-এর কাস্টমার কেয়ারে। কিন্তু কেউ এই বিষয়টিতে সাহায্য করতে পারে না। তাই তার মা জানিয়ে দেন, বাড়িতেই পড়াশোনা করুক মেয়ে। আর স্কুলের ক্লাসে যোগ দিতে হবে না।
advertisement
advertisement
advertisement
কিন্তু একদিন সে স্কুলের ক্লাস করতে এক বন্ধুর বাড়ি যায়। আর সেখানেই বিষয়টি খোলসা হয়। তার বন্ধুর মা দেখে সে বার বার লগ-আউট করছে ক্লাস থেকে। এবং বার বার ভুল পাসওয়ার্ড দিচ্ছে। পরে জানা যায়, সে আসলে বার বার ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করার চেষ্টা করে। Zoom App-এর সিকিউরিটি সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী, ২০ বারের বেশি ভুল পাসওয়ার্ড দিলে আর লগ-ইন করা যায় না। সে'ও তাই রোজ লগ-ইন করতে পারে না। আর এ ভাবেই কার্যত স্কুল, কম্পিউটার শিক্ষক, Zoom App কর্তৃপক্ষ, বাবা-মা-সহ সকলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে আট বছরের খুদে।
এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরই তার এই বুদ্ধির প্রশংসা করেছে সকলে। অনেকেই টেকনোলজিতে তার বুদ্ধিকে বাহবা জানিয়েছেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
টেকনোলজির ফাঁক-ফোকরে জব্দ শিক্ষক থেকে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ, আট বছরের নাবালিকা ঘোল খাওয়াল সকলকে!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement