ইংরাজিতে একটা মোক্ষম কথা আছে- Two's company, three's a crowd! মানেটা সোজাই- ডেটিং হল শুধুই দোকার ব্যাপার, ওখানে তেকা বা তার বেশি ভিড় বাড়ালে সমস্যা আছে! প্রথমত, ভিড়ের মধ্যে সঙ্গী/সঙ্গিনী আড়ষ্ট বোধ করতেই পারেন! তার চেয়েও বড় কথা হল করোনাকালে ভিড়ের মধ্যে যাওয়ার দরকারটা কী! বরং চোখ রাখা যাক নিচের ৫ একেবারে অভিনব ডেটিং আইডিয়ায়, যেখানে একাকিত্ব আর পরস্পরের সান্নিধ্য হৃদয়ে এনে দেবে ভালোবাসার আঁচ!
১. স্বাদে আর আহ্লাদেডেটিংয়ের জন্য অনেকেই সোজাসাপ্টা কোনও রেস্তোরাঁর দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। তা, বলাই তো হয়- হৃদয়ের পথটা না কি পেটের ভিতর দিয়েই ঘুরে যায়! অতএব, ডেটিংয়ের সঙ্গে জমাটি ভোজের কোনও বিরোধ নেই! কিন্তু রেস্তোরাঁর বদলে যদি দু'জনে মিলে একসঙ্গে রান্না করা যায়? অনেক বছর সেই স্মৃতি কিন্তু মনে থেকে যাবে!
২. ছবির সফরডেটিংয়ের জন্য অনেকেই রেস্তোরাঁয় যাওয়ার আগে একবার সিনেমা হল থেকে ঢুঁ মেরে আসেন। এই কাজটাই যদি বাড়িতে করা যায়? পছন্দের কোনও একটা বা অনেকগুলো সিনেমা একসঙ্গে তো দেখাই যায়! এর সঙ্গে দু'জনে রান্না করার ব্যাপারটাও জুড়ে দিলে কিন্তু মন্দ হয় না!
৩. দুইয়ে মিলে করি কাজডেটিংয়ের মুহূর্ত একেবারে অন্যরকম করে তুলতে এই বছরে পটারি ক্লাস জয়েন করা যেতেই পারে! কুমোরের চাকার তালে তালে ঘুরবে হৃদয়, একে অপরের আঙুল ব্যস্ত থাকবে পরস্পরকে ছুঁয়ে পছন্দের পাত্র তৈরির কাজে। এই রসায়ন সংসারের চাকা চালানোরও অনুপ্রেরণা দেবে! সঙ্গে স্মৃতি হিসেবে মুহূর্তরা ছাড়া থেকে যাবে নিজে হাতে তৈরি পাত্রটাও!
৪. মুখোমুখি বসিবারজীবনানন্দ দাশের কাব্যকে একটু বদলে বলা যায়- থাকে শুধু বন ফায়ার, মুখোমুখি বসিবার! সুযোগ থাকলে একটা প্রাইভেট বিচ ভাড়া করে এই অন্তরঙ্গতার স্বাদ নেওয়া যেতেই পারে। ধিকি-ধিকি জ্বলে ওঠা আগুন আর তার ছড়িয়ে পড়া ফুলকি ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠবে!
৫. সাতটি তারার তিমিরআবার সেই জীবনানন্দ দাশের পংক্তিই ধার করতে হয়! শুধু সাতটি তারা-ই নয়, তিমিরে আরও অনেক তারা খোঁজাও কিন্তু এই বছরে জুতসই আর একেবারে আলাদা এক ডেটিং আইডিয়া হয়ে উঠতে পারে। তারা আর পরস্পরের মন- দুই কিন্তু এক্ষেত্রে একসঙ্গে চিনে নেওয়া যাবে!