Summer Sleep Tips|| গরমে দাপটে ঘুমের দফারফা? পরিপাটি ঘুমের জন্য রইল একগুচ্ছ টিপস...

Last Updated:

How to keep bedrooms cool: ঘরের পরিবেশে একটু বদল আনলেই বিষয়টা অনেক সহজ এবং আরামদায়ক হয়ে উঠতে পারে, এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই।

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।
#কলকাতা: গরম বাড়ছে লাফিয়ে। হালকা বৃষ্টি মাঝে মধ্যে হলেও ঘর্মাক্ত আবহাওয়ায় নাজেহাল মানুষ। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে বিছানায় পিঠ ঠেকানোরও উপায় নেই। উত্তপ্ত গদি, তোষকে প্রাণান্তকর পরিবেশ। সামান্য ঘুমও হয়ে উঠছে দুর্লভ। মানুষ তাই ক্রমাগত হাত বাড়াচ্ছে এয়ার কন্ডিশনারের দিকে, তাতে পরিবেশের আরও ক্ষতি হচ্ছে জেনেও। অথচ, ঘুমোনোর আগে কয়েকটা নিয়মে মেনে চললে, ঘরের পরিবেশে একটু বদল আনলেই বিষয়টা অনেক সহজ এবং আরামদায়ক হয়ে উঠতে পারে, এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই। দেখে নেওয়া যাক কী সেই নিয়ম?
এ ক্ষেত্রে দু’টি কাজ করা যেতে পারে।
১। ঘরের পরিবেশে বদল আনা।
advertisement
২। নিজের শরীরকে খানিকটা ঠান্ডা রাখা।
ঘরের পরিবেশে বদল আনা:
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘুমোতে যাওয়ার আগে শরীরের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কম হওয়া দরকার। একটি আদর্শ শোওয়ার ঘরের তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকাই ভাল। গ্রীষ্মকালে ভারতের যে কোনও শহরে এটা সোনার পাথরবাটি। কিন্তু তার মধ্যেই ব্যবস্থা করে নিতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই এমন একটা ঘর থাকে যাতে সারাদিন রোদ পড়ে। আর সেটা যদি হয় শোওয়ার ঘর, তা হলে তো খুবই সমস্যা। যদি সুযোগ থাকে তা হলে সেই ঘরের বদলে অন্য অপেক্ষাকৃত ছায়া সুশীতল ঘরটিকে বেছে নেওয়া যায় ঘুমের জন্য। তবে এমন উপায় সকলের থাকে না। সে ক্ষেত্রে কয়েকটা কাজ করা যেতে পারে।
advertisement
শোওয়ার ঘরে অন্তত গরম কালের জন্য জানলায় এমন পর্দা লাগানো দরকার যাতে আলো কম ঢোকে।
১. সে জন্য একটু মোটা পর্দা লাগানো যেতে পারে।
২. দুটো ধাপে পর্দা করা যায়। একটায় সন্ধেবেলার জন্য একটু হালকা পর্দা। অন্যটায় দুপুরবেলার জন্য ভারী পর্দা। যাতে প্রয়োজন মতো আলো ও হাওয়ার যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
advertisement
৩. খড়খড়ি লাগানো যেতে পারে। তাতে ঘর ঠান্ডা হয়।
৪. মাদুরের পর্দা লাগালে ঘর অন্ধকার হবে আবার অন্দর সজ্জায় লাগবে রুচিশীলতার ছোঁয়া।
খ) হাওয়া চলাচল:
ঘরে হাওয়া চলাচল করতে না পারলে কোনও ভাবেই স্বস্তি মিলবে না। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে খোলা জানলার দিকে। বিকেল থেকে ঘরের সব জানলা খুলে রাখা দরকার। মশা বা পোকার উপদ্রব থাকলে জাল লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের ২ মন্ত্রীকে বিঁধে সিপিআইএমের নতুন প্যারোডি, গান বাঁধলেন রাহুল-নীলাব্জ
দুপুরে জানলা খোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে রোদের বিষয়টি। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ বা পূর্বের জানলা খুলে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। আলো বন্ধ করতে পর্দা টাঙিয়ে রাখা যেতে পারে। উত্তর বা পশ্চিম জানলা বন্ধ রাখাই ভাল, কারণ দুপুরের পর ও দিক দিয়ে গরম হাওয়া আসার সম্ভাবনাই বেশি।
advertisement
গ) ঘরের সজ্জা ও গাছপালা:
সুযোগ থাকলে শোবার ঘরের আসবাব কিছুটা কমিয়ে ফেলাই ভাল। তাতে হাওয়া চলাচল বাড়বে। এমনকী এসময় বিছানা থেকে অতিরিক্ত বালিশও সরিয়ে ফেলা দরকার। অবশ্যই সুতির চাদর পাততে হবে।
শোবার ঘরের সজ্জায় ব্যবহার করা যায় নানা ধরনের সবুজ গাছ। তাতে চোখের আরাম, তেমনই ঠান্ডা হবে ঘরের পরিবেশ।
advertisement
ঘ) আলো নিভিয়ে রাখা:
অপ্রয়োজনীয় আলো সন্ধের পর থেকে নিভিয়ে রাখাই ভাল। তাতে ঘর ঠান্ডা থাকবে।
নিজেকে ঠান্ডা রাখা:
নিজের শরীরকে ঠান্ডা রাখাও খুব জরুরি।
১. ঘুমোনোর আগে মেডিটেশন করা যেতে পারে। তাতে সারাদিনের চিন্তা কমবে, শরীর ঠান্ডা হবে।
২. শোওয়ার আগে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে স্নান করা যেতে পারে।
advertisement
৩. খুব গরম লাগলে এক টুকরো বরফ একটি পলি ব্যাগে ভরে ঘাড়ের কাছে অথব কবজিতে রাখা যায়। পালস্ ঠান্ডা হলে গোটা শরীরে ঠান্ডা অনুভূতি হবে।
৪. ল্যাভেন্ডারের মতো এসেনসিয়াল তেল বালিশের তুলোয় দিয়ে রাখলে ঘুম ভাল হতে পারে।
৫. চা, কফি কম খেতে হবে।
৬. অ্যালকোহল একবারেই খাওয়া উচিত নয়, তাতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা থাকে।
৭. মাথার কাছে অবশ্যই পানীয় জলের বোতল রাখতে হবে।
৮. হালকা সুতির পোশাক পরে ঘুমোতে হবে।
কাজে লাগানো যায় এই কয়েকটা টিপসও-
১. জিপ লক পলি ব্যাগে বিছানার চাদর, বালিশের কভার ভরে রেফ্রিজারেটরে রেখে দেওয়া যেতে পারে। শোওয়ার সময় সেগুলো পেতে নিলে আরাম লাগবে। আজকাল অবশ্য কুলিং বালিশ কিনতেও পাওয়া যায়।
২. ঘরে খানিকটা বরফ রেখে দেওয়া যেতে পারে ফ্যানের নিচে। তা বাষ্পীভূত হয়ে ঘর ঠান্ডা করবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Summer Sleep Tips|| গরমে দাপটে ঘুমের দফারফা? পরিপাটি ঘুমের জন্য রইল একগুচ্ছ টিপস...
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement