মিলছে না নৌকা, শোভাবাজার রাজবাড়ির বড় তরফের প্রতিমা বিসর্জন রীতিতে কি তাহলে ছেদ পড়বে? 

Last Updated:

শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিমা কাঁধে করে প্রায় ৪০ জন নিয়ে যান বিসর্জনের ঘাট অবধি। সেখান থেকে দুই বিশেষ নৌকার মাঝে বসানো হয় প্রতিমা।

#কলকাতা: করোনা সংক্রমণের জের শোভাবাজার রাজবাড়ির বড় তরফের দূর্গা পুজোর ভাসানে ছেদ পড়তে পারে ঐতিহ্যের। ১৭৫৭ সালে শোভাবাজার রাজবাড়ির বড় তরফের পুজোর সূচনা করেন রাজা নবকৃষ্ণ দেব। তখন থেকেই ভাসানের বেশ কিছু নিয়ম প্রচলিত আছে এই বাড়িতে। শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিমা কাঁধে করে প্রায় ৪০ জন নিয়ে যান বিসর্জনের ঘাট অবধি। সেখান থেকে দুই বিশেষ নৌকার মাঝে বসানো হয় প্রতিমা। তারপর মাঝ গঙ্গায় সরানো হয় দুই নৌকাকে। ঠাকুর বিসর্জন হয়ে যায়।
শোভাবাজার রাজবাড়ির এই বিশেষ ভাসান পর্ব দেখতে ভিড় করেন দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এবার কোভিড প্রটোকল মেনে কাঁধে করে ঠাকুর নিয়ে যাওয়া ও ভাসানের নৌকা না মেলায় ঐতিহ্য মেনে ভাসান হবে কিনা তা নিয়ে প্রবল সংশয় তৈরি হয়েছে। শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো হয় শাস্ত্র মেনে। ফলে এখানে পুজো উপাচারে পান থেকে চুন খসে না।
advertisement
কোভিড পরিস্থিতিতে বেশ কিছু নিয়ম কানুন বদল হলেও পুজোর উপাচারে কোনও বাধা আসবে না বলেই বড় তরফের দাবি। শোভাবাজার রাজবাড়ির এস্টেটের অন্যতম সদস্য তাপস বসু। তিনি সেবাইতও বটে। তিনি জানাচ্ছেন, এই বাড়ির পুজোয় ঠাকুর ভাসানে নৌকার ভূমিকা থাকে। শোভাবাজার ঘাট থেকে দুটি নৌকার মাঝে বসানো হয় প্রতিমা। বাড়ির সদস্যরা, সেবাইতরা প্রত্যেকেই ভাগাভাগি করে থাকেন দুই নৌকায়। প্রতিমা রাখা হয় একাধিক বাঁশ এবং কাছি বা দড়ির সাহায্যে। মাঝ গঙ্গায় নৌকা নিয়ে যাওয়ার পরে, ধীরে ধীরে সরানো হয় বাঁশগুলি। তারপরে প্রতিমা রাখা থাকে দড়ির ওপরে৷ আস্তে আস্তে সেটা ছাড়া হয়। তাতেই প্রতিমা দুই নৌকার ফাঁক গলে নদীতে পড়ে ভাসান হয়ে যায়। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে ভাসান হয়ে আসছে।
advertisement
advertisement
এস্টেটের অন্যতম সদস্য দেবরাজ মিত্র জানাচ্ছেন, এবারে মিলছে না নৌকা। কলকাতার বিভিন্ন ঘাট এমনকি শ্রীরামপুর অবধি গিয়ে তারা নৌকার খোঁজ চালিয়ে এসেছেন। যা মিলছে তার বেশিরভাগই হচ্ছে হয় মাছ ধরার পানসি নৌকা নয়তো বড় নৌকা। যা আবার ঘাট অবধি আসবে না। ফলে চলতি বছরে রাজবাড়ির পুজোয় বড় তরফের ভাসান নিয়ে চিন্তিত এস্টেটের সদস্যরা। তাদের বিশেষ আবেদন রাজ্যের কাছে যদি কোনও ভাবে তাদের ভাসানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
advertisement
অন্যদিকে কোভিড প্রটোকল মেনে এবার ঘাট অবধি প্রতিমা নিয়ে যাওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে এক বিশেষ সমস্যা। নিয়মানুযায়ী তাদের ঠাকুর যায় কাঁধে চড়ে। ৪০ জন বিশেষ ব্যক্তি, তারা একে অপরের কাঁধে হাত দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা করে। তার ওপর বসানো হয় ঠাকুর। সেটি যায় ভাসানের ঘাট অবধি। কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী এবার বজায় রাখতে হবে ফিজিক্যাল ডিস্টেন্স। তাই গা ঘেঁষে ঠাকুর নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঠাকুর নিয়ে যাওয়া হবে লোহার বড় চাকা লাগানো ট্রলিতে। তার ওপর ঠাকুর বসিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে।
advertisement
দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কলকাতার পুজোয় আসেন শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো দেখতে। তার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ হল এই ভাসান। এবারে সেই নিয়মের ছেদ পড়তে চলেছে বলে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
মিলছে না নৌকা, শোভাবাজার রাজবাড়ির বড় তরফের প্রতিমা বিসর্জন রীতিতে কি তাহলে ছেদ পড়বে? 
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement