কলকাতা: নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তিনি৷ বড়ঞায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার তোলপাড় রইল আদালত চত্ত্বর৷ বৃহস্পতিবারই আলিপুর আদালতে পেশ করার কথা ছিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে৷ আর বৃহস্পতিবারই পড়েছে জামাইষষ্ঠী৷ সেই ষষ্ঠীর ফলপ্রসাদ জেলেই স্বামী জীবনকৃষ্ণের জন্য নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী৷ কিন্তু কী হল তারপর!
এক দিকে সারা বাংলা জুড়েই চলছে জামাইষষ্ঠীর আয়োজন৷ জামাই আদরের পাশাপাশি অনেক বাঙালি বাড়িতেই এদিন স্বামী, সন্তানের মঙ্গল কামনায় বিশেষ রীতি পালন করার অভ্যাস আছে৷ একটি তালপাতার পাখায় ফল, পাতা, দিয়ে ষষ্ঠীর কাছে পুজো সেরে সেই পাখার বাতাস করা হয়৷ পাশাপাশি ফল তুলে দেওয়া হয় প্রসাদ হিসাবে৷
ষষ্ঠীর পুজোর পর মঙ্গল কামনায় এই রীতি বাঙালি বাড়ির অংশ৷ সেই রীতি পালন করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী৷
বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় বড়ঞার অভিযুক্ত বিধায়ককে৷ এ দিন ছিল নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দূর্নীতি মামলার শুনানি৷ জীবনকৃষ্ণ ছাড়াও এদিন আদালতে পেশ করা হয় সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিং, আলি ইমাম, শাহিদ ইমাম, কৌশিক ঘোষ ও সুব্রত সামন্ত রায়কেও৷
আদালতের শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবনকৃষ্ণ সাহার জন্য আনা প্রসাদ তাঁর কাছে পৌঁছে দিতে পারেননি স্ত্রী৷ পুলিশ সেই প্রসাদ দিতে অনুমতি দেয়নি৷
আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এখন আপাতত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে সকলকে৷ আলিপুর আদালত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আগামী ১ জুন পর্যন্ত এঁরা সকলেই জেল হেফাজতে থাকবেন৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jibankrishna Saha