#কলকাতা: নজরে ভোটের আগে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। জেলা শাসক-পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে কড়া বার্তা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের। মহানগরীতে কেন এত অশান্তি? প্রশ্নের মুখে কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মাও।
সূত্রের খবর,এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্ব যে পুলিস-প্রশাসনের, তা এদিনের বৈঠকে সেটাও কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে কর্তব্যে গাফিলতি যে কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না। সূত্রের খবর পুলিস-প্রশাসনের কর্তাদের সামনে সেটাও স্পষ্ট করেছে কমিশন। কড়া পদক্ষেপ নিতেও যে পিছপা হবেন না তাও জানিয়েছে কমিশন ৷
এবার থেকে কর্তব্যে গাফিলতি হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। ভোটের সঙ্গে যুক্ত থাকা আধিকারিকদের এবার সরাসরি অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শোকজের উত্তরের অপেক্ষায় থাকবে না কমিশন। জেলাশাসকদের এই বার্তাই দিয়েছেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার।
বিধানসভা ভোটের আগে সব এলাকা শান্তিপূর্ণ করতে হবে।শুধু তাই নয় যে যে এলাকায় এখনও পর্যন্ত অশান্তি রয়েছে সেই এলাকাগুলিতে ও শান্তি ফেরাতে হবে। সার্বিকভাবে ১০০% শান্তিপূর্ণ করতে হবে ভোটের আগেই। বুধবার জেলাশাসক পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশন। বৈঠক থেকে এমনটাই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বার্তা দেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার বলেই সূত্রের খবর। বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার ও কমিশনাররা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জেলাশাসক,পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি ছিলেন বৈঠকে।
মূলত গত ডিসেম্বর মাসে যখন রাজ্যে এসেছিলেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।শুধু তাই নয় কোন কোন এলাকায় অশান্তি হচ্ছে রাজনৈতিক খুন হচ্ছে এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহ অন্তর অন্তর ইলেকশন কমিশনকে রিপোর্ট পাঠানোর কথা বলেন ইলেকশন কমিশনার। এদিনের আলোচনাতে কার্যত আগের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ,ডিজির সঙ্গে বৈঠক করবেন সুদীপ জৈন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়