#কলকাতা: রাতারাতি ত্রিপুরায় হাজির বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে ম্যারাথন মিটিং করেছেন বিএল সন্তোষরা। আর তাতেই হাসি চওড়া হচ্ছে তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবির বলতে শুরু করেছে অস্তিত্বসংকটে ভুগছে বিজেপি।
আজ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ত্রিপুরা নিয়ে আশঙ্কায় পড়েছে ওঁরা। আমরা শুধু বিধায়ক নিতে যাব না। আমাদের গণভিত্তি ছিল।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় বিজেপির অন্দরে লবির লড়াই স্পষ্ট। একসময়ে বিপ্লব দেবের বিরোধী শিবিরের প্রধানমুখ সুদীপ রায়বর্মন দিল্লি গিয়েও কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা পাননি। অথচ আজ তাঁদের কাছেই সময় চাইছে কেন্দ্রীয় নেতারা। বিষয়টিকে কটাক্ষ করে সুখেন্দু বলছেন, সেই বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে যারা৷ তাদের নিয়ে মিটিং হল। আসলে ওঁরা বেকায়দায় আছে।
এ দিনই ত্রিপুরার জন্য আলাদা ট্যুইট হ্যান্ডল বানিয়েছে দল। সুখেন্দুশেখর কোনও রাখঢাক রাখছেন না পরিকল্পনা জানাতে। স্পষ্টই বলছেন, আমরা বাংলার বাইরে সংগঠন বিস্তার করব। আমি ত্রিপুরা নিয়ে উৎসাহ দেখেছি। আমাদের দল সিদ্ধান্ত জানাবে।
কোনও রাখঢাক না রেখেই বলা যায় ত্রিপুরায় বিজেপির প্রধান কাঁটা মুকুল রায়। কারণ সুদীপ রায় বর্মন তাঁরই ভাবশিষ্য। সুদীপের বিজেপিতে যাওয়া মুকুল রায়ের হাত ধরে। আজ মুকুল যখন গেরুয়া সঙ্গ ত্যাগ করে বেরিয়ে এসেছেন সুদীপ কি সেই পথের অনুগামী হবেন না এই প্রশ্নই রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে ।তাছাড়া তৃণমূলের তরফেও যে ত্রিপুরার বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে প্রতিনিয়ত এমন ইঙ্গিতও মিলছে।
ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের বৈঠক নিয়ে এদিন যখন চরম জল্পনা তখন শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় যান মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ জন্য অধ্যক্ষকে চিঠি দিতে। এই প্রসঙ্গেও আজ মুখ খুললেন সুখেন্দু। তিনি বলেন, "উনি বিরোধী দলনেতা। চিঠি দিতে পারেন। স্পিকার দেখবেন। কিন্তু প্রশ্ন নৈতিকতার। তিনি নিজের বাবা-ভাই নিয়ে হেঁয়ালি পরিষ্কার করুক। তিনিও হঠাৎ পদত্যাগ করেছিলেন। আগে নিজের দিকে আঙুল তোলা উচিত।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP, TMC, Tripura Election 2022