#কলকাতা: অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, মিথ্যা কথা বলেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তাই তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রসঙ্গত কাশীপুরের বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে খুনের প্রমাণ মেলেনি বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে৷ এ দিন হাইকোর্টে সেই রিপোর্টই জমা পড়েছে৷ তার পরই পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে৷ কারণ ঘটনার পরই কাশীপুরে গিয়ে দলীয় কর্মীকে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: কাশীপুরে বিজেপি কর্মীকে খুনের প্রমাণ নেই ময়নাতদন্তে
এ দিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'অর্জুন চৌরাসিয়াকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়নি। ধস্তাধস্তি, বাধা দেওয়ার চিহ্ন নেই৷ নিরপেক্ষ তদন্ত তো হল। কম্যান্ড হাসপাতালের রিপোর্টে প্রমাণ হল বানানো গল্প। রাজনৈতিক হত্যা বলেছিল। বিজেপির উচিত আর গলাবাজি না করা।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজের সিদ্ধান্ত বা জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের টানাপোড়েনে যাওয়া নেতাদের জন্য গেলেও দায় ওনারই। কেউ যদি আত্মহত্যা করে থাকেন সেটাকেও হত্যা বলেছিলেন। সক্রিয় টিএমসি কর্মীর সঙ্গে এই ঘটনা হলে দেখা যেত। আপনি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। আপনার কেন্দ্রের হাতে থাকা কম্যান্ড হাসপাতালের রিপোর্ট বলছে কোনও হত্যার প্রমাণ নেই। অপদার্থ সব বাংলার নেতা৷ তাঁদের দয়া করে বিশ্বাস করবেন না। বাংলা বিজেপি বিপাকে পড়েছে অবশ্যই। খাবার টেবিলে সন্ধ্যায় মহাভোজ আর সকালে করলেন কুম্ভীরাশ্রু। বাংলার বিজেপি-র ভাঁড়ার শূন্য। মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেল। খুন নয়, আত্মহত্যাই প্রমাণিত হল। শশ্মান ভিত্তিক মণ্ডল কমিটি করুন।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা। তাঁরা জানিয়েছেন, 'ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন একটি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। অসত্য কথার ফুলঝুরি সাজিয়ে এনেছিলেন। সেদিন আমরা বলেছিলাম। আমাদের কথা কতটা সত্য আজ তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রমাণিত। অর্জুনের মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগে হয়েছে এটি জানা গিয়েছে। মেরে ঝোলানোর অভিযোগ ঠিক নয়। মৃতের দেহ আঘাতের চিহ্ন নেই বলে শুনেছি। এটি রাজনৈতিক হত্যা নয়। তদন্তের আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন খুন। তিনি সঠিক তথ্য দেননি৷ ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তিনি সেদিন কাশীপুর গিয়েছিলেন। সেই ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ললিতপুর, হাথরস, প্রয়াগরাজে তিনি তো যাননি৷ বাংলার মানুষ যে ওনাদের মানেন না সেটা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে। আর ডবল ইঞ্জিন সরকার মানেই ডবল বিপদ। এই রাজ্যের সরকার সত্য উদঘাটনে সব ব্যবস্থা নিয়েছে। আদালত সিটের কাছে খামবন্ধ রিপোর্ট দিয়েছে। সিট যথার্থ তদন্ত করবে৷ সমস্ত বিষয় তদন্তের মধ্যে আছে। সব তদন্ত হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের দল ঠিক করবে। উনি একবার কষ্ট করে পদ পেয়েছেন।পদত্যাগ করতে বলছি না। তবে ক্ষমা চাইতে বলছি।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।