#কলকাতা: হঠাৎ করে আসে বিশ্ব মহামারি। করোনার জেরে জারি হয় লকডাউন। সমগ্র বিশ্ব অর্থনৈতিক দিক থেকে থমকে যাওয়া পরিস্থতিতে। যার প্রভাব পড়ে আমাদের রাজ্যেও, বাংলায়। দু'বছর আগের ছবি ছিল বেদনার। যার প্রভাব পড়েছিল সংশোধনাগারেও। করোনা বাড়তে থাকায় দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল বন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দিতে। এই নির্দেশ অনেক বন্দিদের কাছে আনন্দের ছিল, আবার অনেকের কাছে ছিল অনিশ্চয়তার। কারণ অনেক বন্দি বাইরে এসে কি করবেন, তা জানা ছিল না।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ কী ভাবে দিল্লিতে গিয়ে বাকি রাজ্যকে শেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ
এমনই তিন সাজাপ্রাপ্ত দেড় বছর আগে প্যারোলে মুক্তির পর বাইরে বেরিয়ে কার্যত দিশাহারা অবস্থায় পড়েন। বাইরে লকডাউন কাজ নেই, সংশোধনাগার থেকে বেরোনোর পর অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। বেকারত্ব অবস্থায় কী ভাবে দিন কাটবে জানা ছিল না। সেই সময়ই এই তিন সাজাপ্রাপ্তবন্দির পাশে এসে দাঁড়ায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যারা ২০১৬ সাল থেকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দিদের নিয়ে হস্তশিল্পের কাজ করে আসছে। মইদুল মোল্লা, মুছলেচুর রহমান মণ্ডল ও ইন্দ্রজিৎ পালকে পাট জাত সামগ্রী তৈরি করা শেখানো হয় এবং পরবর্তীতে তাঁদের দিয়েই বিভিন্ন পাট জাত সামগ্রী তৈরি করে রপ্তানি করা হয়। যা থেকে ওই তিন সাজাপ্রাপ্তবন্দির আয়ের রাস্তা খোলে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার ১০০ বছরের প্রাচীন ছাপার যন্ত্র! আরও কত আশ্চর্য ইতিহাস, দেখতে পাবেন সবাই
বর্তমানে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য বন্ধুদের মত মইদুল রাও নিজেদের দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। লকডাউন নেই, সংশোধনাগারে ফেরার পর্ব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই দেড় বছরে নিজেদের সাবলম্বী করে তুলতে পিছ পা হননি। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ তিন বন্দিকে তাঁদের কাজের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হল। অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রাক্তন ডিজিপি রাজ জহরি ও প্রাক্তন যুগ্ম কমিশনার সুজয় চন্দ্র। তাঁরাও এই তিন বন্দির হাতের কাজের প্রশংসা করেছেন।
Amit Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Handcrafts, NGO