#কলকাতা: মুমূর্ষু দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে ,ফিরিয়ে দিলো স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা নেই বলে।এমনকি ফোনে কলকাতার আরও দু-একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে যোগাযোগ করলে তারাও জানিয়ে দেয় তাদের কাছেও স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা নেই। সেই অবস্থায় সারা কলকাতা হন্যে হয়ে ঘুরলেন রোগীর পরিবার। ১৬ বছরের অতনু সিট। বাড়ির দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার তারাপদ বাঁধে। সকাল সাড়ে সাতটার সময় বাড়ির সামনে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন অতনু। সেই সময় একটি টোটো রিক্সা ধাক্কা মারে তাঁকে। ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছেলেটি।সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা যায় কাকদ্বীপ হাসপাতাল। সেখান থেকে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতাল। ডায়মন্ড হারবার থেকে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। সেখানেও ভর্তি করতে পারেননি রোগীর পরিবার। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে ফিরে এস এস কে এম হাসপাতাল। সকাল থেকে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও, কোন চিকিৎসা না পেয়ে অতনুর বাবা শ্রীকান্ত একবালপুর এর একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যান। সেই নার্সিংহোম চিকিৎসা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানিয়ে দেয় কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখান থেকে প্রস্রাব নালি দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এক লক্ষ টাকা জমা করতে বলে। অত টাকা নেই চিকিৎসার জন্য- জানিয়ে দেয় শ্রীকান্ত। ওই নার্সিংহোম জানিয়ে দেয় তাদের কাছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর কোন অসুবিধা নেই। বিপাকে পড়ে শ্রীকান্ত বাবু এবং তার আত্মীয়রা ছেলেটিকে নিয়ে চলে আসেন এসএসকেএম হাসপাতালে ট্রমা কেয়ারে। সেখানে এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে।অস্ত্রোপচার হয়েছে। আবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না দিয়ে ফেরালো, কলকাতার নার্সিং হোম। রাজ্য সরকার মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য যেখানে,বদ্ধ পরিকর।সেখানে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই ধরনের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
SHANKU SANTRA