Tangra Incident Investigation Update: চেক বাউন্স, বাড়িতে পাওনাদারদের হানা! দেনার দায়ে ডুবে গিয়েই চরম সিদ্ধান্ত নেন প্রণয়-প্রসূন? সূত্র মেলাচ্ছে পুলিশ

Last Updated:
প্রণয় দে ও প্রসূন দে৷
প্রণয় দে ও প্রসূন দে৷
কলকাতা: দেনার দায়ে ডুবে গিয়েই কি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ট্যাংরার বাসিন্দা দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূন দে৷ প্রাথমিক তদন্তে সেরকমই ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ৷ ব্যবসায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েই যে তাঁরা দেনায় ডুবেছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে তা স্বীকার করে নিয়েছেন দুই ভাই৷
ট্যাংরার অতুল সুর রোডের বাসিন্দারা ওই দুই ভাইকে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবেই জানতেন৷ চামড়ার গ্লাভসের ব্যবসা ছিল তাঁদের৷ শীল লেনে প্রোটেক্টিভ লেদার গ্লাভস প্রাইভেট লিমিটেড নামে কারখানাও ছিলে তাঁদের৷
advertisement
এ দিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ই এম বাইপাসের অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রো রেলের পিলারে সজোরে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি৷ কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিক এবং পথচলতি মানুষ গাড়ি থেকে প্রণয় দে, তাঁর ভাই প্রসূন দে এবং প্রণয়বাবুর বছর ১৪-র ছেলেকে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে৷
advertisement
তখনই আহত অবস্থায় প্রণয় পুলিশকে জানান, ট্যাংরার বাড়িতে তাঁদের দুই ভাইয়ের স্ত্রী এবং ১৪ বছরের ভাইঝির দেহ পড়ে রয়েছে৷ সবাই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন প্রণয়৷ তিনি আরও দাবি করেন, আত্মঘাতী হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই গাড়ি নিয়ে সজোরে মেট্রোর পিলারে গিয়ে ধাক্কা মারেন তাঁরা৷ এই খবর পেয়েই ট্যাংরার অতুল গুহ রোডের বাড়ি থেকে প্রণয়ের স্ত্রী সুদেষ্ণা দে (৪৪), প্রসূনের স্ত্রী রোমি দে (৩৯) এবং তাঁদের ১৪ বছর বয়সি কন্যা প্রিয়ংবদার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ প্রণয় এবং প্রসূন আরও দাবি করেছেন, আত্মঘাতী হতেই পায়েসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়েছিলেন তাঁরা৷ সুদেষ্ণা এবং রোমির হাতের শিরা কাটা ছিল৷ একজনের গলাতেও আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ আবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রণয়ের ছেলের হাতেও কাটা দাগের আঘাত রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর৷
advertisement
তদন্তে নেমে বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে পুলিশের৷ তাতে দেখা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলেও ট্যাংরার ওই বাড়িতে বেশ কয়েকজন এসে ফিরে যান৷ কলিং বেল বাজালেও কেউ দরজা খোলেননি৷ প্রণয় এবং প্রসূন দে জানিয়েছেন, অনেক পাওনাদারই বাড়িতে এসে টাকার জন্য তাগাদা দিতে শুরু করেছিল তাঁদের৷ এর আগে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার কথাও ভেবেছিলেন তাঁরা৷
advertisement
এ দিনের এই ঘটনার পর মনোজ গুপ্ত নামে একজন চামড়ার সরবরাহকারী দাবি করেছেন, পাওনা টাকা বাবদ প্রণয় এবং প্রসূন দে-র দেওয়া চেক বাউন্স করেছিল৷ সেই কারণেই টাকা চাইতে ফের গতকাল ট্যাংরার বাড়িতে যান তিনি৷ যদিও ডাকাডাকি করার পরেও কেউ সারা দেননি৷
প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় দে বাড়ির ছাদে সন্ধ্যা আরতি হত৷ কিন্তু মঙ্গলবার সেই আরতি হতে দেখেননি কেউ৷ বাড়ির গেটও ছিল বন্ধ৷ ফলে বাড়ির প্রণয়ের স্ত্রী সুদেষ্ণা এবং প্রসূনের স্ত্রী রোমি ও তাঁদের নাবালিকা কন্যার কখন মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা থাকছে৷ তবে এ সব প্রশ্নেরই উত্তর মিলতে পারে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে৷ নগরপাল মনোজ ভার্মাও জানিয়েছেন, দুই ভাইয়ের দেওয়া বয়ানের বাইরেও বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ পুলিশের হাতে এসেছে৷ যেগুলি যোগসূত্র থেকেই রহস্যের কিনারা করতে চাইছে পুলিশ৷
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Tangra Incident Investigation Update: চেক বাউন্স, বাড়িতে পাওনাদারদের হানা! দেনার দায়ে ডুবে গিয়েই চরম সিদ্ধান্ত নেন প্রণয়-প্রসূন? সূত্র মেলাচ্ছে পুলিশ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement