Mid Day Meal: মিড-ডে-মিলে থাকুক আমলকী ও গুলঞ্চের মোরব্বা, রেশনে দেওয়া হোক অশ্বগন্ধা! মত রাজ্যের

Last Updated:

Mid Day Meal: যাতে পড়ুয়ারা আরও পুষ্টিকর খাওয়ার পায় তাই এই প্রস্তাব

যাতে পড়ুয়ারা আরও পুষ্টিকর খাওয়ার পায় তাই এই প্রস্তাব
যাতে পড়ুয়ারা আরও পুষ্টিকর খাওয়ার পায় তাই এই প্রস্তাব
কলকাতা : মিড ডে মিল নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাদ্য দিতে নতুন ভাবনা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে এবার কেন্দ্রের কাছে দেওয়ার হল আরও অভিনব প্রস্তাব। জাতীয় আয়ুষ মিশন কনক্লেভে অংশ নিয়েছিল বাংলা। সেখানেই প্রস্তাব দেওয়ার হয়েছিল মিড ডে মিল কেন্দ্র করে। পড়ুয়ারা যাতে আরও পুষ্টিকর খাওয়ার পায় সেই চেষ্টাই করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো তিন প্রতিনিধি। তাঁদের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল মিড-ডে-মিলে দেওয়া হোক আমলকী আর গুলঞ্চের মোরব্বা। তবে এরই সঙ্গে রেশনে অশ্বগন্ধার মত ইমিউনিটি বুস্টার দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। যাতে পড়ুয়ারা আরও পুষ্টিকর খাওয়ার পায় তাই এই প্রস্তাব।
বাংলার এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ারও ইঙ্গিত মিলেছে আয়ুষ মন্ত্রকের তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ছিলেন। ছিলেন আয়ুষসচিব বৈদ্য রাজেশ কোর্টেচা। সেখানেই গিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সচিব ড. শ্যামল মণ্ডল, রাজ্যের আয়ুর্বেদ অধিকর্তা ডা. দেবাশিস ঘোষ ও প্রোগ্রাম অফিসার শশীশেখর সীতাংশু।
ওই আলোচনা সভায় বাংলায় আয়ুর্বেদ, যোগচর্চা ও হোমিওপ্যাথির পরম্পরা নিয়েও কথা হয়। তার মাঝেই বাংলা এই ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন শ্যামল- দেবাশিসরা। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও আয়ুর্বেদ চর্চা করতেন ডা. যামিনীভূষণ রায়। তিনিই দেশের প্রথম আয়ুর্বেদ হাসপাতাল স্থাপন করেন। বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথি কলেজ ‘ক্যালকাটা হোমিওপ্যাথি কলেজ স্থাপিত হয়েছিল এই কলকাতাতেই। অনুর্বেদ বিশারদ শ্যামাদাস বেন, গণনাথ সেন, চরক টিকাকার সঙ্গাধর রায়, সবাই এই বাংলার ভূমিপুত্র।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন :  এ বছর রথযাত্রা কবে? কত ক্ষণ থাকবে দ্বিতীয়া তিথি? জানুন সেই পুণ্যতিথির শুভক্ষণ
পূর্ব ভারতের প্রথম যোগ কলেজও চালু হয়েছে এই বাংলায়। চলতি বছরেই বেলুড়ে যোগশ্রীতে ছাত্র ভর্তি শুরু হবে। দেশের প্রথম যোগ- ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিল এই বাংলাতেই তৈরি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি আয়োজিত কনক্লেভে প্রথমে এই সব ইতিহাস মনে করিয়ে দেন বাংলার প্রতিনিধিরা।
advertisement
দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন, “ভিটামিন সি-র অন্যতম উৎস আমলকী। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই দু’টো মিড-ডে মিলের মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করলে দারুণ লাভ।” এখানেই শেষ নয়, রেশন দোকানের মাধ্যমে আনুশকান, অশ্বগন্ধা, গুল, শতমূলী দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়।  জানা গিয়েছে, মন্ত্রী থেকে শুরু করে সচিব সব পর্যায়েই এই প্রস্তাব দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।  শিশুদের পুষ্টিবিকাশ দীর্ঘ দিন আলোচনা চলছে। কীভাবে সহজে শিশুদের কাছে সহজলভ্য অথ্য পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে গোয়ার আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের আলোচনা হয়। সেখানে ছিলেন দেবাশিসবাবুরা। ছিলেন কারা চিকিৎসা বিভাগের অধ্যাপক ডা. প্রমবিকাশ করা মহাপাত্র। দু’জনেই মেনে নিয়েছেন, বাংলার দেওয়া প্রস্তাব মেনে শিশুপুষ্টিতে বিপ্লব আসবে।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Mid Day Meal: মিড-ডে-মিলে থাকুক আমলকী ও গুলঞ্চের মোরব্বা, রেশনে দেওয়া হোক অশ্বগন্ধা! মত রাজ্যের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement