South Calcutta Law College Case: গার্ডরুমে ঢোকা মাত্রই প্রথম যে কাজটা করেছিল মনোজিৎ..জেরায় সব এক এক করে কবুল অভিযুক্তদের
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
- Reported by:Rounak Dutta Chowdhury
Last Updated:
কসবা কাণ্ডে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আজ, বৃহস্পতিবার ছিল শুনানি৷ এদিন সিট তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। পাশাপাশি কেস ডায়েরিও তলব বিচারপতি সৌমেন সেন ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে৷
কলকাতা: যতদিক থেকে নৃশংস হওয়া যায়, তার সবটাই করেছিল মনোজিৎরা৷ ইনহেলার এপিসোড তো ইতিমধ্যেই এসেছে সামনে৷ প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার পরে নির্যাতিতা ইনহেলার চাইলে তাকে ওষুধের দোকান থেকে মনোজিতের নির্দেশে ইনহেলার কিনে এনে দিয়েছিল জাইব৷ কিন্তু আদালতে নির্যাতিতার আইনজীবী দাবি করেছেন, ইনহেলার দিয়ে নির্যাতিতাকে সুস্থ করার উদ্দেশ্যই ছিল তাকে যাতে পরে তাকে ধর্ষণ করা যায়৷ এবার জানা গেল আরও এক তথ্য৷
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার ফোন৷ গার্ড রুমের ভিতরেই ফোন কেড়ে নিয়েছিল মনোজিৎ৷ অভিযুক্তদের জেরাতেই উঠে এসছে এই তথ্য৷ নির্যাতিতা যাতে কারও সাথে যোগাযোগ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই ফোন কেড়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল তাকে৷ মনোজিৎ প্রায় নিশ্চিত ছিল ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করলেই মুখ বন্ধ রাখবেন নির্যাতিতা৷ পুলিশের কাছ থেকে এবারও পার পেয়ে যাওয়া নিয়ে কার্যত নিশ্চিত ছিল মনোজিৎ৷
advertisement
কসবার ওই কলেজ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে কসবা থানা৷ কলকাতা পুলিশের সূত্রের খবর, মনোজিৎ তার কয়েকজন বন্ধুকে সেখানেও নজর রাখতে বলেছিল৷ দেখতে বলেছিল, যে নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায় কি না।
advertisement
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার গভর্নিং বডির রেজিস্টার বুকও বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার বিকেলে রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার আগে শেষ কবে গভর্নিং বডির বৈঠক হয়েছিল সেই মিটিং এ মনোজিতের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ ছিল কি না। কারা কারা মিটিং এ ছিল ক্ষতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। উল্লেখ্য গভর্নিং বডির সুপারিশেই চাকরি হয় মনোজিতের।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৯৮০ থেকে সব দেখেছেন…জানেন, আর সবাইকে ছেড়ে হঠাৎ শমীককেই কেন পছন্দ নাড্ডাদের? আছে কারণ…
কসবা কাণ্ডে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আজ, বৃহস্পতিবার ছিল শুনানি৷ এদিন সিট তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। পাশাপাশি কেস ডায়েরিও তলব বিচারপতি সৌমেন সেন ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে৷
advertisement
এদিন আদালতে পরিবারের আইনজীবী অরিন্দম জানা আবেদন জানান, নির্যাতিতা নাম, ধাম যেন প্রকাশিত না হয়। তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পরিবারকে যেন দেওয়া হয়। মামলায় পরিবারের বক্তব্য থাকতে পারে। মামলা যেন পরিবার কে সংযুক্ত(পার্টি) করা হয়।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
West Bengal
First Published :
July 03, 2025 1:25 PM IST