#কলকাতা: ২২জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় যথারীতি ডায়মন্ড সিটি সাউথ-এ নিজের কর্মস্থলে পৌঁছেছিলেন প্রণব ভট্টাচার্য। সেদিনই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রায় ১0 জন আধিকারিক৷ এটাই ছিল প্রথম অভিযান৷ প্রণব অর্পিতার গাড়িচালক৷ ঘটনার দিন, অর্থাৎ ২২ তারিখ পর্যন্ত তিনি নিজের বেতন পাননি৷
প্রায় সাত মাস ধরে অর্পিতার গাড়িচালক হিসেবে কাজ করছেন প্রণব। প্রণব জানান, “স্যার (পার্থ চট্টোপাধ্যায়)-এর অফিস থেকে ফোন পেয়েছিলাম। ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলেন স্যার আমার সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্যার আমাকে পরের দিন ডায়মন্ড সিটি সাউথে জয়েন করতে বললেন। আমার জন্য, এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। আমি চাকরিতে যোগ দি৷” পার্থ এও জানান, প্রায়ই কাজ শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেতেন অর্পিতা। আর যেতেন তিনটি পার্লারে৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গাড়ি রেখে ফিরে আসতেন বলেই জানিয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন: আইসক্রিম খেতে খেতে লন্ডনে শপিং-লড়াই সৌরভ-সানার! বাবা-মেয়ের ছবি ভাইরাল
প্রণব ভট্টাচার্য অর্পিতাকে একজন অন্তর্মুখী ব্যক্তি হিসাবে বর্ণনা করেছেন৷ তিনি বেশি কথা বলতেন না। প্রণবের কথা, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং আরেকটি হোন্ডা সিটি অর্পিতার বাসভবনে পার্ক করা হত, কিন্তু তিনি কখনই সেই গাড়িগুলির চাবি তাঁর হাতে দেননি। এত টাকা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন প্রণবও৷ অথচ তিনি নিজে বেতন পাননি৷
আরও পড়ুন: ফের হাসপাতালে পার্থ-অর্পিতা, নতুন কোনও 'বিস্ফোরণ'? তুমুল জল্পনা রাজ্যজুড়ে
ইডির প্রথম অভিযান হয় ২২ জুলাই। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ ছাড়াও, ৫৬ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা এবং ৭৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকেরা। ২৩ তারিখ গ্রেফতার করা হয় পার্থ এবং অর্পিতাকে।এই ঘটনার পাঁচ দিন পর, বেলঘরিয়ার বহুতল আবাসন ‘ক্লাব টাউন হাইটস’-এ অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ইডি। আবাসনের ২ নম্বর ব্লকের ২-এ ফ্ল্যাট থেকে বিশেষ কিছু উদ্ধার না হলেও, ৫ নম্বর ব্লকের ৮-এ ফ্ল্যাটে ঢুকে রীতিমত থ হয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা।
টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের মতো ইডি এই ফ্ল্যাট থেকেও ‘টাকার পাহাড়’ উদ্ধার করে। বেলঘরিয়ার ৮-এ ফ্ল্যাটটির শোবার ঘর এবং শৌচালয় থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ টাকা এবং ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে বাট, রকমারি হার, ছ’টি কঙ্কন (বালা), ঘড়ি-কলমও ছিল। অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি ৩৬ লক্ষ এবং ৫ কোটি ৭ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ইডি উদ্ধার করে। অর্থাৎ টাকা-সোনা মিলে মোট ৫৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Arpita Mukherjee