হোম /খবর /কলকাতা /
কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের তদন্তে সিট গঠন, নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার

কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের তদন্তে সিট গঠন, নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার

শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু খুনের তদন্তে সিট গঠন, নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার

শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু খুনের তদন্তে সিট গঠন, নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার

দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন।

  • Share this:

শক্তিগড়: শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় গঠন করা হল সিট । দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। রয়েছেন আরও ১১ জন সদস্য।

 

শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে শুটআউটে নিহত কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজেশ ওরফে রাজু ঝা। কে এই রাজু ঝা? জানা গিয়েছে, এক সময় আসানসোলের রানিগঞ্জ এলাকায় সাইকেল চুরিতে নাম জড়িয়েছিল রাজু ঝার ৷ তখন বাম জমানা ৷ ওই এলাকায় তখন বেআইনি কয়লার রমরমা কারবার ৷ কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মেলায় রাজু। কয়েক দিনের মধ্যেই রাজু ঝা হয়ে ওঠেন এলাকার 'ডন'। সূত্রের খবর, রাজনৈতিক নেতা থেকে এক শ্রেণীর পুলিশ অফিসারদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে কয়লা পাচারে ভিন রাজ্যেও নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেন রাজু।

এক সামান্য সাইকেল চোর থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই বাম শাসনকালে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া হয়ে ওঠে রাজু। যে কোনও নির্বাচনে রাজুই ছিল রাজনৈতিক শিবিরের অন্যতম 'মানি পাওয়ার'। বেআইনি কয়লা কারবারের সিন্ডিকেট চালু হয় তার সময়েই ৷ ফুলেফেঁপে ওঠে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজেশ ওরফে রাজু ঝা-র সাম্রাজ্য।আসানসোল-দুর্গাপুরে একের পর এক জমির মালিক হয়ে ওঠে রাজু ঝা ৷

আরও পড়ুন: একটি সাদা গাড়ি, আরও বিরাট বিপদে অনুব্রত মণ্ডল! ঘটনা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাবে

সর্বপ্রথম আসানসোল ও দুর্গাপুর থেকে কলকাতার ধর্মতলা ও করুণাময়ী রুটে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভলভো বাস পরিষেবা চালু হয় রাজু ঝা-র হাত ধরেই৷ এরপর হোটেল ব্যবসা সহ একাধিক জায়গায় বিনিয়োগ করে সে ৷ কিন্তু রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল হতেই রাজুর বেআইনি কয়লা ব্যবসায় লাগাম পড়ে ৷ শুরু হয় ধরপাকড়। আসানসোলের জামুড়িয়া, বারাবনি এলাকায় রাজুর বিশাল প্রতিপত্তি ছিল।

আরও পড়ুন: মমতা-শুভেন্দুর বৈঠকে 'সেই' বোঝাপড়া, বড় সঙ্কটের মুখে রাজ্য! বিস্ফোরক মহম্মদ সেলিম

বাম শাসনের অবসান আর তৃণমূল সরকারের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে রাজু ঝা ও তাঁর সঙ্গীদের জীবনেও বদল আসে৷ বেআইনি কয়লা কারবারে লাগাম পড়ে৷ তৃণমূল সরকারের আমলে রাজু ঝা'কে বেশ কয়েকটি পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হয় ৷ বেশ কয়েকবার সংশোধনাগারে থাকতে হয় রাজু ঝাকে ৷ কয়লা কারবারি থেকে অন্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে শুরু করে রাজু ৷ সে সময় রাজু ঝার জায়গায় বে-আইনি কয়লা কারবারের দখল নেয় অনুপ মাঝি ওরফে লালা। গত বিধানসভা ভোটের আগে তৎকালীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে রাজু যোগ দেন বিজেপিতে। আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের এই কয়লা মাফিয়া রাজু ঝার অর্থ শক্তি ও রাজুর নিজস্ব বাহুবলী গ্যাংয়ের ওপর ভর করেই বিজেপি নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে। হাতেনাতে ফলও মেলে। সূত্রের খবর, মূলত কয়লা কান্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সক্রিয় হতেই ধীরে ধীরে বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে এক সময়ের খনি অঞ্চলের কালো হীরের কালো সাম্রাজ্যের 'বেতাজ বাদসা' রাজু ঝা।

Published by:Rachana Majumder
First published:

Tags: Raju jha death