#কলকাতা: বন্দরের অব্যবহৃত জমিকে এবার বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করতে উদ্যোগ নিয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই কলকাতার আউট্রাম ঘাটে একটি রেস্তোরাঁ চালু করে সেই পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই ধাঁচেই ডায়মন্ড হারবার থেকে ফরাক্কা অবধি হুগলি বা গঙ্গা নদীর দু'ধারে থাকা অব্যবহৃত জমিকে লিজ দেওয়া হবে বাণিজ্যিক কারণে।
প্রয়োজনে হোটেল বা রিসর্ট চালানোর মত পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে বন্দর নিজেই। ধাপে ধাপে সেই কাঠামো ব্যবহার থেকে শুরু করে বাকি কাজ আগামী দশ বছরের জন্য করতে পারবে লিজ নেওয়া সংস্থা। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি জানিয়েছেন, "আপাতত আমরা নুরপুর ও মোয়াপুরে দুটো জায়গা চিহ্নিত করেছি। একেবারে নদীর পাড়ের এই জায়গা হোটেল, রিসর্ট বানানোর জন্য উপযোগী৷ এখানে পর্যটকদেরও ভালো লাগবে৷ আমরা যেমন ইতিমধ্যেই কলকাতার আউট্রাম ঘাটে একটা কফিশপ তৈরি করেছি। সেটা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে৷ এই জায়গাগুলোও সেভাবে ব্যবহার হবে।"
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ৩৬টি উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে উড়ান ইসরোর সবথেকে ভারী রকেটের! দেখুন
বন্দর সূত্রে খবর, হাওড়ার নুরপুরে ১১ একর জমি ও বজবজের কাছে মোয়াপুরে ২৩ একর জমি চিহ্নিত হয়েছে। শীঘ্রই এর জন্য টেন্ডার প্রকাশ পাবে। প্রসঙ্গত বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সব স্থানে নদীর ধারে রাজ্য সরকারের একাধিক বাঙলো আছে। বন্দর চাইছে তাদেরও ব্যবস্থা থাক। এর ফলে পর্যটকদের কাছে সেই সব আবাস ভাড়া দিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে লাভ করতে পারবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কোথায় অবস্থান করছে সিত্রাং? সকাল থেকে কলকাতার আকাশে মেঘ
কলকাতায় বন্দরের নিজস্ব গেস্ট হাউজ আছে। হলদিয়ায় আছে বন্দরের গেস্ট হাউজ। এছাড়া একাধিক জায়গায় লাইট হাউজ বা জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রিত করানোর জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় অফিস কাম আবাস আছে। তবে তা সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারেন না৷ নদীর দু'পাড়ে বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে বন্দরের বহু জমি আছে। সেই জমি কোথাও কোথাও বেদখল হয়ে আছে। বন্দর চাইছে সেই সব অব্যবহৃত জমি থেকে ব্যবসা করতে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Farakka, Kolkata Port