লালবাজারের নাকের ডগায় বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছে স্যানিটাইজার!জানতে পেরে হানা দেয় পুলিশ

Last Updated:

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার থেকে সামান্য পা হাঁটা পথ ২ নম্বর এজরা স্ট্রিট। সেখানেই একটি কাঁচ দেওয়া সুসজ্জিত দোকানের আড়ালে বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছিল স্যানিটাইজার।

#কলকাতা: কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার থেকে সামান্য পা হাঁটা পথ ২ নম্বর এজরা স্ট্রিট। সেখানেই একটি কাঁচ দেওয়া সুসজ্জিত দোকানের আড়ালে বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছিল স্যানিটাইজার। যা বিক্রি হত বিভিন্ন ওষুধের দোকানে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই দোকান ও সংলগ্ন কারখানায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ব্রান্ডের নাম ছাড়া প্রায় ১০০ লিটার স্যানিটাইজার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে দোকান মালিককে।
পুলিশের অভিযোগ, ২ নম্বর এজরা স্ট্রিটে এই বেআইনিভাবে স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছিল। বেআইনি কারণ, ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া স্যানিটাইজার তৈরি করা যায় না। এখানে ওই দোকান মালিকের কোনও ড্রাগ লাইসেন্স ছিল না। পাশাপাশি সেখানে স্যানিটাইজার হিসেবে যে তরল বোতলে করে বিক্রি করা হত তাতে কোনও ব্রান্ডের নাম উল্লেখ থাকত না। উল্লেখ থাকত না সেগুলি কি কি রাসায়নিক দিয়ে তৈরি বা কতটা মাপে তৈরি। সে কারণেই এখানে তৈরি করা স্যানিটাইজার সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, খাবারে রং ও গন্ধের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক বিক্রি করা হত ওই দোকানে। করোনা আবহে স্যানিটাইজারের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই দোকানে বেআইনিভাবে স্যানিটাইজার তৈরির কাজ শুরু হয়। স্যানিটাইজার তৈরির জন্য যে পরিমাণ অ্যালকোহল ও অন্যান্য রাসায়নিক দেওয়া প্রয়োজন ওই কারখানায় তৈরি স্যানিটাইজার এ তা মানা হচ্ছিল কিনা দেখতে এদিন বাজেয়াপ্ত হওয়া স্যানিটাইজার ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে।
advertisement
advertisement
এজরা স্ট্রিটের ওই দোকানে বেআইনিভাবে স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছে সেই খবর বেশ কিছুদিন আগে পুলিশের কাছে আসে। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও গুন্ডা দমন শাখা যৌথভাবে এদিন অভিযান চালায়।
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, "এজরা স্ট্রিটে বেআইনিভাবে স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছিল সেই খবর পাওয়ার পরেই আমরা অভিযান চালাই। প্রচুর স্যানিটাইজার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেগুলি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। বেআইনিভাবে স্যানিটাইজার তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। রাজীব পাঞ্জাবি ও জিয়াউদ্দিন বর্ষা নামে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"
advertisement
পুলিশ মনে করছে, বেআইনি স্যানিটাইজার চক্রের জাল বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে। যেহেতু চাহিদা প্রচুর তাই বেশি টাকা লাভের উদ্দেশ্যে কম দামে নিম্নমানের স্যানিটাইজার তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। তাই এই চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়েছে তার খোঁজ চালানো হচ্ছে। পুলিশ জেনেছে, এই কারখানায় স্যানিটাইজার তৈরির পর তা চলে যেত এই চক্রের অন্য সদস্যের কাছে। সেখানে নকল ব্রান্ডের লোগো সাটিয়ে ওষুধের দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছিল।
advertisement
সুজয় পাল
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
লালবাজারের নাকের ডগায় বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছে স্যানিটাইজার!জানতে পেরে হানা দেয় পুলিশ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement