Buddhadeb Bhattacharjee: 'রাজনৈতিক মতভেদ ছিল, তবু কখনও ঝগড়া হয়নি...' থাকতেনও একই কমপ্লেক্সে... বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ প্রদীপ ভট্টাচার্য

Last Updated:

'দক্ষ রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক। রাজনৈতিক সৌজন্য ছিল৷ যখন কথা বলতাম সৌজন্যের বাইরে এক পা যেতেন না৷ এটা ভাল লাগত৷ একই কমপ্লেক্সে দীর্ঘ কাল ধরে রয়েছি৷ কখনও তিক্ততা তৈরি হয়নি৷ এটা অনুসরণীয়৷ আমি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, উনি তখন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাতেও কোনওদিন তিক্ততা তৈরি হয়নি।' বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে ভেঙে পড়লেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য।

কলকাতা: ‘দক্ষ রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক। রাজনৈতিক সৌজন্য ছিল৷ যখন কথা বলতাম সৌজন্যের বাইরে এক পা যেতেন না৷ এটা ভাল লাগত৷ একই কমপ্লেক্সে দীর্ঘ কাল ধরে রয়েছি৷ কখনও তিক্ততা তৈরি হয়নি৷ এটা অনুসরণীয়৷ আমি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, উনি তখন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাতেও কোনওদিন তিক্ততা তৈরি হয়নি।’ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে ভেঙে পড়লেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য।
বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ৮.২০ নাগাদ তিনি প্রয়াত হন।
গত ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণও ধরা পড়ে তাঁর। ফের আচমকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন।
advertisement
advertisement
২০২১-এর মে মাসের মাঝামাঝি কোভিডে আক্রান্ত হন। একই সময় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। পরে অবশ্য দু’জনেই কোভিড নেগেটিভ হয়ে ফেরেন কিছু দিনের মধ্যে। ক’দিন ধরে জ্বর ছিল। গতকাল রক্তপরীক্ষাও করা হয়, রিপোর্টে সেরকরম কিছু পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্যাচুরেশন খুব দ্রুত কমে যাওয়ায় মীরাদেবী তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতিকে জানান।
advertisement
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সক্রিয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি খাদ্য আন্দোলন দিয়ে। তার আগে প্রেসিডেন্সি থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা। না, ছাত্র রাজনীতির ময়দানে লড়াই তিনি করেননি। ১৯৬৬ সালে সিপিএমে যোগ। বলা ভাল, তাঁকে একপ্রকার খুঁজেই নিয়ে আসা হয়েছিল। তার ঠিক দু-বছর পরেই পশ্চিমবঙ্গের দ্য ডেমোক্রেটিক ইউথ ফেডারেশনের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচন। এরপর তিনি হলেন সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য। তাঁর রাজনৈতিক উত্তরণে কালিমা খুঁজে পাননি বিরোধীরাও।
advertisement
এরপর পশ্চিমবঙ্গ প্রবেশ করল নতুন এক পর্বে। ১৯৭৭। রাজ্যে বামফ্রন্টের দায়িত্বগ্রহণ। সাধারণ মানুষ আঁকড়ে ধরল এক লাল পতাকাটা। ৭৭-এর নির্বাচনে উত্তর কলকাতার বিধায়ক নির্বাচিত হলেন বুদ্ধবাবু। দায়িত্ব মিলল তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের, যা পরে তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগ হয়। তারপর ১৯৮৭-তে পেলেন পুরো ও নগরোন্নয়নের দায়িত্ব। সিপিএমের পতন- অভ্যুদয়- বন্ধুর পথে তিনিই ছিলেন কান্ডারী, চিরসারথী। দীর্ঘ ২৪ বছর যাদবপুরে বিধায়ক হিসাবে রাজ করেছেন বুদ্ধদেব।
advertisement
তখন ১৯৯৯। জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালের শেষ লগ্ন। জ্যোতিবাবু অসুস্থ। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন বুদ্ধদেব। ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে প্রথম অধিষ্ঠান। সেই চেয়ারেই থেকে গেলেন তিনি। ২০০১-এর ১৮ মে ১৩তম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। ২০০৬ সালেও এল প্রবল জয়। সেই জয়ের ইতিহাস আজও গায়ে কাঁটা দেয়। ভোটের কিছুদিন আগে অনীল বিশ্বাস মারা যান। তিনি বুঝেছিলেন তাঁর দল জিতবে। কিন্তু ২৩৫! ১৪ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের ধারেকাছে কেউ আসেনি। ফলঘোষণা হয়েছিল ১১মে। রাজ্য জুড়ে সেদিন শুধু লাল-রং আর লাল আবির। রেকর্ড আসন জিতে সপ্তমবার সরকার গঠন। জয়গাথা এখানেই শেষ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Buddhadeb Bhattacharjee: 'রাজনৈতিক মতভেদ ছিল, তবু কখনও ঝগড়া হয়নি...' থাকতেনও একই কমপ্লেক্সে... বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ প্রদীপ ভট্টাচার্য
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement